RG Kar Junior Doctor Aniket: প্রতিবাদী জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ অনিকেত মাহাত, বাড়িতে বয়স্ক বাবা-মা, দিদি কী করেন, জানুন পরিবারের পরিচয়

ঝাড়গ্রাম : ছেলের প্রতিবাদী মুখ দেখে গর্বিত বাবা-মা। ছোট থেকেই ছেলে অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করা তাঁর অভ্যাস। আজ জঙ্গলমহলের সেই ছেলেই আরজি করের ঘটনায় জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ ঝাড়গ্রাম জেলার শিলদার বাসিন্দা অনিকেত মাহাতো। অনিকেতের বাবা অপূর্ব কুমার মাহাতো অবসরপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট। মা তারারানী মাহাতো গৃহবধূ। অনিকেতের পরিবারে রয়েছে কেবলমাত্র বাবা ও মা। বিয়ে হয়ে গিয়েছে দিদির। বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের সন্দাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়ারী গ্রামের অনিকেতের জন্ম ভিটে। বাবার অবসরের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি তৈরি করে শিলদাতেই ১০ বছর ধরে বসবাস করছে অনিকেতের পরিবার।

কর্মসূত্রে বাবা বাইরে থাকায় অনিকেতের প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু হয় পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানের একটি প্রাইমারি স্কুলে। তারপর শিলদা রাধাচরণ বিদ্যামন্দির থেকে মাধ্যমিক পাস করে অনিকেত। ঝাড়গ্রাম শহরের কুমোদ কুমারী ইনস্টিটিউশন থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর এসএসকেএম থেকে এমবিবিএস পাস করেন অনিকেত। তারপর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এনাস্থেটিস নিয়ে এমডি পড়ছে অনিকেত। আর এর মধ্যেই আরজি করে নারকীয় ঘটনা ঘটায় ঘটনার বিচার চেয়ে ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সেই আন্দোলনেরই অন্যতম মুখ জঙ্গলমহলের এই ভূমিপুত্র অনিকেত।

আরও পড়ুনYellow Alert: বারবার কাঁপল আকাশ, বাতাসের প্রবল দাপটে, এক-দু’বার নয়, ১৩ হাজার বার বাজ পড়ল, তটস্থ এলাকাবাসী

অনিকেতের বাবা অপূর্ব কুমার মাহাতো বলেন, “ছেলে ছোট থেকেই প্রতিবাদী । অন্যায় দেখলে সহ্য করতে পারত না। স্কুলে একবার তার অংকের খাতায় ৯৮ নম্বরের জায়গায় ৩৪ নম্বর হয়ে গেছিল। আমাকে নিয়ে সোজা হাজির হয়েছিল প্রধান শিক্ষকের কাছে। তারপরেই অঙ্কের শিক্ষক তার পরীক্ষার খাতা পুনরায় দেখে নম্বর ঠিক করে। ছেলের জন্য কখনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। অনিকেত শান্ত স্বভাবের হলেও অন্যায় দেখলে গর্জে ওঠা তার একটি সাধারণ স্বভাব”।

মা তারারানী মাহাতো বলেন, “ছেলে ছোট থেকেই অন্যায় সহ্য করতে পারে না। কোথাও কোন অন্যায় হলে সে নিজেকে আটকে রাখতে পারে না প্রতিবাদ না করা পর্যন্ত”। অনিকেতের আরজি করের নিয়ে প্রতিবাদে বাবা-মা দুজনেই গর্বিত। তারা দু’জনেই বলেন, “সে যা করছে তা ঠিক করছে। তার পাশে আমরা রয়েছি। আরজি করের ঘটনার অভয়ার পরিবার বিচার পাক। আমরা এটাও চাই চিকিৎসকদের প্রতি মুহূর্তে নিরাপত্তা দেওয়া হোক”। কিন্তু বর্তমানে তাদের মনে একটাই আশঙ্কা এই সময়ে ক্ষতি হচ্ছে ছেলের পড়াশোনার। আর মাত্র কয়েকটা মাস তারপরেই তার ফাইনাল পরীক্ষা।

বুদ্ধদেব বেরা