মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদ থেকে ভিনদেশে রওনা দিচ্ছেন স্বয়ং মহাপ্রভু জগন্নাথ। জেলার রঘুনাথগঞ্জ দুই নং ব্লকের অন্তর্গত তেঘরিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা বাপ্পা দাস কাঠ দিয়ে তৈরি করেন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার মূর্তি। তাঁর তৈরী এই মূর্তি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে পাড়ি দেয় বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই প্রভুর রথযাত্রা উৎসব।
জগন্নাথ দেবের এই উৎসবকে ঘিরে মেতে ওঠেন আপামর দেশবাসী। শ্রীক্ষেত্রের জগন্নাথ দেবের মতোই বিখ্যাত ও প্রাচীন এই রাজ্যের মাহেশের রথযাত্রা। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন এলাকার রথযাত্রা। কাঠের জগন্নাথকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতেই ছোট ছোট রথের দড়িতে টান পড়ে। বিভিন্ন বাড়িতেও চলে মহাপ্রভু জগন্নাথ দেবের পূজা অর্চনা। মুর্শিদাবাদের বাপ্পা দাসের তৈরি বলরাম সুভদ্রা সহ মহাপ্রভুর কাঠের জগন্নাথ দেব যেন প্রাণ পেয়ে থাকেন এই সময়। কাঠ কেটে বিভিন্ন সাইজের জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা তৈরি করে চলেছেন তিনি। পনেরো বছর বয়স থেকে জগন্নাথের মূর্তি তৈরীতে হাতেখড়ি। প্রথম প্রথম দেখে দেখে জগন্নাথের মূর্তি তৈরি করতেন। এখন আর দেখতে হয়না। ভক্ত কে দিয়ে ভগবান যেন নিজেই তৈরী করিয়ে নেন তাঁর মূর্তি। প্রভু নিজেই যেন প্রাণ দেন দারুমূর্তিতে।
বাপ্পা দাসের কাঠের তৈরি জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা বর্তমানে পাড়ি দিচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া নেপাল মালয়েশিয়া বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই কাজে বাপ্পা দাসকে সাহায্য করেন স্ত্রী অঙ্কিতা। জগন্নাথ এর বিভিন্ন পোশাক তৈরি করে দেন বাপ্পা দাস। বাংলা ক্যালেন্ডারের ফাল্গুন মাস থেকে শুরু করে রথযাত্রার পর্যন্ত প্রচুর বায়না থাকে এই মূর্তি তৈরি করার। বাপ্পা দাস জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে আমি জগন্নাথদেবের সেবা করে চলেছি। প্রথমে একটি শিশু কাঠ নিয়ে আমি জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরি করি। তারপর থেকে এখনো চলছে। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে এই জগন্নাথ দেব বিভিন্ন দেশে পাড়ি দেন। এর ফলে বিদেশের ভক্তরাও জগন্নাথ দেবকে পাচ্ছেন। পাশাপাশি কাজের নিরিখে রোজগারও চলছে।
কৌশিক অধিকারী