অস্ত্র লুঠের মূল কারিগর ছিলেন হাওড়া আমতার তরুণ শ্রীশ মিত্র

Rodda Arms Heist: তাঁর লুণ্ঠিত অস্ত্রেই বুড়িবালামের তীরে মরণপণ সংগ্রাম বাঘা যতীনের, স্মরণ রডা কোম্পানির অস্ত্র লুণ্ঠনের নায়ক বিপ্লবী শ্রীশ মিত্রকে

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: বিপ্লবী শ্রীশ মিত্রকে মনে রাখতে অস্ত্র লুণ্ঠন দিবস পালন হাওড়ার গ্রামে! স্বদেশী যুগের বিখ্যাত ঘটনা  রডা কোম্পানির অস্ত্রলুন্ঠন দিবস উদযাপন হল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ভারতের চরম ন্থী স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রায় প্রথম পর্বে ১৯১৪ সালের ২৬ অগাস্ট ঘটেছিল দুঃসাহসিক রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠন। এই লুন্ঠিত অস্ত্র ( তৎকালীন বিচারে অত্যাধুনিক মাউজার পিস্তল ) বেশ কিছু ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। বুড়িবালাম নদীর তীরে বিপ্লবী বাঘা যতীন এই লুন্ঠিত অস্ত্রেই তাঁর ঐতিহাসিক অসমসাহসী সংগ্রাম চালিয়েছিলেন। কালজয়ী এই সংগ্রাম ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম প্রাথমিকভাবে ছাপ ফেলেছিল। সেই অস্ত্র লুঠের মূল কারিগর ছিলেন হাওড়া আমতার তরুণ শ্রীশ।

এই রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠনের মূল নায়ক ছিলেন আমতার রসপুরের ভূমিপুত্র শ্রীশ মিত্র ওরফে হাবু। তিনি অস্ত্র লুন্ঠনের পরিকল্পনা নিয়েই রডা কোম্পানির চাকরি নিয়েছিলেন। কোম্পানিতে আধুনিক মাউজার পিস্তল এলে শ্রীশ মিত্র ও তাঁর সঙ্গীরা পরিকল্পনা করে ৫০ টি মাউজার পিস্তল ও ৪৬০০০ কার্তুজ লুন্ঠন করেন। জানা যায়, ব্রিটিশ পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে শ্রীশ অসমে আত্মগোপন করেন। কিন্তু তার পর তাঁর সন্ধান মেলেনি। আবার কেউ কেউ বলেন, ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতোই তাঁরও অন্তিম জীবন রহস্যের মোড়কে আবৃত।

আরও পড়ুন : গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপা, বদহজম সাফ নিমেষে! শুধু খাওয়ার সময় মানুন এই ছোট্ট নিয়ম

তাঁর আত্মত্যাগ ও বীরত্বের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে সেভাবে পরিচিত নয় বললেই চলে। সেই ইতিহাস বীর বিপ্লবী কথা তুলে ধরতে ঐতিহাসিক রডা কোম্পানির অস্ত্র লুন্ঠন দিবসটি পালন করল আমতা আওড়গাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপস্থিত ছিলেন লেখক, হাওড়া জেলা ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সম্পাদক সায়ন দে, শিক্ষক সৌমেন মণ্ডল।সকলে এই দিবসটির তাৎপর্য এবং অস্ত্র লুণ্ঠনের মুখ্য নায়ক শ্রীশ মিত্রের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধানশিক্ষক প্রদীপরঞ্জন রীত বলেন  “শ্রীশ মিত্র ওরফে হাবু মিত্র  আমতার ভূমিপুত্র। তাঁর জন্য আমরা গর্বিত। আমাদের কাছে দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা চাই স্কুলে ইতিহাসের সরকারি পাঠ্যপুস্তকে শ্রীশ মিত্রের অবদান আরও বিশদে তুলে ধরা হোক।

(ছবি : সোশ্যাল মিডিয়া)