Tag Archives: Shatrughan Sinha

Lok Sabha Election 2024: চতুর্থ দফায় নজর কাড়বে এই জেলার ভোট, বাঙালি-অবাঙালি মিশ্রণে নির্ধারক একাধিক সমীকরণ

পশ্চিম বর্ধমান: শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের প্রচার শেষ হলো। আগামী সোমবার অর্থাৎ ১৩ মে বহরমপুর, পূর্ব বর্ধমানের আসনগুলির পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও ভোটগ্রহণ হবে। এই জেলায় আসানসোলের পাশাপাশি বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাংশ পড়ছে।

নির্বাচন উপলক্ষে একেবারে প্রস্তুত প্রশাসন। ফলে জেনে নেওয়া যাক পশ্চিম বর্ধমান জেলার সার্বিক ভোট প্রস্তুতির চিত্রটা কী রকম? প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লক্ষ ৩ হাজার ৪২৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৮৩ জন। অন্যদিকে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৯ হাজার ৮০২ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৪০ জন।

আর‌ও পড়ুন: সম্ভাবনা থেকেও পর্যটন মানচিত্রে নেই দাঁতন, ভোটের আগে বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবাসীর নতুন দাবি

এই জেলায় রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র। একটি আসানসোল, যা পুরোপুরি এই জেলার মধ্যেই অবস্থিত। অপরটি বর্ধমান-দুর্গাপুর। এই কেন্দ্রটির একাংশ পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমানে পড়ছে। জেলায় মোট বুথের সংখ্যা ২৪৯৮ টি। ১২৭৪ জায়গায় থাকছে পোলিং স্টেশন বা ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। অন্যদিকে জেলায় ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল উত্তর এবং সবথেকে ছোট পাণ্ডবেশ্বর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নতুন ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে অনেকটা। এই ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৩৮ জন। যার মধ্যে ১৯,৭২৬ জন পুরুষ এবং ১৫,৭১১ জন মহিলা ভোটার। তাছাড়া রয়েছেন একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভোটারে সংখ্যা ৯,১৮১ জন। বিশেষভাবে সক্ষম ভোটার আছেন ১৪,৪৫৮ জন। এই বয়স্ক ভোটার এবং বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের জন্য নির্বাচন কমিশন আগেই ভোটদানের ব্যবস্থা করেছিল। বাড়িতে গিয়ে এই সমস্ত ভোটারদের ভোট গ্রহণ করা হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসন সূত্র জানা গিয়েছে, জেলায় এমন ২৪ টি বুথ থাকবে, যেগুলির সমস্ত দায়িত্ব থাকবে মহিলা ভোট কর্মীদের উপর। সংখ্যার হিসেবে আসানসোল লোকসভায় এমন বুথের হচ্ছে ১৫ টি। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুরের দুটি বিধানসভা এলাকায় থাকছে ৯ টি মহিলা পরিচালিত বুথ।

পশ্চিম বর্ধমান জেলার রয়েছে মোট ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্র। যার মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে আসানসোল লোকসভায়। অন্যদিকে দুটি বিধানসভা অবস্থিত বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। আসানসোল উত্তর, আসানসোল দক্ষিণ, জামুরিয়া, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ এবং কুলটি বিধানসভা নিয়ে গঠিত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র। অন্যদিকে দুর্গাপুর পূর্ব এবং দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে। এই লোকসভা কেন্দ্রের আর পাঁচটি বিধানসভা রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

আর‌ও পড়ুন: শিক্ষকদের নিয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন শান্তিরাম

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে কান ঘেঁষে জয়ী হয়েছিলেন এস এস আলুওয়ালিয়া। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তখন বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হোন বলিউড তারকা শত্রুঘ্ন সিনহা।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এই দুটি আসন থেকেই লড়ছেন নজরকাড়া প্রার্থীরা। বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে দিলীপ ঘোষকে। যিনি মেদিনীপুরের নিজস্ব ময়দান ছেড়ে এসে এখানে লড়াই করছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিশ্বকাপ জয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদকে। তিনি আবার বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। এই কেন্দ্রে সিপিএম বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুকৃতি ঘোষালকে প্রার্থী করেছে। অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে এবারেও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। অন্যদিকে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র ছেড়ে আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। এই দুই নামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী করেছে লড়াকু শ্রমিক নেত্রী তথা প্রাক্তন বিধায়ক জাহানারা খানকে।

