Saayoni Ghosh: ‘আমি ভালোবাসি সেই প্রজন্মকে…’ মমতার কবিতা ছুঁয়ে গেল সায়নীকে

#কলকাতা: কবিতার বুনোটে তিনি সময়কে ধরে রাখেন, যখনই সময় পান গর্জে ওঠে তাঁর কবিসত্তা। আগুন ঝরে তাঁর কলমে। কবি হিসেবে কেউ কেউ তাঁকে উপহাস করেন ঠিকই। এমনকী কবিতার প্রসাদগুণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু, কলম থেমে থাকে না তাঁর। দিনশেষে বিনিদ্র চোখে একান্তে কলম-মুখে ভাষা ফোটে প্রতিবাদের, প্রতিবাদের। ঠিক তখনই যেন নিজেকে শাণিত কোরে তোলেন বাংলার ‘অগ্নিকন্যা’। তা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের উপর বহিরাগত হামলা হোক বা দিল্লি হিংসা অথবা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর বা গুরুত্বপূর্ণ সিএএ ইস্যু নিয়ে প্রতিবাদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিসত্ত্বা বারবার সামনে এসেছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এমনই এক কবিতা ছুঁয়ে গেল যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকেও।

সম্প্রতি দলের যুব সংগঠনের রাশ অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের হাতে দিয়েছেন মমতা। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে ভোটে হেরে গেলেও সায়নী উদ্যম, দলের জন্য দৌড়ঝাঁপ বিশেষ কেড়েছিল দলনেত্রীরও। সেই সূত্রেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সায়নীর হাতে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সংগঠনের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূল ভবনে বসছেন সায়নী। সেই সূত্রেই তাঁর হাতে আসে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র একটি সংখ্যা। যা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী পাঠিয়েছেন তাঁকে।

সেখান থেকেই একটি কবিতা ট্যুইটারে তুলে দিয়েছেন সায়নী। ‘প্রজন্ম’ শীর্ষক কবিতাটিতে মমতা লিখেছেন, ‘আমি ভালোবাসি সেই প্রজন্মকে/ যারা গড়ে তোলে ইতিহাস/ যাদের গর্জনে গর্জে ওঠে বাংলার গৌরব বিশ্বাস।/ আমার প্রিয় সদ্য জীবন/ সদ্য আশার আলো/ সবাইকে যারা আপন করে নেয়/ তারাই তো আমার ভালো।’ অর্থাৎ, ছোট্ট কবিতাটির প্রতিটি লাইনেই যুব সম্প্রদায়কেই কুর্নিশ করেছেন মমতা। যা দলের যুবনেত্রীর মনও ছুঁয়ে গিয়েছে।

বরাবরই যুব সম্প্রদায়ের উপর আস্থা রেখে পথ এগিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে যেমন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়েছেন মমতা, অপরদিকে তাঁর পুরনো পদ অর্থাৎ তৃণমূল যুব-র সভাপতি পদে বসেছেন সায়নীও। এবার কবিতার মাধ্যমেও মমতার যুব সম্প্রদায়ের জয়গান প্রকাশ্যে নিয়ে এলেন দলের যুবনেত্রী।