কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়াকে খুন এবং ধর্ষণের মামলায় সোমবার শিয়ালদহ আদালতে প্রথমবার চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে গোটা ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়া সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ই। কারণ, ওই হাসপাতালের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সিবিআইয়ের দাবি, গত ৯ অগাস্ট রাত ৩টে ২০ থেকে ভোর ৪টে ৩৭ পর্যন্ত হাসপাতাল চত্বরে সঞ্জয়ের উপস্থিতি ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা সিবিআইয়ের দাবি, রাত ৩টে ২০ নাগাদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সামনে সঞ্জয়কে বাইক স্ট্যান্ড করতে দেখা গিয়েছে।
রাত ৩টে বেজে ৩২ মিনিটে তাঁকে হেঁটে ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ঢুকতে দেখা যায়।
রাত ৩টে বেজে ৪৮ মিনিটে ইমারজেন্সি বিভাগের র্যাম্পে হাঁটতে দেখা যায় অভিযুক্তকে। এর ঠিক পরেই ভোর ৪টে ৩ মিনিট নাগাদ ওই সেমিনার রুমের করিডর দিয়ে হাঁটতে দেখা যায় সঞ্জয়কে। প্রায় আধ ঘণ্টা বাদে ভোর ৪টে বেজে ৩২ মিনিটে চেস্ট মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায় সঞ্জয়।
আরও পড়ুন: কেন ওই রাতে এত নৃশংস ঘটনা ঘটল RG করে? CBI চার্জশিটে এক তথ্যেই ‘স্পষ্ট’ সব, ভয়াবহ
সিবিআইয়ের দাবি ভোর ৪টে ০৩ থেকে ভোর ৪টে ৩২ মিনিটের মধ্যেই এই সময়েই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ভোররাতে সেমিনার রুমের মধ্যে এই সময়েই ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার।
উল্লেখ্য, সঞ্জয়কে গ্রেফতারির পর কলকাতার পুলিশের পক্ষ থেকেও কার্যত একই দাবি করা হয়েছিল। সেই সময়েও কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়, ভোর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যেই এই নৃশংস খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। সোমবার কার্যত কলকাতা পুলিশের দাবিকেই আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলল সিবিআইয়ের এই চার্জশিট।
আরও পড়ুন: আমার কিছু বলার আছে’, আদালতে দাঁড়িয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য সঞ্জয়ের!
আরজি কর কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট তিনজন গ্রেফতার হলেও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে , মূল অভিযুক্ত একজনই। বাকি দুই অভিযুক্ত আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এই ঘটনার সঙ্গে প্রতক্ষ্য ভাবে যুক্ত নন। মূলত, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য চেষ্টার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। চার্জশিটে সেই কথাই উল্লেখ করেছে সিবিআই।