প্রায় ১.৭ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে রিলায়েন্স; এজিএম-এ জানালেন মুকেশ আম্বানি

RIL AGM 2024: দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থানকেই দেওয়া হবে অগ্রাধিকার, ১.৭ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করেছে রিলায়েন্স; এজিএম-এ জানালেন মুকেশ আম্বানি

মুম্বই: বৃহস্পতিবার হয়ে গেল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৪৭-তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পসংস্থা কীভাবে উদীয়মান সুযোগগুলিকে পুঁজি করে উন্নতির পরিকল্পনা করছে, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ছিলেন সংস্থার প্রায় ৩.৫ মিলিয়ন শেয়ারহোল্ডার।

রিলায়েন্সে চাকরি ছাঁটাই সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর খবর নাকচ করে দিয়ে চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এজিএম-এ স্পষ্ট করে দিলেন যে, রিলায়েন্স আসলে ২৩-২৪ অর্থবর্ষে কয়েক লক্ষ চাকরির সংস্থান তৈরি করেছে। তাঁর ব্যাখ্যা, যাঁরা ভিন্ন এনগেজমেন্ট মডেল বেছে নিয়েছেন, তাঁদের রিক্লাসিফিকেশনের কারণেই কর্মচারীদের সংখ্যায় আপাত পতন দেখা গিয়েছে।

আরও পড়ুন– টার্মিনাল থেকে ‘খালি হাতে’ বেরলেন কেনিয়ার যাত্রী, জিজ্ঞাসাবাদেই ফাঁস হল আসল রহস্য, মাথায় হাত কাস্টমস অফিসারদের

মুকেশ আম্বানির কথায়, “গত বছরেই আমরা ১.৭ লক্ষেরও বেশি নতুন চাকরির সংস্থান তৈরি করেছি। আর আমরা যদি কর্মসংস্থানের ট্র্যাডিশনাল এবং নতুন এনগেজমেন্ট মডেলকে এক জায়গায় করি, তাহলে আজ আমাদের মোট কর্মী সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৬.৫ লক্ষের কাছাকাছি।” তাঁর সংস্থার কর্মীদের একটা অংশ নতুন এনগেজমেন্ট মডেল বেছে নিয়েছেন।

সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা করে মুকেশ আম্বানি বলেন যে, “সারা বিশ্বেই কর্মসংস্থান তৈরির ধরন বদলে যাচ্ছে। আর প্রাথমিক ভাবে সেটা হচ্ছে প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং নমনীয় ব্যবয়াসিক মডেলের কারণে। সেই কারণেই ট্র্যাডিশনাল ডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্ট মডেলে আটকে না থেকে রিলায়েন্স নতুন ইনসেন্টিভ-ভিত্তিক এনগেজমেন্ট মডেলকেও স্বাগত জানাচ্ছে। আর এই পন্থা কর্মীদের আরও ভাল উপার্জন করতে সহায়তা করছে এবং তাঁদের মধ্যে উদ্যোগের মনোভাবও জাগিয়ে তুলছে। এই কারণেই ডিরেক্ট এমপ্লয়মেন্ট বা প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সংখ্যা বার্ষিক পরিসংখ্যানে সামান্য হ্রাস পেতে দেখা গিয়েছে। যদিও রিলায়েন্স দ্বারা তৈরি মোট কর্মসংস্থান কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে।”

আরও পড়ুন– Jio নিয়ে আসছে নতুন অফার, ব্যবহারকারীরা পাবেন এই বিশেষ সুবিধা

আসলে শুধুমাত্র ভাল উপার্জনের জন্য যাঁরা উদ্যোগের পথ বেছে নিয়েছেন, তাঁদের রিক্লাসিফিকেশনের কারণেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের হেডকাউন্ট কমে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বেশ কয়েকটি এক্সটার্নাল এজেন্সি রিলায়েন্সকে ভারতের সেরা নিয়োগকারী হিসাবে তকমা দিয়েছে। ফলে ভারতের বৃহত্তম নিয়োগকারীর মধ্যে স্থান ধরে রেখেছে রিলায়েন্স।

মুকেশ আম্বানির বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত রিলায়েন্সের সমস্ত রেকর্ড অর্জনের মধ্যে এটি সর্বদা আমার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থানেই থাকবে। কারণ ভারতের প্রতিভাবান তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই আমাদের শীর্ষ জাতীয় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।”

এদিকে এমপ্লয়ি বেনিফিটসের উপর রিলায়েন্সের খরচ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ফলে অর্থবর্ষ ১৯-এ সেটা ১২,৪৮৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে অর্থবর্ষ ২৪-এ তা ২৫,৬৭৯ কোটি টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। মধ্যবর্তী কোভিড কাল থাকা সত্ত্বেও সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনে মোট মূল্যের এই হিসাবই দেখা গিয়েছে।