Report: Aashika Singh
কুলতলি: বাড়ির নীচে সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গ এসে মিশেছে পাশের নদীতে। আর নদীপথে সোজা বাংলাদেশ। অভিযোগ, এভাবেই মূর্তি পাচার করতেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলির বাসিন্দা সাদ্দাম সর্দার। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই সাদ্দামের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। খোঁজ মেলে সুড়ঙ্গের। তবে সেই সময় সাদ্দামের হদিশ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, মাটির নীচের একটি ঘরে সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল সাদ্দাম সর্দার। পুরোটাই কংক্রিটের তৈরি। সুড়ঙ্গর একদিক খুলত ঘরে। অন্য দিক পাশের খালের সঙ্গে যুক্ত। অভিযোগ, নকল সোনার মূর্তি দিয়ে নদিয়ার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন সাদ্দাম। সেই ঘটনাতেই সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে সাদ্দামের গ্রেফতারি সহজ হয়নি মোটেই। কুলতলিতে পৌঁছতেই পুলিশকে ঘিরে ফেলে উত্তেজিত জনতা। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের হাত থেকে সাদ্দামকে ছাড়িয়ে নেয় তারা। ভয় দেখাতে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়ে দুর্বৃত্ত দল। এসবের মাঝেই পালান সাদ্দাম।
স্ত্রী, ভাই গ্রেফতার: পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় সাদ্দামের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রতিটা ঘরে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তখনই সুড়ঙ্গের হদিশ মেলে। হতবাক হয়ে যায় পুলিশ। অনুমান করা হয়, এই পথ দিয়েই বাংলাদেশে পালিয়েছে সাদ্দাম। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সাদ্দামের স্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার বলেন, “কেউ রেহাই পাবে না।’’
বারুইপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, “সাদ্দাম ও তাঁর ভাই সাইরুল বেশ কয়েকটি মামলায় অভিযুক্ত। পুলিশ বাড়িতে অভিযান চালালে পালানোর জন্যই সুড়ঙ্গ খুঁড়েছিল তাঁরা।’’ সঙ্গে সাদ্দামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, “সোনার বার আর মূর্তি সস্তায় বিক্রি করবে বলে লোভ দেখাত ক্রেতাদের। কিন্তু সবই নকল। ক্রেতারা এলে সাদ্দাম তাঁদের নির্জন জায়গায় নিয়ে যেত। তারপর তাঁদের উপর হামলা করে সর্বস্ব লুঠপাট করে পালাত।’’ প্রসঙ্গত, সাদ্দামের বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।