স্মার্ট গেজেট

North 24 Parganas News: দৃষ্টিহীনদের পথচলা এবার আরও সহজ, শুধু হাতে রাখতে হবে অভিনব এই জিনিস

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রযুক্তির হাত ধরে দৃষ্টিহীন এবং ক্ষীণদৃষ্টির মানুষদের অন্যের সাহায্য ছাড়াই রাস্তা পারাপারের জন্য অশোকনগর মেনাসরোজনী পাহাড় হাই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তৈরি করেছেন এক অভিনব আবিষ্কার। যার নাম রাখা হয়েছে ‘এসো বন্ধু হাত ধরো’ সায়েন্স মডেল। ব্যস্ত রাস্তায় কখন সিগন্যাল হচ্ছে বা হচ্ছে না থেকে জেব্রা ক্রসিং বুঝতে পারা এবং পথে কোনও বাধা রয়েছে কিনা তাও এই স্মার্ট যন্ত্রের সাহায্যে বুঝে নিতে পারবেন দৃষ্টিহীনরা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এই সায়েন্স মডেল তৈরি করে ইতিমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে জেলার অন্যতম এই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা।

এহেন সায়েন্স মডেলের জন্য ইতিমধ্যেই জেলার মধ্যে নানা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান দখল করেছে তারা। এমনকি রাজ্য যুব দফতরের আয়োজিত সায়েন্স মডেল প্রতিযোগিতাতেও প্রথম হয়েছে এই স্মার্ট মডেল। জানা যায়, অশোকনগরের মেনা সরোজিনী পাহাড় হাইস্কুলের ক্যাম্পাসেই আলাদাভাবে একটা ঘর রয়েছে। ক্লাসের পর এই ঘরে বসেই স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সায়েন্স মডেল তৈরির কাজ করেন। ঘরের নামকরন করা হয়েছে ‘সৃস্টি সুখের উল্লাস’। স্কুলের প্রধান শিক্ষক-সহ বিজ্ঞানের শিক্ষক শিক্ষিকারা সায়েন্স মডেল তৈরিতে সহায়তা করেন ছাত্রছাত্রীদের। প্রাক্তনীরাও আসেন এখানে।

আরও পড়ুন-   গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!

দৃষ্টিহীনদের পথ চলার সুবিধার জন্যই ছাত্রছাত্রীরা তৈরি করেছেন সিগন্যালিং গেজেট এবং স্মার্ট স্টিক। এ প্রসঙ্গে স্কুলের রসায়নের শিক্ষক সুমিত কুমার রায় বলেন, রাস্তা পারাপারের জন্য কখন সিগন্যাল হচ্ছে বা হচ্ছে না সেটা দৃষ্টিহীনদের বোঝানোর জন্য ছাত্রছাত্রীরা একটা সিগন্যালিং গেজেট তৈরি করেছে।এর মাধ্যমে সিগন্যাল সবুজ হলেই একটা ভাইব্রেট হবে। তার থেকেই রাস্তা পারাপারের সংকেত পেয়ে যাবেন দৃষ্টিহীন মানুষরা। এছাড়াও কোথায় জেব্রা ক্রসিং আছে বা জেব্রা ক্রসিং পার হতে গেলেও ভিন্ন ভিন্ন ভাইব্রেটের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন তাঁরা।

সায়েন্স মডেল স্মার্ট স্টিকের মাধ্যমে রাস্তার ১ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও বাঁধা থাকলেও সংকেত পাবেন দৃষ্টিহীনরা। তাদের চলার পথে কোথাও জল আছে কি না, আলো না অন্ধকার, সেটাও দৃষ্টিহীনদের সহজেই বুঝিয়ে দেবে স্মার্ট স্টিক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তৈরি সায়েন্স মডেল ইতিমধ্যেই নানা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মানুষের মন জয় করেছে। আগামী দিনে এই আবিষ্কার মানুষের কাজে কিভাবে লাগানো যায় তার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে স্কুলের তরফ থেকে। তবে স্কুল পড়ুয়াদের এই আবিষ্কার দৃষ্টিহীন মানুষদের চলার পথ আরও মসৃণ করে দেবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

Rudra Narayan Roy