নয়ন ঘোষ

Lok sabha Elections 2024: আসানসোলে মেগা রোড শো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহাকে জেতানোর ডাক

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দলের প্রার্থীর হয়ে মেগা রোড শো করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে বিশাল রোড শো করেছেন তিনি। হুড খোলা গাড়িতে চেপে দীর্ঘ দুই কিলোমিটার রাস্তায় রোড শো করেছেন প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে। গাড়িতে হাজির ছিলেন জেলা তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব।

এদিন আসানসোলের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো। হুড খোলা গাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে ছিলেন প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাছাড়াও সেখানে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ,জামুরিয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। আর প্রচারের শেষ বেলায় এই রোড শো থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে ফের আসানসোলে জেতানোর আওয়াজ শুনেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, আসানসোলের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু হওয়া এই রোড শো গিয়ে শেষ হয় আসানসোলের হটন রোড এলাকায়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে উপনির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে এই রাস্তাতেই রোড শো করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ এর চেনা সেই রাস্তায় ফের ২৪’এর নির্বাচনে শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করলেন তিনি।

আরও পড়ুন: Purulia News: ২-বারের মন্ত্রী, ৬-বারের বিধায়ক, আজও ঘুরে দেখেননি দিঘা-পুরী-দার্জিলিং!

এদিনের নির্বাচনী প্রচার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন। তার বক্তব্যে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। অন্যদিকে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বড় সংখ্যায় ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তাছাড়াও নির্বাচনী এই রোড শো’কে কেন্দ্র করে ছিল কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: আসানসোলে শত্রুঘ্ন’র প্রচারে চমক

পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুরে তৃণমূল ও বিজেপির হাইভোল্টেজ প্রচার শেষ হতেই আসানসোলে প্রচারে চমক দেখালেন বলিউডের ‘শটগান’ তথা তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। করলেন বর্ণাঢ্য রোড শো। বারাবনি বিধানসভার আছড়ায় তৃণমূলের কার্যালয় থেকে রূপনারায়নপুরের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত রোড শো হয়। সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। হুড খোলা গাড়িতে উঠে কর্মী সমর্থকদের অভিবাদন গ্রহণের মধ্য দিয়ে প্রচার সারেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

এদিন প্রচারে দেখা গিয়েছেন নানা রকমচমক। শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কাটআউট হাতে নিয়ে হাজির থাকতে দেখা গিয়েছে। আবার তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে বিভিন্ন রকম সাজে দেখা গিয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাদের।তাছাড়াও এদিন তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে ছিল গানবাজনার চমক। তারকা অভিনেতার প্রচারে দেখা গিয়েছে ব্যান্ড পার্টি। সবমিলিয়ে আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচার ঘিরে কার্যত উৎসবের মেজাজে দেখা যায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

আরও পড়ুন: ভারতের এই রেস্তোরাঁয় অতিথিদের খেতে দিচ্ছে রোবট ‘পালকি’!

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রচারের দিন যত শেষ হয়ে আসছে, ততই প্রচারে ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করছেন দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। পাশাপাশি সমস্ত প্রার্থীরা প্রচারে নিজেদের সেরা দিতে চাইছেন। সেই কারণেই প্রচারে নানা রকম চমক দেখা দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে প্রচারের একদম শেষ পর্যায়ে এসে চমক আরও বাড়বে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উপনির্বাচনে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপির থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু সেই হারানো মাটি ফিরে পেতে চাইছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী আলুওয়ালিয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। সোমবার সকালে তিনি বারাবনি বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়ে চমক দিয়েছেন। মালা পড়িয়েছেন তৃণমূল নেতার মূর্তিতে। আর সেদিনই এলাকায় প্রচারে অন্যরকম চমক দিলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।

নয়ন ঘোষ

Shatrughan Sinha: ১১ কোটি টাকা ধার! তাহলে সম্পত্তি কত? এই তৃণমূল প্রার্থী সম্পদে চোখ কপালে উঠবে

আসানসোল: রাজ্যের ৪২ লোকসভা আসনের মধ্যে তিনি অন্যতম নজরকাড়া প্রার্থী। যে কেন্দ্র থেকে দু’বার বিজেপি প্রার্থী জয় লাভ করে মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছিলেন, সেই কেন্দ্র তিনি উপনির্বাচনে ছিনিয়ে নিয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা হয়েছিল সবার আগে। তিনি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।

আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সম্পন্ন হবে নির্বাচন। কিন্তু এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা আসলে কত টাকার মালিক? একদা বলিউড কাঁপানো এই অভিনেতার কি কি সম্পত্তি রয়েছে? হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চমকে দেওয়ার মত সম্পত্তি রয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে।

নির্বাচনী হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বছরে কোটি টাকা আয় করেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আবার শুধুমাত্র বিহারীবাবু নন, তার স্ত্রীও কোটি টাকা উপার্জন করেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী আসানসোলের সাংসদের নামে কোনও থানায় কোনও অভিযোগ নেই। নেই কোনও মামলা। তবে সম্পত্তি রয়েছে চমকে দেওয়ার মত। রয়েছে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। রয়েছে একাধিক গাড়ি। আবার অন্যদিকে কোটি টাকা আয় করলেও, মেয়ের কাছে বড় অংকের ধার করেছেন আসানসোলের সাংসদ। তাঁর স্ত্রী পুনম সিনহাও বড় অংকের টাকা ধার করেছেন মেয়ের কাছে।

প্রথমেই দেখে নিন বিগত পাঁচ বছরে শত্রুঘ্ন সিনহা এবং তার স্ত্রী মোট কত আয় করেছেন। তথ্য অনুযায়ী শত্রুঘ্ন সিনহা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত প্রতিবছর যা রোজগার করেছেন, তা হল যথাক্রমে ৯৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৫০ টাকা, ৮৯ লক্ষ ৯১ হাজার ২১০ টাকা, ৫৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৯০ টাকা, ৭৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৯০ টাকা এবং ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭০০ টাকা। এই পাঁচ অর্থবর্ষে শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী যথাক্রমে রোজগার করেছেন ১ কোটি ৪৩ লক্ষ ৪ হাজার ৩৮০ টাকা, ১ কোটি ৭৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৩০ টাকা, ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৬০ টাকা, ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫২ হাজার ২৩০ টাকা এবং ১ কোটি ২১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন: বনগাঁর নাম করা ব্যবসায়ী, হঠাৎ হানা ইনকাম ট্যাক্সের! যা মিলল, গোটা এলাকা আঁতকে উঠল

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে এই মুহূর্তে নগদ রয়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৯০ টাকা। যা গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত হিসাব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তার স্ত্রীর কাছে রয়েছে ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৭ টাকা। মোট ১৪ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে আসানসোলের বিদায়ী সাংসদের। মুম্বই, পাটনা, দিল্লি এবং আসানসোল – এই চার জায়গার বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তার। অন্যদিকে তার স্ত্রীর রয়েছে মোট ন’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট । ১৪ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহার গচ্ছিত টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ৯৭ লাখ, ৬৭৫৭৩ টাকা। যার মধ্যে সবথেকে বেশি টাকা রয়েছে মুম্বইয়ে অবস্থিত একটি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে। যেখানে গচ্ছিত রয়েছে ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৪৪ টাকা। অন্যদিকে শত্রুঘ্ন সিনহা আসানসোলে একটি ইলেকশন অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যেখানে গচ্ছিত রয়েছে মাত্র ৪৯৮২টাকা। অন্যদিকে তার স্ত্রী পুনম সিনহার মোট ন’টি অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১ কোটি ২৪ হাজার ১৮১ টাকা।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ দেখে অবাক হলে, আপনাকে জানিয়ে রাখি তালিকা এখনও অনেক বড়। কারণ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও বিভিন্ন শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা এবং তার স্ত্রী।সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য চমকে দেওয়ার মত। এছাড়াও একাধিক নামী গাড়ি রয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহার নামে। বড় পরিমাণে রয়েছে সোনা সহ একাধিক মূল্যবান ধাতু। তাদের দুজনের ১৭ টি ও ৩২ টি শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়াও লোন ও অ্যাডভান্সের ক্ষেত্রে রয়েছে বড় বড় তালিকা।

শত্রুঘ্ন সিনহার অ্যাম্বেসেডর থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক গাড়ি মিলিয়ে মোট পাঁচটি গাড়ি রয়েছে। পাঁচটি গাড়ি মিলিয়ে যার সার্বিক বাজার মূল্য বর্তমানে প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। অন্যদিকে তার স্ত্রীর রয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জ এর একটি গাড়ি। যার বাজার মূল্য ৪৮ লক্ষ টাকার বেশি। এছাড়াও শত্রুঘ্ন সিনহার মূল্যবান ধাতুর অলংকার (সোনা অথবা রুপো) রয়েছে ৩ কেজি ৮৯০ গ্রাম। তার স্ত্রীর রয়েছে ২ কেজি ৬ গ্রামের। পাশাপাশি বহু মূল্যবান পাথর রয়েছে। যেগুলির মূল্য লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৫০ টাকা। শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রীর মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১০ কোটি ৪০ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯৪৮ টাকা।

