রেলগেটে অপেক্ষারত সাধারণ মানুষ 

East Bardhaman News: সারাদিনে রেলগেট পড়ে ১৩০ বারের বেশি ! নাজেহাল জনসাধারণ 

পূর্ব বর্ধমান : সারাদিনে ১৩০ বারের বেশি রেলগেট পড়ে এই জায়গায়। যানজটে নাকাল শহরবাসী সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বহু মানুষ। আজও মেলেনি গুরুতর এই সমস্যার কোনও সমাধান। ভোট আসে ভোট যায় শুধু মেলে প্রতিশ্রুতি। তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।পূর্ব বর্ধমান জেলার এক অতি পরিচিত জায়গা কাটোয়া। যার অন্যতম কারণ কাটোয়া শহরের অবস্থান। নদীয়া মুর্শিদাবাদ জেলা লাগোয়া শহর হল কাটোয়া। ফলে প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে অসংখ্য মানুষ আসেন এই শহরে। তবে কাটোয়া শহরে প্রবেশ করার প্রধান রাস্তাতেই রয়েছে রেলগেট। শহরে প্রবেশ করতে হলে রেলগেট পার করতে হয়। কিন্তু নিত্যদিন নানান কাজ নিয়ে যারা কাটোয়া শহরে আসেন, রেল গেটের জেরে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় অনেককেই।

রেলগেট পড়ে যাওয়ায় অপেক্ষারত এক ব্যক্তি বলেন, “প্রচণ্ড সমস্যা হয় রেলগেট পড়ে থাকার কারণে, সময়ের পর সময় নষ্ট হয়। রোদ গরমে সবথেকে বেশি কষ্ট হয়। একটা ওভারব্রীজ হলে ভালো হত। ” আর এক ব্যক্তি বলেন, “বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে নিয়ে যেতেও সমস্যা হয়। সময় মত পৌঁছান যায়না। এছাড়াও স্কুল, কলেজ , হাসপাতাল সবই এই রেলগেট পেরিয়ে যেতে হয়। কিন্তু রেলগেট পড়ে থাকলে অনেক সময় নষ্ট হয়। একটা ওভারব্রীজ হলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে। ” আসলে বর্ধমান, কালনা সহ সড়ক পথে মুর্শিদাবাদ থেকে কাটোয়া শহরের ভিতরে প্রবেশ করতে গেলে পেরোতেই হয় এই রেলগেট। কলেজ, হাসপাতাল, বাজার সহ যেকোনওকাজে যেতে গেলেই পেরোতে হয় এই রেলগেট। কিন্তু ট্রেন চলাচলের কারণে ঘন ঘন রেলগেট পড়ে। যে কারণে বিপাকে পড়েন নিত্য যাত্রীরা।

আরও পড়ুন : তীব্র গরমেও জল নেই, জলের জ্বালায় ভুগছেন স্থানীয়রা

এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ভ্যান চালক রিন্টু শেখ বলেন, “আমাদের খুবই সমস্যা হয়। মিনিটে মিনিটে গেট পড়ে। দাড়িয়ে যেতে হয়।১৫,২০ মিনিট করে দাড়িয়ে থাকতে হয়। এপার ওপার করা যায় না। স্কুল কলেজ হাসপাতাল সবই ওপারে। কোনও এমার্জেন্সী রোগী এলে তাকেও আটকে পড়তে হয়। একটা ব্রিজ বা কিছু হলে খুবই ভালো হয়। সব জায়গাতেই তো হচ্ছে, এখানেও যদি একটা হয় আমাদের খুবই ভালো হয়।” রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের এই রেলগেটে সারা দিনে প্রায় ১৩০ বারেরও বেশি গেট পড়ে। এমারজেন্সি সিচুয়েশন থাকলে কোনও কোনও দিন গেট পড়ার সংখ্যাটা আরও বেশ খানিকটা বৃদ্ধি পায়। কিছু কিছু সময় দীর্ঘক্ষণ রেলগেট পড়ে থাকার কারণে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয় এই এলাকায়।

আরও পড়ুন : ছুরি বা গুলি নয়… পারিবারিক বিবাদে জেরে ছোড়া তির লক্ষ্যভ্রষ্ঠ হয়ে সোজা মীরার পাঁজরে! তুমুল হইচই এলাকায়

এই বিষয়ে কাটোয়া বিধানসভার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দাবি তো আছেই। লোকসভা ভোটের পর এই দাবি মেটানোর জন্য যা করতে হয় করব।” কাটোয়া থেকে প্রতিদিন একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে। এছাড়াও কাটোয়া- বর্ধমান, কাটোয়া- আহমেদপুর, কাটোয়া – ব্যান্ডেল সহ একাধিক রেল পথ রয়েছে। যে কারণে রোজ অসংখ্য ট্রেন যাতায়াত করে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কাটোয়া শহরের বাসিন্দা সহ আশপাশ এলাকার মানুষেরা চাইছেন তাদের দীর্ঘদিনের এই সমস্যার অবসান হোক, দুর্ভোগ কমুক নিত্যযাত্রীদের।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী