ভয়ঙ্কর অবস্থা

Rail Accident: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে, তবু প্রাণহানি এত কম একটি কারণেই! শুনলে চমকে যাবেন

লখনউ: ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় যাত্রীদের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই কম। আর এর কারণ হিসাবে রেল আধিকারিকরা সাধুবাদ দিচ্ছেন এলএইচবি কোচকে। দূরপাল্লার এই ট্রেনে এলএইচবি কোচ থাকায় যাত্রীদের প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকরা।

সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন ট্রেন দুর্ঘটনার সময় দেখা গিয়েছে, ট্রেনের এক কামরার উপর একটি কামরা চেপে যেতে। মূলত আইসিএফ কোচে ট্রেনে দুর্ঘটনার সময় এই ঘটনা দেখা যায়। এর জেরে ক্ষতি হয় বেশি। প্রাণহানির আশঙ্কাও বাড়ে। কিন্তু বিশেষ এলএইচবি কোচে এই সমস্যা দেখা যায় না। এই কোচের ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও তা আড়াআড়ি ভাবে লাইনচ্যুত হয়। এর জেরে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির আশঙ্কা কিছুটা হলেও কম হয়। দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকাজও সহজ হয়। এখনও যে সমস্ত ট্রেনে আইসিএফ কোচ রয়ে গিয়েছে, আগামী দিনে সেগুলির পরিবর্তে এলএইচবি কোচ ব্যবহার করবে রেল।

আরও পড়ুন: শুক্র থেকেই রান্নাঘরে মুরগির মাংস ঢোকা বন্ধ? ধর্মঘট ঘিরে তুমুল আশঙ্কা, সমাধান হবে কবে?

রাজধানী-সহ অধিকাংশ প্রথম সারির ট্রেনে এখন এলএইচবি কোচ ব্যবহৃত হয়। এলএইচবি-র পুরো নাম লিঙ্ক হফম্যান বুশ। এই ধরনের কোচ আইসিএফের থেকে অনেক বেশি উন্নত। এই ধরনের কামরায় ট্রেন যাত্রা অনেক আরামদায়ক। এলএইচবি কোচের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল এই কোচ অ্যান্টি রোল, অ্যান্টি কোলাপ্স এবং অ্যান্টি টেলিস্কোপিক। মাইল্ড স্টিল দিয়ে তৈরি হওয়ায় আইসিএফের থেকে ওজনে হাল্কা এই ধরনের কোচ।

সঙ্গে ডিস্ক ব্রেক থাকায় তা দ্রুত থামতে সক্ষম। এলএইচবি কোচ বিশিষ্ট এক্সপ্রেস ট্রেন আইসিএফের তুলনায় দ্রুত গতিতে ছুটতে সক্ষম। আইসিএফের তুলনায় এই কোচের দুলুনি অনেক কম। আইসিএফ কোচে বসে থাকলে ট্রেন চলার সময় অনেক বেশি দুলুনি অনুভব হত। কিন্তু এলএইচবি-র ক্ষেত্রে তা অনেক কম। পাশাপাশি ট্রেন চলার সময় এই ধরনের কোচে আওয়াজও হয় কম।