দুই সন্তানের পিতার প্রেমে হাবুডুবু, পাকিস্তান থেকে ভারতে এলেন ২৫ বছরের মেহভিশ

দুই সন্তানের পিতার প্রেমে হাবুডুবু ! পাকিস্তান থেকে ভারতে এলেন ২৫ বছরের মেহভিশ

Report: Naresh Pareek

চুরু, রাজস্থান: প্রেমে কী সীমানা বাধা হতে পারে? না। সীমা হায়দার এসেছেন। এবার এলেন পাকিস্তানি মেহভিশ। ৪৫ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসায় রাজস্থানের চুরুতে এসেছেন পাকিস্তানের এই তরুণী। লোকাল 18-এর সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় জানালেন, বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের ইতিবৃত্ত।

রাজস্থানের চুরুর পিথিসার গ্রামের রেহমান দুই সন্তানের পিতা। লাহোরের ২৫ বছরের যুবতী মেহভিশও দুই সন্তানের জননী। কিন্তু কোনও কিছুই তাঁদের প্রেমের পথে বাধা হতে পারেনি। সংসার সন্তান ছেড়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন চোখে সীমান্ত পেরিয়ে তিনি চলে এসেছেন ভারতে।

আরও পড়ুন– কন্যা আরাধ্যাকে নিয়ে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন ঐশ্বর্য; আর ফিরেই ভক্তদের মনে ওঠা প্রশ্নের জবাবটা দিয়েই দিলেন অভিনেত্রী

মেহভিশ জানিয়েছেন, মাত্র ২ বছর বয়সে তাঁর মা মারা যান। বছর ১৫ আগে পিতা জুলফিকারের মৃত্যু হয়। ১২ বছর আগে তিনি বোন সালিমার সঙ্গে পাড়ি দেন ইসলামাবাদ। সেখানে একটা বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। ২০০৬ সালে বাদামিবাগের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান। বড় ছেলের বয়স ১২ বছর। ছোট ছেলের বয়স ৭ বছর।

কিন্তু মেহভিশের কপালে সংসার সুখ জোটেনি। বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই স্বামী ছেড়ে চলে যায়। ২০১৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। তারপর থেকে একাই থাকতেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় চুরুর পিথিসারের বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী রেহমানের সঙ্গে আলাপ হয় মেহভিশের। বন্ধুত্ব প্রেমে গড়াতে সময় লাগেনি। একাকী মেহভিশ তখন নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্নে মশগুল।

আরও পড়ুন– পুজোর লম্বা ছুটিতে অফবিট জায়গায় যেতে চাইছেন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন আর্মেনিয়ায়; দেখে নিন এখানকার প্রধান আকর্ষণগুলি

বোনের সঙ্গে আলোচনা করে রেহমানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মেহভিশ। সেটা ২০২২ সাল। ভিডিও কলেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রেহমান ও মেহভিশ। রেহমান ব্যবসায়ী। কুয়েতে থাকেন। ২০২৩ সালে উমরাহ করতে সৌদি আরব গিয়েছিলেন মেহভিশ। মক্কায় ইসলামিক রীতিতে বিয়ে করেন দু’জন।

পিথিসার বাসিন্দা রেহমানের কুয়েতে পরিবহণের ব্যবসা। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়। ছোট ভাই সেলিম গ্রামে থাকেন। মুদির দোকান চালান। বাবা আলি শের কৃষক। গরুও রয়েছে। তাদের দেখভাল করেন। ২০১১ সালে ফরিদার সঙ্গে বিয়ে হয় রেহমানের। তাঁদের দুই সন্তান। কিন্তু এর মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে এসে হাজির হয়েছেন মেহভিশ। রেহমানের বাবা বলেন, ঘর ঝাঁট দেওয়া থেকে দুধ দোয়া পর্যন্ত, সব একা হাতে সামলাচ্ছে পাকিস্তানি পুত্রবধূ। নতুন নতুন রান্না করছে। ভারতের মাংসের রেসিপি তাঁর খুব পছন্দের। লোকাল 18-কে মেহভিশ জানান, ভারতীয় সিরিয়াল তাঁর খুব পছন্দের। এই দেশের সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি ভাল লেগেছে তাঁর।