Sachin Tendulkar: সচিনের জন্মদিনে আবেগপ্রবণ কাম্বলি, বন্ধুকে দিলেন প্রাণের ভালোবাসা

মুম্বই: তাদের দুজনের বন্ধুত্ব ৪০ বছরের। সচিন তেন্ডুলকরের মতোই সাফল্য পাবেন বিনোদ কাম্বলি এমনটাই মনে করা হত। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও নষ্ট করেছেন। সচিনের অর্ধেকের অর্ধেকও পৌঁছতে পারেনি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। তবুও প্রিয় বন্ধু সম্পর্কে তার জন্মদিনে আবেগপ্রবণ কাম্বলি। তিনি জানিয়েছেন,অনেকে হয়তো স্রেফ ক্রিকেটারদের সাফল্যটাকেই দেখেন। কিন্তু শিখরে পৌঁছতে গেলে কতখানি পরিশ্রম করতে হয়, সে সব আড়ালেই থেকে যায়।

সকাল পাঁচটায় লোকাল ট্রেনে চেপে ভারি কিটস ব্যাগ নিয়ে প্র্যাকটিসে যেতে হত আমাকে। পরিবারের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ট্রেনে এত ভিড় হতো যে, ভেন্ডরে উঠতে বাধ্য হতাম। আর যখন নামতাম স্টেশনে, তখন গা থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ ছাড়ত। কোচিংয়ে পৌঁছনোর পর স্যার বলতেন, কীরে আজও আসতে খুব কষ্ট হল, তাই না! শচীনেরও তাই। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ওকেও।

আরও পড়ুন – Rahane: রাহানেকে বিশ্বকাপের দলে না নিলে ভুল করবে ভারত! অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ শাস্ত্রী

তবু আমরা শুরু থেকে লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম— বড় ক্রিকেটার হতে হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলনের পর চুটিয়ে আড্ডা দিতাম আমরা। সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত বড়া পাও মুখে দিলে। আমাদের দু’জনেরই ভীষণ পছন্দের খাবার এটা। আচরেকর স্যারও সেটা জানতেন। সময়-সুযোগ পেলে আমাদের স্কুটারে চাপিয়ে শিবাজি পার্কের পাশের এক দোকানে নিয়ে যেতেন বড়া পাও খাওয়াতে।

ক্রিকেট জীবনের মোড় ঘোরানো অধ্যায় হ্যারিস শিল্ডে অপরাজিত ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ, যা জায়গা করে নিয়েছিল রেকর্ড বুকে। স্কুল ক্রিকেটে ওই পার্টনারশিপ রাতারাতি আমাদের প্রচারের আলোয় এনে দিয়েছিল। তারপর মুম্বই রনজি দলের হয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ঢুকে পড়ল শচীন।

১৯৮৭-র বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে সেমি-ফাইনাল ম্যাচে বল বয় হওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমাদের দু’জনের। ১৯৯২-র বিশ্বকাপে আমরা ছিলাম ভারতীয় দলে। পরের আসরেও দু’জনে একসঙ্গে খেলেছি। আমার কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও বন্ধু শচীনের সৌভাগ্য হয়েছিল বিশ্বজয়ীর পদক গলায় ঝোলানোর।

আমি খেলা ছেড়েছিলাম অনেক আগেই। তারপর নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে শচীনের সঙ্গে বন্ধুত্বে কখনও ভাটা পড়েনি। জীবনে কখনও কিছু চাইনি ওর থেকে। কিন্তু সমস্যার কথা জানলে নিজের থেকে এগিয়ে এসেছে। জুগিয়েছে ভরসা।