আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলা নিয়ে সঞ্জয় রায়কে শুধু গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার চলে গেলেও আর কেউ গ্রেফতার হয়নি, এর মধ্যে ২৫ অগাস্ট পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয় সঞ্জয়ের। পলিগ্রাফ টেস্টের উত্তরের উপর তদন্তের গতিপ্রকৃতি বেশ কিছুটা নির্ভর করত বলে মনে করা হচ্ছিল।

Sanjay Rai-RG Kar Case: জেলের মধ্যে এ কী শুরু করেছেন আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতার সঞ্জয়! ‘আবদার’ শুনে মাথা ঘুরে যাবে

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও বর্তমানে ওই তদন্ত করছে সিবিআই। তাই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন সিবিআইয়ের দায়িত্বে। অবশ্য বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে সঞ্জয়। আর সেখানেই তার একের পর এক বায়ানাক্কার কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। যা রীতিমতো চমক ওঠার মতো।

জেল সূত্রে খবর, জেলের খাবার নিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন সঞ্জয়। এক কারারক্ষীকে সঞ্জয় প্রশ্ন করেন, ”আজ রাতে খাবার কী আছে?” উত্তর আসে, ”রুটি-সবজি।” আর এই উত্তর শুনেই সঞ্জয় রীতিমতো ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলে জানা গিয়েছে। তার দাবি, রাতে তাকে এগ চাউমিন খেতে দেওয়া হোক। যদিও জেলের নিয়মে সব বন্দির জন্য যে খাবার তৈরি করা হয়, প্রত্যেককে সেই খাবারই খেতে হয়। ফলে সঞ্জয়ের এই চাউমিনের আবেদন ধোপে টেকেনি।

আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যে কী নিয়ে যাচ্ছিল ওরা! সর্বনাশ, ধরা পড়তেই যা বেরল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে যখন সঞ্জয়ের কাছে রুটি-সবজি পৌঁছে দেওয়া হয়, তখনও নাকি এ নিয়ে রাগ দেখায় সে। কিন্তু কারারক্ষীদের ধমক খেয়েই পরে খাবার খেয়ে নেয় সে।

এর আগে সিবিআই হেফাজত থেকে যখন জেল হেফাজত হয় সঞ্জয়ের, তখন জেলে ঢুকেই কারারক্ষীদের হাতজোড় করে আর্জি জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয়। তাকে শান্তিতে ঘুমোতে দেওয়ার আবেদন করে সে। এমনকী নানা সময় বিড়বিড় করছে সে। তবে, কয়েকদিন যেতেই ফের স্বমূর্তিতে ফিরেছে সে। এখন তার নতুন আবদার খাওয়ার নিয়ে।