রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি

RIL AGM 2024: প্রতি ৩০ দিনে দশ লক্ষ ঘরে পৌঁছনোই এখন লক্ষ্য; আর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রেকর্ড গতিতে ১০ কোটিতে পৌঁছবে JioAirFiber, বললেন মুকেশ আম্বানি

শুরু হয়ে গিয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৪৭-তম অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিং (এজিএম)। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। ভারতের বৃহত্তম শিল্পসংস্থা কীভাবে উদীয়মান সুযোগগুলিকে পুঁজি করে উন্নতির পরিকল্পনা করছে, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিলেন প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন শেয়ারহোল্ডার।

এদিন শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার সময় সংস্থার চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানি দেশ জুড়ে JioAirFiber-এর দ্রুত গ্রহণের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন। জিও-র 5G-ভিত্তিক হোম ব্রডব্যান্ড পরিষেবা JioAirFiber চালু হয়েছিল গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। আর প্রায় ছয় মাসের মধ্যেই JioAirFiber পেয়ে গিয়েছে  প্রথম দশ লক্ষ এয়ার ফাইবার গ্রাহক। এই মাইলফলক সত্যিই অসাধারণ এবং এক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের মধ্যেই তা দ্রুততমও বটে!

আরও পড়ুনঃ আগামী ৩-৪ বছরে খুচরো ব্যবসা দ্বিগুণ করার লক্ষ্য, রিলায়েন্সের ৪৭-তম অ্যানুয়াল জেনারেল মিটিং-এ জানালেন ইশা আম্বানি

এই প্রসঙ্গে মুকেশ আম্বানি বলেন যে, “কিন্তু সেটা তো শুধুমাত্র সূচনা ছিল। আমাদের গভীর-প্রযুক্তিগত ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এবং ক্রমাগত প্রতিটি প্রক্রিয়াকে দক্ষ এবং কার্যকর ভাবে পরিচালনা করে, আমরা মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই পরবর্তী ১০ লক্ষ এয়ার ফাইবার গ্রাহক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।” এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন যে, “এখন আমরা নিজেদেরকেই চ্যালেঞ্জ করছি। যাতে আমরা প্রতি ৩০ দিনে দশ লক্ষ করে ঘর এই তালিকায় যোগ করতে পারি। আর এই গতিতে এগোতে পেরে আমরা এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে, রেকর্ড গতিতে আমরা আমাদের ১০ কোটি ঘরে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব।”

আরও পড়ুনঃ বার্ষিক রাজস্বে নজির, সাফল্যের খতিয়ানে দেশে প্রথম Reliance Industries Limited

আপাতত ২ কোটি ছোট এবং মাঝারি ব্যবসা, ১৫ লক্ষ স্কুল-কলেজ, ৭০ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল এবং ১২ মিলিয়ন চিকিৎসকের ভরসা রয়েছে জিও-র উপরে। এই প্রসঙ্গে মুকেশ আম্বানির বক্তব্য, “এই প্রতিষ্ঠানগুলি আমাদের দেশের মেরুদণ্ড। আর সেগুলিকে সংযুক্ত করে ভারতকে আরও শক্তিশালী এবং প্রাণবন্ত ভাবে গড়ে তুলতে পারব আমরা।”