কলকাতা: কেমন যেন হঠাৎই বদলে গেল জীবন। নারকীয় হত্যায়, বন্ধ হল দীর্ঘ দিন ধরে হোয়াটসঅ্যাপে চলা চ্যাট। আর হবে না দেখা, আর রাস্তায় হাত ধরে হাঁটতে গিয়ে লজ্জা পাবে না ও। ছোট ছোট এমন অনেক বিষয়ে ১৩ বছর ধরে বয়সে কিছুটা ছোট প্রেমিকার সঙ্গে মিশে বুঝে গিয়েছিল ডাক্তার প্রেমিক। ও সবার থেকে যেন কোথাও গিয়ে একটু আলাদা।
নম্র, ভদ্র,বিনয়ী পাশাপাশি স্বল্পভাষী। কোনও দিনই নিজের চাহিদার কথা সে ভাবে মুখ ফুটে বলতে পারত না। তাই ওকে আগলে রাখতে হতো সবদিক থেকেই। কিন্তু আরজি করে যাওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে কেমন যেন বদলাতে শুরু করেছিল ১৩ বছরের চেনা ভালোবাসার মানুষটা।
সম্পর্কের কারণে নয়, হাসপাতালের কাজ নিয়েই নানা ভাবে চাপ ও পারিপার্শ্বিক চাপেই যেন ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছিলেন মৃত চিকিৎসক। বিভিন্ন সময়ে কর্মক্ষেত্র নিয়ে আক্ষেপ জানালেও, ভালবাসতেন কাজ। তাই চাপ ও সমস্যায় পড়লেও সে বিষয়ে ঘূণাক্ষরেও টের পেতে দেননি মা-বাবা কিংবা ভালোবাসার ডাক্তার প্রেমিককেও।
নিয়মিত হত কথা, কোনও পেশেন্টকে নিয়েই হোক বা চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে- নানা সময়ে নদিয়ার হাসপাতালে কর্মরত সিনিয়র ডাক্তার প্রেমিকের কাছ থেকেও নিতো পরামর্শ। প্রেমিক ডাক্তারের কাছ থেকে শেষ নেওয়া উপহারও ছিল হ্যারিসনের ইন্টারনাল মেডিসিনের একটি বই।
এক অভিশপ্ত রাতই কেড়ে নিল মনের মানুষকে। আজ হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় ভালোবাসার চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার আসল প্রকৃত অজানা সত্য বেরিয়ে আসবে আশা ডাক্তার প্রেমিকের। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক ও সর্বোচ্চ সাজা হোক এখন এটুকুই দাবি তাঁর।
Rudra Narayan Roy