পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের ভিতর-ভান্ডার বা রত্ন প্রকোষ্ঠ খোলার কাজ সম্পূর্ণ অবশেষে

Puri Jagannath Temple Ratna Bhandar: অবশেষে সম্পূর্ণ পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের ‘ভিতর-ভান্ডার’ খোলার কাজ! কী কী পাওয়া গেল? জানুন

পুরী: পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের ভিতর-ভান্ডার বা রত্ন প্রকোষ্ঠ খোলার কাজ সম্পূর্ণ অবশেষে। মোট তিনটি সিন্দুক ও চারটি আলমারি পাওয়া গিয়েছে। আলমারিগুলির মধ্যে ৩ কাঠের এবং ১ টি স্টিলের আলমারি। একটি সিন্দুক লোহার। বাকি দু’টি কাঠের তৈরি।‌ সমস্ত অলংকার অস্থায়ী ভল্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এক নম্বর সিন্দুকের সামগ্রী এক নম্বর ভল্টে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠিক একইভাবে বাকিগুলি বাকি নাম্বারিং করা ভল্টে স্থানান্তরিত হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ১১ জন সদস্যের টিম এই কাজটি সম্পন্ন করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯:৫১ মিনিটে তিথি অনুযায়ী ভিতর ভান্ডারে প্রবেশ করা হয়। প্রত্যেকে পোশাক পরিবর্তন করে যাবতীয় অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করেন। পুরো কাজটি এদিন বিকেল পাঁচটার মধ্যে সম্পন্ন হয়। তার পর সমস্ত আলমারি, সিন্দুক সরিয়ে দেওয়াল পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কোনওরকম সুড়ঙ্গ বা কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অনেক পুরনো হওয়ায় কিছু জায়গায় ক্ষতি হয়েছে দেয়ালের। এবার কমিটি সরকারের কাছে জানাবে এই রিপোর্টটি। তারপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে ভিতরে সংস্কার করা হবে কিনা। ফের ভিতর ভান্ডারে তালা দিয়ে সেই তালার চাবি ট্রেজারিতে কালেক্টারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনেকের মতে আরও কোনও ভান্ডার থাকতে পারে। সে ব্যাপারে যদি কোনও পরীক্ষা করে দেখতে হয় সেটা করে দেখা হবে।

আরও পড়ুন : আগামী বছর রথযাত্রা উৎসব কবে? তারিখ ও দিনক্ষণ জানলে মুখে আসবে হাসি, মন ভরে উঠবে আনন্দে

তবে আলমারি এবং সিন্দুকের ভেতরে কী কী আছে, সেটা এখনই জানা সম্ভব নয়। কারণ প্রত্যেকটি সিন্দুক ও আলমারির ভিতরেও ছোট ছোট লোহার বাক্সে সমস্ত অলংকার রাখা রয়েছে। সেগুলি এখন খোলার অনুমতি নেই সদস্যদের। সরকারের তৈরি করে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা রয়েছে, শুধু অলংকারের বাক্স স্থানান্তরিত হবে অস্থায়ী ভল্টে। ভিতর ভান্ডার সংস্কারের পর যখন ফের অলংকার ফিরে আসবে সিন্দুক, আলমারিতে, তখন সমস্ত গয়না সামগ্রী কী কী রয়েছে, তার অডিট করা হবে। সেই অডিট সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার নতুন করে আবার এসওপি বা নির্দেশিকা দেবে। তার পরই এই কাজটি হবে।

প্রসঙ্গত ৪৬ বছর পর রবিবার খোলা হল ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডার। পুরীর রত্ন ভান্ডারের ভিতর ভান্ডারের অলংকারের অডিট হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, সেখানে বহু কাঠের সিন্দুক রয়েছে। যেগুলো চওড়ায় ৯ ফুট এবং উচ্চতায় ৩ ফুট। ১ হাজার ৩৩৩ রকমের অলংকার রয়েছে। যার মধ্যে ৪৫৪ ধরনের খাঁটি সোনার গয়না আছে। কিছু গয়নার ওজন এক কেজির বেশি। মোট সোনার অলংকারের ওজন ১২,৮৮৩ ভরি। ২৯৩ রকমের রুপোর গয়না রয়েছে, যার ওজন ২২,১৫৩ ভরি।