ঢাকি 

Durga Puja 2024: উৎসব শেষে উৎসব শুরুর অপেক্ষায় ওঁরা

বীরভূম: এবার তাঁদের গ্রাম ছেড়ে দূর দূরান্তে যাওয়ার পালা।তাঁদের পরিবারের উৎসব শুরু হবে পুজোর পরে।কারণ ঘরে উপার্জন করে টাকা নিয়ে ফিরলে মুখে হাসি ফুটবে পরিবারে।প্রত্যেক বছর রথের দিন ঢাকিদের বরাত মেলে।এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।আষাঢ়ে রথের দিন বীরভূমের ঢাকিদের মিলেছে বরাত। এবছর দুর্গাপুজোয় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতা ও ভিন রাজ্যে-সহ বিদেশেও ঢাক বাজাতে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন প্রায় সাড়ে তিনশো ঢাকি।কেউ যাচ্ছেন কলকাতা অথবা শিলিগুড়ি।

কেউ বা চলে গিয়েছেন নেপাল, ঝাড়খণ্ড অথবা ওড়িশা।আবার কেউ পাড়ি দিয়েছেন আমেরিকার নিউইয়র্ক।অন্যদিকে কেউ যাচ্ছেন কানাডার টরেন্টো, সিডনি, ক্যালগারি সহ বিভিন্ন প্রান্তে।বীরভূমের সিউড়ির গোবিন্দপুর, দুবরাজপুর, লক্ষ্মীনারায়ণপুর, রামপুরহাট, লাভপুর, নানুর, ইলামবাজার, বোলপুরের সিয়ান বল্লভপুরের বাসিন্দারা যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে। পুজোয় ঢাক বাজানোর জন্য ডাক পাওয়ায় অন্য জেলা, ভিনরাজ্য ও বিদেশে বাড়তি রোজগারের আশায় পাড়ি দিচ্ছেন ঢাকিরা।উৎসবে আনন্দ দেন যাঁরা তাঁরাই বিচ্ছিন্ন থাকে উৎসব থেকে।

আরও পড়ুন: সংবাদপত্রই যখন মণ্ডপ! অভিনব থিম আসানসোলে

কারণ তাঁদের তাগিদ থাকে উৎসবের মাতোয়ারা হওয়ার থেকেও বেশি পরিবারের জন্য রুটি রুজির সংস্থানে। তাই বোধন পর্ব শুরু হতে না হতেই ঘর-বাড়ি পরিবার-পরিজন ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন বা দিয়েছেন দূর প্রান্তে।কেউ ঢাক, কেউ কাসর বাজিয়ে মাতৃ আরাধনার পরিপূর্ণতা দেন।আনন্দ দেন উৎসবে সামিল হওয়া সকলকেই।কিন্তু আনন্দের আঁচটুকু বিন্দুমাত্র উপভোগ করতে পারেন না।কারণ ঢাকিদের তাগিদ থাকে রুটি রুজি পরিবার-পরিজনদের প্রতি।উৎসবের দিনগুলি থাকেন নিলিপ্ত।এদের উৎসব হয় উৎসব শেষেই।

আরও পড়ুন: সুতোর সাজে প্রতিমা! উদ্বোধনের আগেই মানুষের ঢল এই পুজো মণ্ডপে

বাড়ি ফেরেন, কেউ থলি ভর্তি করে খাবার নিয়ে।কেউ আবার ফেরেন রোজকারের টাকা পকেটে নিয়ে।আর তাই দিয়েই পরিবারের সকল সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হন।বাড়ি ফেরার পরেই উৎসব পালনে ব্রত হন ঢাকিরা। বছরের অন্য দিনগুলিতে চাষবাস সহ শ্রমিকের কাজে যুক্ত থাকলেও উৎসবের দিনগুলিতে বাপ-ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা শিল্পকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন তাঁরাই।

সৌভিক রায়