লাইফস্টাইল Sesame Seeds Benefits: তিল তিল করে ক্যালসিয়াম-ম্যাগনেসিয়াম-ফসফরাসে ভরা তিল, শীতের আগেই খাওয়া শুরু করুন! জানুন ডাক্তারের পরামর্শ Gallery October 20, 2024 Bangla Digital Desk তিলের বীজ আমাদের শরীরে উষ্ণতা বৃদ্ধি করে। তাই শীতকালে আমাদের দেশে এর ব্যবহার বেশি করা হয়। তিল দেখতে ছোট হলেও এটি ঔষধি গুণে ভরপুর। আমাদের রোজকার খাবারেও তিলের বীজ ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি শরীরে উষ্ণতা প্রদানে কার্যকর। প্রবীণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এবং হোমিওপ্যাথিক কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. প্রিয়রঞ্জন আমাদের জানিয়েছেন যে, প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে তিল খাওয়ার প্রথা চলে আসছে। এখানে মকর সংক্রান্তির আগে থেকেই তিল খাওয়া শুরু হয়, কারণ তিল নানা ভাবে শরীরের জন্য উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। খাবারে তিল নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। এগুলি থেকে অনেক ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয় । তিলের লাড্ডু স্বাদ ও স্বাস্থ্যগুণ, দু’টোতেই ভরপুর। কালো তিলে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, আয়রন, ফসফরাসের মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় কালো তিলের বীজ অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি সমৃদ্ধ উৎস । যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। খাদ্যতালিকায় কালো তিল অন্তর্ভুক্ত করা দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এই বীজগুলিতে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলি ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং হৃদরোগ কমাতেও সহায়তা করে। রূপচর্চায় কালো, সাদা– দু’ধরনের তিলের তেলই ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তিল যেমন উপকারী, তেমন তিলের তেলেরও যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ এবং প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টেও রয়েছে তিলের মধ্যে। সাদা তিলের মধ্যে এমন যৌগ থাকে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শীতে এমনিতেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কোনও মতেই কোলেস্টেরলের সমস্যা বাড়তে দিলে চলবে না এই সময়। তাই শীতের মরসুমে ডায়েটে তিল রাখা উপকারী। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতেও তিলের তেল মাখতে পারেন। তিলের তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে। যাঁদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক, তাঁদের শীতকালে ভোগান্তি বাড়ে। তবে শীত আসার আগে থেকে যদি তিলের তেল মাখতে শুরু করেন তা হলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিলে ভাল মাত্রায় ফাইবার থাকে। তাই তিল খেলে বিপাকহার বাড়ে। ডায়াবেটিকদের জন্যেও বেশ উপকারী তিল। যে কোনও সংক্রমণে ডায়াবেটিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি ভাবতে হয়। ফলে শীতকালে ডায়াবেটিসের রোগীদের বিশেষ ভাবে প্রয়োজন পড়ে তিলের।