তবে, শত্রুঘ্ন সিনহার নামে অচাষযোগ্য কোনও জমি নেই। কিন্তু তার স্ত্রীর নামে বিপুল পরিমাণে অচাষযোগ্য জমি রয়েছে। অচাষযোগ্য জমি না থাকলেও আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার নামে বিভিন্ন জায়গায় মোট ছটি ফ্ল্যাট রয়েছে। শত্রুঘ্ন সিনহার নামে চাষযোগ্য রয়েছে অনেকটাই। যার আনুমানিক বর্তমান বাজার মূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। শত্রুঘ্ন সিনহার নামে থাকা ছয়টি রেসিডেন্টিয়াল বিল্ডিং এর মধ্যে তার মুম্বাইয়ের জুহুতে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৮৮ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে ১২২ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার। তার স্ত্রীর নামে রয়েছে তিনটি ফ্ল্যাট। তার স্ত্রীর নামে থাকা মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৬৭ কোটি ১৬ লক্ষ ১ হাজার ৭৪০ টাকা।

আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থীর সম্পত্তির তালিকা বেশ লম্বা। বহু জায়গায় বিনিয়োগ রয়েছে তার। দেশের নামিদামি জায়গায় রয়েছে ফ্ল্যাট। সবমিলিয়ে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ চমকে দেওয়ার মতো। এছাড়াও তিনি যে সমস্ত গাড়িগুলি ব্যবহার করেন, তার সার্বিক বাজার মূল্য কোটি টাকার কাছাকাছি। সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে তার কাছে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। কিন্তু এহেন তৃণমূল প্রার্থীর রয়েছে বড় অংকের ধার। আর সেই ঋণ তিনি করেছেন নিজের মেয়ে কাছে।

বলিউডের দাবাং গার্ল অর্থাৎ শত্রুঘ্ন সিনার মেয়ে সোনাক্ষী সিনহার কাছেই ধার নিয়েছেন তিনি। মেয়ের কাছে থেকে তার ঋণের পরিমাণ ১১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৩২৪ টাকা। মেয়ের কাছে ঋণ নিয়েছেন তার মা অর্থাৎ শত্রুঘ্ন সিনার স্ত্রী পুনম সিনহাও। সোনাক্ষী সিনহার কাছে পুনম দেবীর ঋণের পরিমাণ ৪ কোটি ৭৭ লক্ষ ৯১ হাজার ১৬২ টাকা। সব মিলিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহার ১১ কোটি ৬২ লক্ষ ১০ হাজার ৩২৪ টাকা ঋণ রয়েছে। তার স্ত্রীর ঋণ রয়েছে পাঁচ কোটি ৯৩ লক্ষ্য ৫৯ হাজার ২৫০ টাকা। এছাড়াও সরকারের কাছে বেশ কিছু বাকি রয়েছে এই তৃণমূল প্রার্থীর। জিএসটি বাবদ ৩৬ হাজার টাকা বাকি রয়েছে শত্রুঘ্ন সিনহার। অন্যদিকে তার স্ত্রীর জিএসটি বাবদ বাকি রয়েছে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৩৬ টাকা।

আসানসোলের এই তারকা প্রার্থী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির কথা তো জানলেন কিন্তু তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতদূর জানেন? নিজের সর্বোচ্চ শিক্ষকতা সম্পর্কে ফলকনামায় তথ্য দিয়েছেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী। ফলকনামা অনুযায়ী শত্রুঘ্ন সিনহা পুনের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৬৭ সালে স্নাতক হয়েছেন। বর্তমানে তার বয়স ৭৭ বছর। এই রাজনীতিবিদ একটা সময় বলিউড কাঁপিয়েছেন। তার মুখের ডায়লগ এখনও অনেকের মুখে মুখে ঘোরে। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রথমে তিনি পদ্ম প্রতীকের হয়ে লড়াই করে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন পাটনা সাহিব থেকে। পরবর্তীকালে তিনি কংগ্রেসে নাম লেখান। তারপর যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। ২০২২ সালে তিনি আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। আর এই লোকসভা নির্বাচনেও তার উপর ভরসা রেখেছে তৃণমূল। প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল সবার আগে তার নাম ঘোষণা করেছিল।

—- নয়ন ঘোষ

BJP Candidates List: আসানসোলে প্রার্থী বদলে দিল বিজেপি, ভরসা সেই পুরনো মুখেই! শত্রুঘ্নর বিরুদ্ধে কে?

