বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে!

RG Kar Case: ‘মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরুন, নাহলে…’ জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্টতই দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিল, ”আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। আমরা দুদিন দিচ্ছি আপনাদের। তার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে জুনিয়ররা কাজ করবেন না সেটা বলতে পারেন না।”

এখানেই শেষ নয়, প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমরা বলছি যদি এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন অবিলম্বে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সরকার। কিন্তু তাঁরা এর পরেও কাজে যোগ না দিলে আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকাতে পারি না।”

আরও পড়ুন: ময়না তদন্তের ‘সময়’ নিয়ে সংশয়! কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ…? কী তাঁর ডেজিগনেশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমাদের বলুন, আমরা এই কেসটা নেওয়ার পর আরজিকরে কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে? অন গ্রাউন্ডে কী কী করা হয়েছে সেটা জানান। জেলাশাসকদের যুক্ত করা হোক সব জেলার হাসপাতালের সঙ্গে এবং যা যা বাকি আছে তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করে দিতে বলুন।” এরপরই রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ”সিজ ওয়ার্ক চলার জন্য ২৩ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে। ১৫০০ মানুষের কার্ডিওলজিকাল প্রসিডিওর থমকে আছে রাজ্যে। তাঁরা যদি কাজে না ফেরেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, গত শুনানির দিনেই আপনারা বলেছেন। মেআই হেল্প বুথ Ransacked হয়েছে।”

এরপরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ”আপনারা কি আমাদের জানাতে পারেন যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিয়েছেন?” চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলির জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি। এরপরই প্রধান বিচারপতি কড়া সুরে জানিয়ে দেন, ”আমরা বলছি যদি এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন অবিলম্বে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সরকার। কিন্তু তাঁরা এর পরেও কাজে যোগ না দিলে আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকাতে পারি না।”

চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা বাইরে পরিষেবা দিচ্ছে আমরা তার প্রমাণ দিতে পারি।” প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, ”তাঁরা বাইরে পরিষেবা দিতে পারলে ভিতরে এসে পরিষেবা দিতে বলুন। আমরা দুদিন দিচ্ছি আপনাদের। তার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে জুনিয়ররা কাজ করবেন না সেটা বলতে পারেন না।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”এসপি এবং ডিএমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎকদের। পুরুষ এবং মহিলা চিকিৎসকদের পৃথক ডিউটি রুম, পৃথক টয়লেট, সিসিটিভির ব্যবস্থা করবেন।”