অবসর গ্রহণের জন্য অর্থ সঞ্চয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। যার জন্য অনেক লোকই চেষ্টা করে, তবে শুরু করার প্রক্রিয়াটি কঠিন হতে পারে। সৌভাগ্যবশত, এমন বিভিন্ন কৌশল রয়েছে যা নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করলে আরও কার্যকরভাবে টাকা সেভ করতে সাহায্য করতে পারে। ৩০-৩০-৩০-১০ নিয়মটি এমন একটি পদ্ধতি, যা একটি উল্লেখযোগ্য অবসর তহবিল গঠনে সকলকে সহায়তা করতে পারে।৩০-৩০-৩০-১০ নিয়ম প্রতি মাসে নিজেদের উপার্জনের একটি নির্দিষ্ট অংশ বরাদ্দ করতে সাহায্য করে। একটি ET রিপোর্ট অনুসারে, এই শতাংশ-ভিত্তিক বাজেট পদ্ধতি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিভাগ জুড়ে ব্যয়ের জন্য একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করে। ৩০-৩০-৩০-১০ নিয়ম বাস্তবায়ন করতে, নিজেদের আয়কে চারটি বিভাগে ভাগ করতে হবে –১) নিজেদের আয়ের প্রথম ৩০% আবাসন খরচে বরাদ্দ করতে হবে। ২) প্রয়োজনীয় খরচের জন্য দ্বিতীয় ৩০% ব্যবহার করতে হবে। ৩) তৃতীয় ৩০% নিজেদের আর্থিক লক্ষ্যে উৎসর্গ করতে হবে। ৪) শেষ ১০% বিবেচনামূলক ব্যয়ের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।অবসর গ্রহণের জন্য, সঞ্চয় করার জন্য ৩০-৩০-৩০-১০ নিয়মটি কীভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে, তা বোঝার জন্য একটি ব্যবহারিক উদাহরণ বিবেচনা করা প্রয়োজন। ধরা যাক কারও মাসিক আয় ৫০,০০০ টাকা। নিয়ম অনুসরণ করে, নিম্নলিখিত হিসাবে নিজেদের উপার্জন বরাদ্দ করা উচিত –১) প্রথম ১৫,০০০ টাকা আবাসন খরচের জন্য ব্যবহার করতে হবে। ভাড়া বা হোম লোন ইএমআই হিসাবে। ২) পরবর্তী ১৫,০০০ টাকা প্রয়োজনীয় খরচগুলি কভার করবে। যেমন – মুদি, ইউটিলিটি বিল এবং পরিবহন।৩) নিজেদের স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য পূরণের জন্য ১৫,০০০ টাকা বরাদ্দ করতে হবে। ৪) অবশিষ্ট ৫,০০০ টাকা নিজেদের জন্য খরচ করা যাবে। যেমন – বাইরে খাওয়া বা সিনেমা দেখার মতো খরচ।নিজেদের বেতনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ (৩০%) বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের জন্য উৎসর্গ করে, ৩০-৩০-৩০-১০ নিয়ম নিয়মিত এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ সঞ্চয় অভ্যাসকে উৎসাহিত করে। কেউ যদি সন্তোষজনক রিটার্ন জেনারেট করে এমন উপকরণগুলিতে এই পরিমাণ বিজ্ঞতার সঙ্গে বিনিয়োগ করে, তাহলে যে কেউ ধীরে ধীরে একটি বড় অবসরের কর্পাস তৈরি করতে পারে। শুধু তাই নয়, এই পদ্ধতি নিজেদের সম্পদ আহরণকে ত্বরান্বিত করে আরও দ্রুত নিজেদের আর্থিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।