Kalatan Dasgupta

Kalatan Dasgupta: শেষ শুনানি, ভাইরাল অডিও-কাণ্ডে বামনেতা কলতানের রায় ঘোষণা আজ সন্ধ‍্যায়

কলকাতাঃ আজ, বুধবার অডিও টেপ কাণ্ডে কলতান দাশগুপ্ত মুক্তির আবেদনের শুনানি শেষ হল। সন্ধে ৭টায় রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ। নিজের চেম্বার থেকে রায় জানাবেন বিচারপতি। জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনায় হামলার আশঙ্কা সংক্রান্ত একটি ফোনালাপের অডিও ১৩ই সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে আসে। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান বিক্ষোভে বড়সড় হামলার চক্রান্ত চালাচ্ছে বামেদের একটি যুব সংগঠন। দুই নেতার মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে এমনই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ (যদিও এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ18 বাংলা৷) রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করতেই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুণাল ঘোষ৷ সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে।

আরও পড়ুনঃ ‘জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির সঙ্গে সহমত, কিন্তু এবার কাজে ফিরুন’, #JusticeforRGKar ব্যবহার করে নিরাপত্তা-আশ্বাস অভিষেকের

কলতান দাশগুপ্তের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন বলেন, ‘এক্ষেত্রে তিনটি সিজার লিস্ট। সাক্ষীরা সবাই পুলিশ। এখানেই সবচেয়ে বড় সন্দেহ যে এক্ষেত্রেও কারচুপি করা হয়েছে। সঞ্জীবের কাছে কিপ্যাড ফোন ছিল যাতে রেকর্ড করা যায় না। তাহলে কে রেকর্ড করল। ফোন যদি ট্যাপ করা হয় তাহলে সেটাও আইনের পরিপন্থী। আমরা তাই কলতানের বিরুদ্ধে করা FIR খারিজের আবেদন করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘41A নোটিস না দিয়ে গ্রেফতার করাও বেআইনি। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’

অন‍্যদিকে, রাজ‍্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ‘টেলিফনিক কথোপকথন দেখুন সেখানে কলতান যা বলেছেন তাতে যারা গন্ডগোল বাধাতে চাইছে তাদেরকে বাধা দেওয়ার বদলে তাকে এই কাজ করতে অনুপ্রানিত করছেন এবং অশান্তি পাকানোর কাজ করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। অর্থাৎ এখানে অভিজুক্তের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে।’

রাজ্যকে এরপর ফের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন করেন, ‘একজন রাজনৈতিক ব্যক্তির কাছে পেন ড্রাইভ পাওয়া গেল? যেহেতু অভিযুক্তের ফোন থেকে রেকর্ড করা যায় না তাহলে পেন ড্রাইভ এল কোথা থেকে? সাত দিন গ্রেফতারির পর পুলিশ কেন একথা বলছে না? যেটা নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে সেটা মিডিয়ার কাছে গেল কীভাবে? কথোপকথনে আরও যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেফতার করা হযেছে কি? ভয়েস রেকর্ড কি টেস্ট করেছে পুলিশ? না হলে কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার’

আরও পড়ুনঃ ফের নিগ্রহের শিকার কলকাতা পুলিশ! নাকা চেকিং-এ দুস্কৃতীদের হাতে আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট

যদিও রাজ্যের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, ‘পেন ড্রাইভ অবশ্যই একটি নথি। তার ভিত্তিতে গ্রেফতারিতে কোনও অসুবিধা থাকার কথা নয়। পুলিশ তাই করেছে। সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন মামলার ক্ষেত্রেও এধরনের ঘটনায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য করা হযেছে। পুলিশ নিয়ম মেনেই গ্রেফতার করেছে। আর কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ দেখছে। কিন্তু কথোপকথনে এটা স্পষ্ট যে কলতান কাজটা করতে বলছেন সঞ্জীবকে।’ কলতানের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, ‘গ্রেফতারি সম্পূর্ণ বেআইনি। এবং FIR কোনোভাবেই বৈধ নয়।’