Tag Archives: Vinod Kambli

Vinod Kambli: পা টলছে ! পথচারীদের কাঁধে ভর দিয়ে পেরোচ্ছেন রাস্তা, বিনোদ কাম্বলির ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়

মুম্বই: জনবহুল রাস্তা। বাইকে ভর দিয়ে কোনও রকমে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বিনোদ কাম্বলি। নিজে দাঁড়াতে পারছেন না। পা টলছে। শরীরে যেন কোনও শক্তি নেই। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের এই ভিডিও এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায় !

ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে, অসহায় মুখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন কাম্বলি। তাঁর এই পরিস্থিতিতে দেখে এগিয়ে যান দু’জন পথচারী। তাঁরাই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে হাত ধরে পৌঁছে দেন গন্তব্যে। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি  News18 Bangla।

আরও পড়ুন– বাংলাদেশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনকে স্বাগত বঙ্গ বিজেপির, কী বললেন শমীক ভট্টাচার্য?

২০১৩ সালে মুম্বইতে গাড়ি চালানোর সময় আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বিনোদ কাম্বলি। তারপর থেকেই একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার। গত বছর তাঁর দু’টি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টিও হয়েছিল।

ক্রিকেটপ্রেমীদের নাড়িয়ে দিয়েছে অসহায় কাম্বলির এই ভিডিও। প্রাক্তন ব্যাটারের চলচ্ছক্তিহীন রূপ আশা করেননি নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা প্রার্থনা করেছেন, “ঈশ্বর যেন শক্তি দেন, সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার ক্ষমতা দেন কাম্বলিকে।’’

ক্রিকেট মাঠে উইলো হাতে তাণ্ডব করতেন কাম্বলি। বিপক্ষের বোলারদের ছিঁড়ে খাওয়ার ক্ষমতা ছিল তাঁর। সচিন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে তাঁর ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ তো ভারতীয় ক্রিকেটে রূপকথা হয়ে রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ারকে লম্বা সময় টেনে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি।

কাম্বলি সচিনের উচ্চতায় উঠতে না পারলেও তাঁর অবিশ্বাস্য নকগুলি নিয়ে আজও চায়ের কাপে তুফান তোলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ৯৬-এর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তাঁর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়ার দৃশ্য আজও চোখে ভাসে ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের।

আরও পড়ুন– প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস অবিনাশ সাবলের ! ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজের ফাইনালে উঠলেন ভারতীয় অ্যাথলিট

অবিশ্বাস্য প্রতিভা এবং ব্যাটিং দক্ষতা। বিনোদ কাম্বলির মধ্যে দুইই ছিল। ওয়ান ডে-তে টি২০ স্টাইলে ব্যাটিং করতে পারতেন। টেস্টেও তাঁর ব্যাটিং ছিল চোখ জোড়ানো। ভারতীয় জার্সিতে ১৭টি টেস্ট খেলেছেন কাম্বলি। ওয়ান ডে খেলেছেন একশোর বেশি।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১০ হাজার রান রয়েছে কাম্বলির ঝুলিতে। এর মধ্যে এক ইনিংসে ২৬২ রান অন্যতম। এছাড়াও লিস্ট এ গেমে সাড়ে ৬ হাজার রান রয়েছে তাঁর। এক ইনিংসে তাঁর অপরাজিত ১৪৯ রানের ইনিংস আজও অম্লান।

Sachin Tendulkar: সচিনের জন্মদিনে আবেগপ্রবণ কাম্বলি, বন্ধুকে দিলেন প্রাণের ভালোবাসা

মুম্বই: তাদের দুজনের বন্ধুত্ব ৪০ বছরের। সচিন তেন্ডুলকরের মতোই সাফল্য পাবেন বিনোদ কাম্বলি এমনটাই মনে করা হত। প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও নষ্ট করেছেন। সচিনের অর্ধেকের অর্ধেকও পৌঁছতে পারেনি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। তবুও প্রিয় বন্ধু সম্পর্কে তার জন্মদিনে আবেগপ্রবণ কাম্বলি। তিনি জানিয়েছেন,অনেকে হয়তো স্রেফ ক্রিকেটারদের সাফল্যটাকেই দেখেন। কিন্তু শিখরে পৌঁছতে গেলে কতখানি পরিশ্রম করতে হয়, সে সব আড়ালেই থেকে যায়।

সকাল পাঁচটায় লোকাল ট্রেনে চেপে ভারি কিটস ব্যাগ নিয়ে প্র্যাকটিসে যেতে হত আমাকে। পরিবারের অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। ট্রেনে এত ভিড় হতো যে, ভেন্ডরে উঠতে বাধ্য হতাম। আর যখন নামতাম স্টেশনে, তখন গা থেকে মাছের আঁশটে গন্ধ ছাড়ত। কোচিংয়ে পৌঁছনোর পর স্যার বলতেন, কীরে আজও আসতে খুব কষ্ট হল, তাই না! শচীনেরও তাই। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ওকেও।

আরও পড়ুন – Rahane: রাহানেকে বিশ্বকাপের দলে না নিলে ভুল করবে ভারত! অসাধারণ ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ শাস্ত্রী

তবু আমরা শুরু থেকে লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম— বড় ক্রিকেটার হতে হবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলনের পর চুটিয়ে আড্ডা দিতাম আমরা। সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত বড়া পাও মুখে দিলে। আমাদের দু’জনেরই ভীষণ পছন্দের খাবার এটা। আচরেকর স্যারও সেটা জানতেন। সময়-সুযোগ পেলে আমাদের স্কুটারে চাপিয়ে শিবাজি পার্কের পাশের এক দোকানে নিয়ে যেতেন বড়া পাও খাওয়াতে।

ক্রিকেট জীবনের মোড় ঘোরানো অধ্যায় হ্যারিস শিল্ডে অপরাজিত ৬৬৪ রানের পার্টনারশিপ, যা জায়গা করে নিয়েছিল রেকর্ড বুকে। স্কুল ক্রিকেটে ওই পার্টনারশিপ রাতারাতি আমাদের প্রচারের আলোয় এনে দিয়েছিল। তারপর মুম্বই রনজি দলের হয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ঢুকে পড়ল শচীন।

১৯৮৭-র বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যে সেমি-ফাইনাল ম্যাচে বল বয় হওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমাদের দু’জনের। ১৯৯২-র বিশ্বকাপে আমরা ছিলাম ভারতীয় দলে। পরের আসরেও দু’জনে একসঙ্গে খেলেছি। আমার কাপ জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও বন্ধু শচীনের সৌভাগ্য হয়েছিল বিশ্বজয়ীর পদক গলায় ঝোলানোর।

আমি খেলা ছেড়েছিলাম অনেক আগেই। তারপর নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে শচীনের সঙ্গে বন্ধুত্বে কখনও ভাটা পড়েনি। জীবনে কখনও কিছু চাইনি ওর থেকে। কিন্তু সমস্যার কথা জানলে নিজের থেকে এগিয়ে এসেছে। জুগিয়েছে ভরসা।