লাইফস্টাইল Shaak: আয়রনের ভাণ্ডার…! গরিবের স্বাস্থ্যখনি…! ছোট ছোট পাতার এই ‘শাক’ শিরায় শিরায় ভরে দেয় লোহার শক্তি! নাম জানলে ছুটবেন খুঁজতে Gallery August 26, 2024 Bangla Digital Desk সুস্থ থাকতে অনেকেই মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন যে আমাদের আশেপাশে ছড়িয়ে আছে এমন একাধিক সবুজ শাক সবজি যা নানা ধরণের ঔষধি ও পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। ছোট ছোট পাতার শুষনি শাক এই তালিকায় অন্যতম। সাধারণত জলার ধারে দেখতে পাওয়া যায় এই শাক। গরিবের ঘরে এই শাক এখনও হেলাফেলায় খাওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই বাজারে গিয়ে খোঁজ করেন না এই শাকের। তবে চমকে যাবেন জানলে যে গ্রাম বাংলার অত্যন্ত পরিচিত এই শাকের রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা শরীরে রক্তশূন্যতা দূর করে। স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যের দিক থেকেও এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ড প্রভাত কুমার এই শাক ব্যবহারের বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে একাধিক তথ্য দিয়েছেন যা চমকে দেবে। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় উপকারী:ড প্রভাত কুমার জানান, শরীরের যে কোনও ধরনের ফোলাভাব, রক্তাল্পতা ও প্রস্রাবের সমস্যা কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি খুবই উপকারী। চিকিৎসক আরও বলেন, শরীরে যখন রক্তের অভাব হয়, তখন এটি খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তিনি বলেন, জন্ডিসের সমস্যায়ও এর সেবন খুবই উপকারী। ছোট পাতা বিশিষ্ট এই সবুজ শাক মিষ্টি এবং টক স্বাদের হয়। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের জন্য অমৃত:ড প্রভাত তাঁর পরামর্শে বলেন, আদিবাসী অঞ্চলে এটি পিঁপড়ে শাক নামে পরিচিত। হালকা জলে সিদ্ধ করার পর ব্ল্যাক সল্ট মিশিয়ে সেবন করুন এই শাক। তিনি বলেন, গর্ভবতী এবং প্রসব পরবর্তী মহিলাদেরও এই শাক খাওয়া উচিত। এতে গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে রক্তের অভাব দূর হয়। এই সবুজ শাক সাধারণত জলের ধারে পাওয়া যায়। তবে, এটি ছাড়াও, এটি বন বাদাড়ে পাওয়া যায়। এপ্রিলের পর মে থেকে জুলাই-অগাস্ট পর্যন্ত এই শাক পাওয়া যায়। অনিদ্রা দূর করে – ইনসোমনিয়াতে অনেকেই ভোগেন আজকাল। স্ট্রেস তার অন্যতম কারণ। এই সমস্যার সুরাহা পেতে পাতে রাখতে পারেন শুষনি শাক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শ্বাসকষ্টের সমস্যায়: শুষনি শাক সিদ্ধ করে জল ফেলে দেবেন না। বরং এই জল নিয়মিত সেবন করলে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়া যায়।মাইগ্রেনের আরাম – মাইগ্রেনে স্নায়ুকোশগুলির মধ্যে প্রদাহ হয়। এই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে শুষনি শাকের পুষ্টিগুণ। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মোক্ষম: শুষনি শাক বাটা খেলে উচ্চ রক্তচাপ মাথা চাড়া দিতে পারে না। এর মধ্যে অল্প চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন চাইলে। ত্বকের সমস্যায় – ত্বকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে শুষনি শাক। সোরিয়াসিস, একজিমা নিয়ন্ত্রণে রাখে শুষনি শাক। হজমের শক্তি বাড়ায় – শুষনি শাক মানেই ফাইবারে ভরপুর একটি খাবার। আর এই ফাইবার আমাদের কোলনের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাবার হজম করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় – কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচায় শুষনি শাক। শাকের ফাইবার বাওয়েল মুভমেন্ট সঠিক রাখে। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।