সচিন থেকে ভিভিএস, ঋষভের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ সবাই

#সিডনি: উইকেট রক্ষক হিসেবে কম সমালোচনা সহ্য করতে হয় না তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিশ্চিত কয়েকটি ক্যাচ মিস করেছিলেন ঋষভ পন্থ। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করার সময় বাঁহাতের কনুইয়ে চোট পান। কিন্তু চিড় না ধরায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে আসেন তিনি। পঞ্চম দিন সকালে অধিনায়ক রাহানে ফিরে গেলে ব্যাটিং অর্ডারে তুলে আনা হয় তাঁকে। ঋষভ দেখিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়ানদের পাল্টা মার কী ভাবে দিতে হয়। প্রথমদিকে একটু ধরে খেললেন। কিন্তু তারপর থেকে নিজের স্বাভাবিক শট খেলা থেকে পিছিয়ে গেলেন না। দুরন্ত কাউন্টার অ্যাটাক করলেন কামিন্স,
লিওন দের।

মারলেন বারোটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক পেইন থেকে স্টিভ স্মিথ তখন রীতিমত টেনশনে ভুগছেন। যেভাবে খেলছিলেন ঋষভ তাতে মনে হচ্ছিল একাই হিসেব পাল্টে দেবেন। অবশেষে সাতা নব্বই রানে আউট হয়ে ফিরলেন। নিশ্চিত শতরান হারালেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাঠে চতুর্থ ইনিংসে এরকম ব্যাটিং দীর্ঘদিন দেখা যায়নি কোনও ভারতীয় র ব্যাট থেকে। তাঁর এই আক্রমনাত্মক মানসিকতার প্রশংসায় প্রাক্তন ক্রিকেটার রা। ম্যাচ জিততে না পারলেও ঋষভ পন্থের এই ইনিংস অনেকদিন মনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

সচিন তেন্ডুলকর

হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন একে অপরের থেকে আলাদা, ঠিক ততটাই আলাদা ছিল ঋষভ এবং পূজারার ইনিংস। ওয়েল প্লেড।

ভি ভি এস লক্ষণ

হয়তো শতরান পায়নি। কিন্তু যেভাবে খেলেছে তাতে গর্বিত বোধ করতে পারে। ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল ওই আক্রমনাত্মক ইনিংস। ওয়েল প্লেড ইয়ং ম্যান।

আকাশ চোপড়া

শতরান হাতছাড়া নিয়ে ভাবেনি। চাপের মুহূর্তে দলকে জেতানোর চেষ্টা করেছে। চোট নিয়ে এই লড়াই মনে রাখার মত।

সুরেশ রায়না

দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছ ভাই।

ইরফান পাঠান  

সাহসী লড়াই’ দেখে মুগ্ধ। অনেক প্রশ্ন এখন থেকে আর উঠবে না।

টম মুডি

সবচেয়ে যে ব্যাপারটা ভাল লাগল, তা হল চাপের মুখেও নিজের স্বাভাবিক খেলাকে তুলে ধরার চেষ্টা। লিভ বাই দা সোর্ড, ডাই বাই দা সোর্ড।