গত ২৩ জুন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বলিউড তারকা সোনাক্ষী সিনহা এবং জাহির ইকবাল। যা নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলাও হয়েছে। তবে সোনাক্ষীর বিয়ের পরপরই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁর বাবা তথা বর্ষীয়ান অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। যার জেরে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল মুম্বইয়ের কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতালে।উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতার ভক্তরা। তবে অবশ্য বার্ষিক রুটিন চেক-আপের পরে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এদিকে আবার সিনহা পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পহলাজ নিহালানি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, শত্রুঘ্ন সিনহা হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।নিহালানির কথায়, “হ্যাঁ, শত্রু হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। আমি তো উচ্ছ্বসিত!” অভিনেতাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী পুনম এবং দুই পুত্র লব আর কুশ। তবে অভিনেতার কন্যা সোনাক্ষী এখন স্বামী জাহিরের সঙ্গে একান্তে ভালবাসার মুহূর্ত কাটাচ্ছেন।এদিকে ভক্তদের মধ্যে জোর জল্পনা, সোনাক্ষীর সঙ্গে তাঁর দাদা লবের সম্পর্ক আর ভাল নেই। কারণ জাহিরের সঙ্গে বোনের বিয়ে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না লব। আবার চর্চা শুরু হয়েছে যে, সোফা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। যার জেরে তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে।তবে সেই সব জল্পনায় জল ঢেলে তিনি জানিয়েছেন যে, “আরে ভাই, আমার সার্জারি হল, আর আমিই জানি না।” এরপর কেন হাসপাতালে ভর্তি হতে হল, সেই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়।তিনি জানান, “আমার বার্ষিক রুটিন ফুল-বডি চেক-আপ হয়েছে। আমি তো ষাটোর্ধ্ব সকলকেই এই পরামর্শ দিয়ে থাকি। ভোটের প্রচারের জন্য আমাকে তিন মাস ধরে টানা ছোটাছুটি করতে হয়েছে। এরপরেই আমার মেয়ের বিয়ে হল। আমি তো আর এখন সেই তরুণ নেই, যাঁর রক্ত টগবগ করে সারাক্ষণ ফুটবে। যিনি এক দিনে তিন শিফটে কাজ করেও সারা রাত পার্টি করার এনার্জি পেয়ে যাবেন। আমায় তো গতি কমাতেই হবে।”মেয়ের বিয়ে নিয়ে যে কতটা খুশি তিনি, সেটাও জানাতে ভোলেননি বর্ষীয়ান অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “সব কিছু ভাল ভাবে মিটে গিয়েছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমার মেয়ে এখন বিবাহিত জীবনে খুবই সুখী। তবে নিন্দকরা যাঁরা এটা নিয়ে খুশি নন, তাঁদেরকে আমার কিছু বলার নেই।”
