পাঁচমিশালি Rail: চলন্ত ট্রেনে লোকো পাইলটরা কোথায় ‘বাথরুম’ যান? হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেন কীভাবে? ১০০% মানুষেরই উত্তর অজানা, আপনি জানেন? Gallery May 4, 2024 Bangla Digital Desk *ট্রেনে ভ্রমণের অন্যতম পছন্দের মাধ্যম। অনেকেই রয়েছেন যারা কাজের জন্য প্রতিদিন ট্রেনে সফর করেন, আবার অনেকে বেড়াতে যান ট্রেনে চেপে। প্রতিবেদনঃ সৌভিক রায়। ফাইল ছবি। *ভারতীয়দের সঙ্গে রেলের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ট্রেন ভ্রমণ, এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। ট্রেন ভ্রমণে অনেকের অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। অনেক স্বপ্ন নিয়ে হাজার হাজার মানুষ রেলপথ ব্যবহার করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাড়ি দেন। *কখনও লোকাল ট্রেন, কখনও দূরপাল্লার ট্রেন। দূরপাল্লার ট্রেনে দু-তিনদিনের জন্য যদি কোথাও যেতে হয় তাহলে আমরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে শৌচাগার ব্যবহার করতে পারি ট্রেনেই। ফাইল ছবি। *তবে কখনও ভেবে দেখেছেন ট্রেনের ইঞ্জিনে শৌচালয় থাকে না, তাহলে চলন্ত ট্রেনের মধ্যে লোকো পাইলটরা কোথায় বাথরুম যান? ফাইল ছবি। *এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতি আলোকপাত করেন সংবাদ মাধ্যমের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লোকো পাইলট। তিনি জানান, ট্রেন যখন নিজের গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, তখন লোকো পাইলট আগেই নিজের শৌচকর্ম সেরে নেন। তাতে ২-৩ ঘণ্টা আর যাতে শৌচালয় ব্যবহার করতে না হয়। ফাইল ছবি। *তিনি আরও জানান, ট্রেন যখন স্টেশনে দাঁড়ায় তখন লোকো পাইলটরা নিজেদের শৌচকর্ম সেরে নিতে পারেন। কিন্তু ট্রেন চালানোর সময় আর কোনওভাবেই শৌচাগার ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তবে সমস্যা গুরুতর হলে এক বিশেষ পদ্ধতি মানতে হয় তাদের। ফাইল ছবি। *লোকো পাইলট জানান, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল রুমকে জানাতে হয় পরিস্থিতির কথা। সেখান থেকেই পরবর্তী স্টেশনে ট্রেন থামানোর জন্য অনুমতি নিতে হয়। পরবর্তী স্টেশনে এলে ট্রেন থেকে নেমে শৌচাগার ব্যবহার করেন লোকো পাইলটরা। তবে এই পরিস্থিতি খুব কম আসে। ফাইল ছবি। *অনেক সময় একটি ষ্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশনে যাওয়ার দূরত্ব প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই লোকো পাইলটরা স্টেশনে নেমে শৌচাগার ব্যবহার করতেই পারেন। ফাইল ছবি। *দীর্ঘ দূরত্বে যদি ট্রেনের স্টপেজ থাকে তাহলে এই সমস্ত ট্রেনের লোকো পাইলটরা কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানিয়ে ট্রেনের গতি ধীরে করে দেওয়া হয়। এরপর লাইনের ধারেই তাঁকে শৌচকর্ম সেরে নিতে হয়। ফাইল ছবি। *তবে কন্ট্রোল রুমকে জানানোর পরেই যে ট্রেন ধীরগতিতে করা যাবে সেটা কিন্তু একেবারেই নয়। এ ক্ষেত্রে কন্ট্রোলরুম যদি পরামর্শ দেয় সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে, তবেই ট্রেন ধীর গতিতে করা যায়। ফাইল ছবি।