শিব মন্দির 

Sawan 2024: মহানন্দার তীরে ইতিহাস মাখা এই শিবমন্দির মহাজাগ্রত, শ্রাবণে লক্ষ-লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান এইস্থানে

উত্তর দিনাজপুর: ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই শিব মন্দির! ঘন জঙ্গলে আজও বহু মানুষ আসেন এই শিব মন্দিরে পুজো দিতে জানেন কি এই মন্দিরের ইতিহাস?

উত্তর দিনাজপুরের প্রাচীনতম নিদর্শনগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইটাহার থেকে আনুমানিক ৭ কিলোমিটার দূরে মরা মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই শিব মন্দির। জানা যায় কৃষক ও প্রজাদের মঙ্গল কামনার জন্য চূড়ামনের জমিদার জগৎ বল্লভ রায় চৌধুরী তিনি এই মন্দিরটি স্থাপন করেন। এই মন্দিরটি দীর্ঘ ৯ ফুট প্রস্থ ৮ ফুট এবং চূড়াসহ এর উচ্চতা ১৫ ফুট।

জানা যায় জমিদারি আমলে এই মন্দিরটি তে প্রচুর ধুমধামের সঙ্গে এবং নিয়ম-নিষ্ঠা সহকারে শিব পূজা করা হতো। এখনও শ্রাবণ মাস ও শিব রাত্রিতে বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। অনেকেই মনে করেন মন্দিরে নিষ্ঠা সহকারে পূজো দিলে ভোলানাথ ভক্তের সমস্ত মনোকামনা পূরণ করেন। এই মন্দিরটি চারপাশে ঝোপ জঙ্গলে পরিপূর্ণ।

আরও পড়ুন – Ind vs Ire: হকিতে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে অলিম্পিক্স পুল বি পয়েন্ট টেবলে এক নম্বরে ভারত, বেলজিয়াম, অস্ট্রেলিয়াকে টেক্কা

এই মন্দিরে কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ রয়েছে। এখানকার সাধারণ মানুষরা জানান এই মন্দিরটিতে প্রায় সময় বিষাক্ত সাপেদের দেখা যায়। তবে এরা কখনো কাউকে ক্ষতি করেনি এই মন্দিরটি বহু বছর ধরে এই সাপেরাই রক্ষা করে আসছে। তবে সাপের ভয়ে অনেকেই এখানে পূজো দিতে আসতে ভয় পেলেও এখনো এই রাজ পরিবারের সদস্যরা নিত্যদিন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।

এই মন্দিরটির পিছনেই রয়েছে চূড়ামনের প্রাচীন সেই রাজবাড়ি যা মহানন্দা নদীর কবলে পড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। মনে করা হয় ভাঙ্গা ঘরে জোপ জঙ্গলে নির্মিত এই মন্দিরে পুজো দিলেই ভক্তের সমস্ত মনস্কামনা পূরণ হয়।
Piya Gupta