আসানসোল: আসানসোলে প্রার্থী বদলে দিল বিজেপি। এসএস আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। ওই কেন্দ্রে প্রথমে ভোজপুরী গায়ক, নায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার পরই ট্যুইটারে পবন ঘোষণা করেছিলেন, আসানসোল থেকে ভোটে লড়তে চান না তিনি। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, আসানসোলে কাকে প্রার্থী করবে বিজেপি। অবশেষে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়াকেই প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির।

যদিও আসানসোল থেকে প্রার্থী হতে চান না ঘোষণার সাত দিনের মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন পবন সিং। লেখেন, ‘আমি ভোটে লড়ব। আমার সমাজের কাছে, মানুষের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি রেখেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে আমি আসানসোলে BJP-র হয়ে ভোটে লড়ব। আপনাদের সকলের আশীর্বাদ এবং সহযোগিতা চাইছি। জয় মাতা দি।’ এখানেই শেষ নয়, পবন সিং জানিয়েছিলেন, তাঁর মাকে দেওয়া বিশেষ প্রমিস রাখতেই তিনি আসানসোল থেকে ভোটে লড়তে চান। কিন্তু সেখানে তাঁকে আর প্রার্থী করল না বিজেপি।

আরও পড়ুন: ‘গ্রেফতার নয়’, ভূপতিনগরে NIA-কাণ্ডে বিরাট নির্দেশ আদালতের! ভোটের মাঝেই তুমুল শোরগোল

পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি হল আসানসোল। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এই লোকসভা কেন্দ্র কয়লা খনন এবং রেল সংক্রান্ত কাজের জন্য পরিচিত। আসানসোলের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই হিন্দিভাষী। অবাঙালি ভোটার ৩৬ শতাংশ।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল- পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি ও বারাবনি। ১৯৮৪ সাল থেকে এই লোকসভা কেন্দ্র সিপিআইএমের গড় ছিল। তবে ২০১১ সালের পর থেকে বাম দুর্গের পতন হয়। ভোটারদের একটা অংশ বিজেপির দিকে ঝোঁকে, অপর অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেয়। বর্তমানে আসানসোলের সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন ২০২২ সালের উপনির্বাচনে। বিপুল ভোটে জেতার পর এবারও তিনি তৃণমূলের প্রার্থী। তার বিরুদ্ধেই এবার লড়বেন আলুওয়ালিয়া।

Shatrughan Sinha: এখনও প্রার্থী ঘোষণা হয়নি তৃণমূলের, এরই মধ্যে বড় ঘোষণা করে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা! তুমুল শোরগোল

আসানসোল: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়া মোটামুটি পাকা। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একপ্রকার বুঝিয়েই দিয়েছেন, আসানসোল কেন্দ্র থেকে শত্রুঘ্ন সিনহাকেই প্রার্থী করবেন তিনি। সেই ইঙ্গিত তাঁর কাছেও যে স্পষ্ট, তাও খোলসা করে দিয়েছেন এক সময়ের বলিউড তারকা। তাই আসানসোলের মাটিতে দাঁড়িয়েই বড় ঘোষণা করলেন তিনি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ?আমি যদি আসানসোল থেকে আবার নির্বাচিত হই, আমি এলাকার শ্রমিক ও গরিবদের জন্য একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল করব। শুধু তাই নয়, আমি সাধারণ মানুষের জন্য একটি মেডিক্যাল কলেজও তৈরি করতে চেষ্টা করব, যেখানে ক্যানসারের চিকিৎসাও হবে।?

কৃষ্ণনগরের পর আসানসোল। লোকসভা নির্বাচনের টিকিট অন্তত এই দুটি কেন্দ্রে ?কনফার্ম? করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনিই। বাবুল সুপ্রিয়কে দলে নেওয়ার পর আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। তখন বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকেই আসানসোলে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। আসনটি জিতে নেয়। এবারও এই কেন্দ্র থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সূত্রের খবর, দলের পশ্চিম বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে এই কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোন রাজ্যে বেতন সব থেকে বেশি? বাংলার কী অবস্থা, শুনে চমকে যাবেন!

শত্রুঘ্ন সিনহা বিহারের ‘ভূমিপুত্র’ হওয়ায় একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। তারপর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়। এমনকী জনপ্রতিনিধি হিসাবে কাজও করেছেন বিহারীবাবু। এখানের মানুষের সঙ্গে সরাসরি তাঁর সংযোগ রয়েছে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে আসার পর আসানসোলে উপনির্বাচন হয়। সেখানে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচার করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দু’বারের জেতা আসন ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। এবারেও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: হাত-পায়ের তালুই যথেষ্ট, কোনও রকম ওষুধ ছাড়াই সারবে রোগ! জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলার ২০ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার মধ্যে ছিল আসানসোলও। আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছিল ভোজপুরী গায়ক ও অভিনেতা পবন সিংকে। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পবন সিং জানিয়ে দেন, আসানসোল থেকে ভোটে লড়ছেন না তিনি। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আসানসোলের প্রার্থী পবন সিং সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ফলে ইতিমধ্যেই ওই কেন্দ্র নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি।

‘শোলে’-র জয়ের চরিত্র হাতছাড়া; সেই আক্ষেপে আজও কালজয়ী ছবিটি দেখেননি এই অভিনেতা

মুম্বই: ভারতীয় হিন্দি ছবির ইতিহাসে কালজয়ী ছবির তকমা লাভ করেছে অমিতাভ বচ্চন এবং ধর্মেন্দ্র অভিনীত ‘শোলে’। এই ছবির গল্প, প্রতিটি চরিত্র, সমস্ত গান এমনকী প্রতিটি সংলাপ আজও ভক্তদের মনে জীবন্ত হয়ে রয়েছে। আজকের দিনেও নতুন প্রজন্মের কাছে ‘শোলে’ একই রকম ভাবে গ্রহণযোগ্য। বারবার দেখলেও যেন পুরনো হয় না! আর সবথেকে বড় কথা হল, এই ছবির প্রাণ জয় এবং বীরু। আর এই দুই চরিত্রের জন্য অমিতাভ বচ্চন আর ধর্মেন্দ্র ছাড়া যেন অন্য কাউকে ভাবাই যায় না! কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিয়ে ‘শোলে’ বানাতে চেয়েছিলেন রমেশ সিপ্পি। সেই কথাই কিছু সময় আগে প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।

আরও পড়ুন– সারাদিন ডিপি বদলাত যুবক, অবশেষে পুলিশের জালে নকল পুলিশকর্মী; সামনে এল সাইবার জালিয়াতির বড়সড় চক্র

শত্রুঘ্ন সিনহা জানিয়েছেন যে, ‘শোলে’ করার ক্ষেত্রে তাঁর জন্য বহু সময় অপেক্ষা করেছিলেন রমেশ সিপ্পি। কিন্তু নিজের ব্যস্ত শিডিউলের কারণে আর কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করা হয়নি তাঁর। এখানেই শেষ নয়, বর্ষীয়ান অভিনেতা আরও জানিয়েছেন যে, অমিতাভ বচ্চনের ‘দিওয়ার’ এবং মনোজ কুমারের ‘শোর’ ছবিতে বড়সড় চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল। আর সেই কারণে আজ তাঁর অনুশোচনা হয়।

আরও পড়ুন- রাশিফল ২৬ ফেব্রুয়ারি-৩ মার্চ; দেখে নিন এই সপ্তাহ নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন বলেন, “শোলে-তে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রটির অফার প্রথমে আমার কাছে এসেছিল। রমেশ সিপ্পি নিজেই তাঁর বইয়ে এই কথা লিখেছেন। ওই ছবিটি করার জন্য আমি ডেট পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেই সময় আমি অনেক ছবি করছিলাম। আমি খুবই ব্যস্ত ছিলাম। আর রমেশজিও আমায় সঠিক ডেট বলতে পারেননি। আর উনি চেয়েছিলেন যে, ‘শোলে’-র জন্য আমি ডেট বলি, কিন্তু সেটা হয়নি। আমার মনে হয় যে, ওই ছবি আমার করা উচিত ছিল। কিন্তু আমি তা পারিনি। অমিতাভ বচ্চনের জন্য আমি অত্যন্ত খুশি। ‘শোলে’-র হাত ধরে বড় সুযোগ তাঁর কাছে এসেছে। আর তিনি জাতীয় আইকন হয়ে উঠেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “দিওয়ার ছবির অফারও আমার কাছে এসেছিল। কিন্তু আমি তা করতে পারিনি। এটাকে হিউম্যান এরর বলা যেতে পারে। কিন্তু অমিতাভের জন্য আমি আনন্দিত। কারণ উনি এই ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তবে আমার ওই ছবিগুলিতে কাজ করা উচিত ছিল, কিন্তু আমি তা করতে পারিনি। আর আজ পর্যন্ত ওই ছবিগুলি দেখিওনি, কারণ আমার সিদ্ধান্তের কারণে আক্ষেপ হয়।”

এখানেই শেষ নয়, বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায়, “মনোজ কুমারও আমায় ‘শোর’ ছবিতে কাস্ট করতে চেয়েছিলেন। বহু বার তিনি আমার বাড়িতে এসেছিলেন। চার মাসে তিনি ছবিটি বানাতে চেয়েছিলেন। আর আমি তাঁকে ৮ মাসের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু ছবিটি তৈরি হয়েছিল ১৬ মাসে। আমি ছবিটি করতে পারতাম। আমি কখনওই ওই ছবিগুলি দেখিনি।”

Shatrughan Sinha: ‘ভুল করেছিলাম, আজও আফশোস হয়’! নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছিলেন শত্রুঘ্ন, ছেড়েছিলেন এই বিখ‍্যাত ছবির অফার

একসময় বলিউডে রাজত্ব করেছেন তিনি। একের পর ভাল হিট ছবিতে কাজ করেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বলিউডের খ‍্যাতনামা অভিনেতারও হয়েছিল আফশোস। বিখ‍্যাত এক ছবির অফার ছেড়ে দিয়েছিলেন অভিনেতা। কি সেই ছবি?

ভারতীয় চলচ্চিত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল একটি ছবি, নাম ‘শোলে’। সেই ছবিরই অফার হাতছাড়া হয়েছিল শত্রুঘ্নর। কিন্তু কেন? জয় নাকি বীরু, কোন চরিত্রের অফার পেয়েছিলেন শত্রুঘ্ন? তবে শুধু এই ছবিই আরও বেশ কিছু বিখ‍্যাত ছবির অফার হাতছাড়া হয়েছিল শত্রুঘ্ন সিনহার।

আরও পড়ুন: বাবাকে জামাকাপড় দিচ্ছে না ছেলে? ‘নতুন জামার’ অভাব শাহরুখের? বাদশার পোস্টে বড় চমক

দেশের সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ‍্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে শত্রুঘ্ন জানিয়েছিলেন, ‘‘’শোলেতে অমিতাভ বচ্চনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। রমেশ সিপ্পি তার বইয়ে এ কথা লিখেছেন। রমেশ সিপ্পি চেয়েছিলেন আমি ছবির জন‍্য সমস্ত ডেট তাঁকে জানিয়ে দিই। কিন্ত তখন আমি এতটাই ব‍্যস্ত যে তা করতে পারিনি।’’

শত্রুঘ্ন সিনহা আরও জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি অমিতাভের জন‍্য অত‍্যন্ত খুশি। শোলেতে তাঁকে অনেক বড় ব্রেক দিয়েছিল। উনি জাতীয় আইকন হয়েছিলেন।’’

তবে শুধু শোলেই নয়, অমিতাভ বচ্চনের আরও একটি আইকনিক ছবি ‘দিওয়ার’-এর অফারও পেয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। মনোজ কুমারের ‘শোর’-এর মতো ছবিতেও তাঁকে দেখা যেতে পারত। এত ভাল ভাল ছবি হাতছাড়া হওয়ায় তিনি আজও অনুশোচনা করেন। ‘‘আমি আজ পর্যন্ত এই দুটি ছবি দেখিনি কারণ আমি আমার সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্তৃ’’, নিজে মুখেই একথা বলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

KIFF 2023: ‘আপনি খুবই মিষ্টি একজন মানুষ’, বাবা শত্রুঘ্নর সঙ্গে KIFF-এ এসে মমতাকে বললেন সোনাক্ষী

কলকাতা: শুরু হয়ে গেল ২৯ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব৷ কলকাতা শহর জুড়ে এখন শুধু সিনেমার মরশুম৷ ৫ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে অনুষ্ঠিত হবে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। মঙ্গলবার বিকেলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুভ সূচনা হল। প্রত্যেক বছর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলিউডের একঝাঁক তারকা উপস্থিত থাকেন। এবছর টলি ও বলির চাঁদের হাট বলল নেতাজি ইন্ডোরে৷ সলমন খান, অনিল কাপুর, কমল হাসান সহ অনেক বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত হয়েছেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষী সিনহা, মহেশ ভাট এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে প্রতি বছরেরম মতো চিরাচরিত প্রথা মেনে অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খান উপস্থিত থাকতে পারেন নি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, আমি এখান থেকে একটু দুরের লোক।পাটনার লোক আমি। আমি বাংলায় বলার চেষ্টা করছি। আমাকে সোনাক্ষী বলছে এখানে বেশি কিছু বলবে না।মাধবী মুখোপাধ্যায় এর সঙ্গে দেখা হল ওনাকে আমি খুব সম্মান করি। আমি মমতা দি-কে ধন্যবাদ জানাব এই ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এর জন্য। অনেক জায়গাতেই এই ফেস্টিভ্যাল হয়। গোয়াতেও হয়,অনেক জায়গায় হয়। তবে ওই গুলো সময় কাটানোর জন্য হয়, আমলাদের জন্য হয়, বন্ধু-বান্ধবদের জন্য হয়,ফ্যামিলিদের খুশি করতে হয়। কিন্তু এখানে অনেক বুদ্ধিজীবী মানুষরা থাকেন। এখান থেকে যতজন গেছেন সবাই খুব ভাল জায়গায় গেছেন। এখান থেকে অনেক রাজনীতিতে গেছেন যারা অভিনেতা।মমতা দি নিয়ে গেছেন। ভাল মানুষদের রাজনীতিতে আনা উচিত। যদি ভাল মানুষ না আসে তাহলে বাজে লোকদের শাসনে চলতে হবে।আজ যা অবস্থা চলছে তাতে আপনি চিন্তিত হবেন না। শত্রুঘ্ন সিনহার মেয়ে সোনাক্ষী সিনহা বলেন,মমতা দি আপনাকে শুধু টিভিতেই দেখেছি। আমার মনে হয়েছে আপনি খুব কঠিন একজন মানুষ, কিন্তু আপনি খুবই মিষ্টি একজন মানুষ। কলকাতার সঙ্গে আমার অনেক পুরোনো সম্পর্ক। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অনুষ্ঠানের মঞ্চে অন্যান্য তারকারাও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷

আরও পড়ুন-           সম্পূর্ণ ‘নগ্ন’ অ্যানিমাল রণবীর! সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ভাইরাল ক্লিপ, দেখেছেন কি?

আরও পড়ুন-          বিয়ের আংটি খুলে ফেলেছেন অভিষেক! ঐশ্বর্যর সঙ্গে কি পাকাপাকি ভাবে সংসার ভাঙছেন অমিতাভ পুত্র?

ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এবছরের ক্যাচ লাইন বিশ্ব সিনেমার বঙ্গ ভ্রমণ। চলতি বছর ৩৯ টি দেশের মোট ২১৯ টি ছবি দেখানো হবে মোট ২৩ টি ভেন্যুতে। এরমধ্যে রয়েছে ১৬৯ টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি এবং ৫০ টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ও তথ্যচিত্র।

নন্দন ১, ২, ৩, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র সদন ছাড়াও শহরের বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি সিনেমাহলে প্রদর্শিত হতে চলেছে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের কিছু ছবি। এবছর নন্দন ১, ২, ৩, শিশির মঞ্চ, রবীন্দ্র সদন ছাড়াও নবীনা, স্টার, রাধা স্টুডিও, সাউথ সিটি আইনক্স, প্রাচী সিনেমা, বিজলি, মিনার,অশোকা, মেনকা, রবীন্দ্র ওকাকুরা ভবন, নজরুল তীর্থ ১, ২, অজন্তা, মেট্রো, মানি স্কোয়ার, নিউ এম্পায়ার কোয়েস্ট মল, নবীনা সিনেমা হলে পুরোপুরি বিনামূল্যে দেখতে পাওয়া যাবে৷ এবছরই প্রথম বেঙ্গলি প্যানোরামা বিভাগে শুরু হয়েছে প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতার পুরস্কারের মূল্য ৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও এই বছর চলচ্চিত্র উৎসবে আরও বেশ কিছু চমক রয়েছে৷ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগিতা থাকবে এবং আর্থিক পুরস্কারও প্রদান করা হবে।