কলকাতা: রাত দখলের রাতে ভাঙচুর চলল আরজি কর হাসপাতালে। প্রচুর মানুষ আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ভিতর থেকে আন্দোলনকারীরা বহিরাগতদের ভিতরে ঢুকতে বারণ করেন। কিন্তু এই বহিরাগতদের আটকানো যায়নি। মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকেন বহিরাগতরা। ভাঙচুর চালানো হয় সেই এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়েই। ঘটনাস্থলে নামে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয় হাসপাতালে। গভীর রাতে আসেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। উত্তেজনা জনতাকে সরাতে দেখা যায় তাঁকেও। এমার্জেন্সির ভিতরে ভয়াবহ অবস্থা। স্টোর রুম, ওষুধ, এমার্জেন্সি, অবজারভেশন রুম, ট্রলি রুম নির্বিচারে ভাঙচুর চালানো হয়।
এই পরিস্থিতিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন সিপিআইএম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে আজ রাতের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতে।
আরও পড়ুন: রাত দখলের রাতে আরজি করে হামলা! জোর করে ভিতরে ঢুকে হাসপাতালে ভাঙচুর বহিরাগতদের
এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ”রাতের অন্ধকারে হাসপাতালে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব লীলা দেখুন। শিউরে উঠবেন। ১) এরা কারা? ২) চিকিৎসক পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান মঞ্চে কিভাবে প্রবেশ করতে পারলো? ৩) রাতদিন আর জি কর মেডিকেল কলেজের মূল প্রবেশদ্বারের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিল না? ৪) প্রশাসনের সামনে এই তান্ডবলীলা চললেও প্রশাসন নিশ্চুপ কেন? ৫) তথ্য প্রমাণ লোপাট করেও শান্তি নেই? নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর এই অকথ্য নির্যাতন আবার কেন সংঘটিত হলো? এর জবাব পুলিশ মন্ত্রীকে দিতে হবে। কিসের এত ভয় মাননীয়ার! এ কোন বিভীষিকাময় রাজ্যে বাস করছি আমরা? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা না নিশ্চিত করতে পারলে এই মুহূর্তে পদত্যাগ করুন মুখ্যমন্ত্রী।”
মধ্যরাতে কলকাতা শহরে মেয়েদের ‘রাত দখলের’ কর্মসূচির মধ্যেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল আরজি কর হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু কারা ভাঙচুর চালালেন, তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কয়েক জন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন।