শেখ হাসিনা

C-130J হারকিউলিস বিমানের ফিচার শুনলে হুঁশ উড়ে যাবে! এতে চেপেই ভারতে এসেছেন হাসিনা

নয়াদিল্লি: সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছেন শেখ হাসিনা। এখান থেকে তিনি লন্ডনে চলে যাবেন। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে পিটিআই। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পরিবহণ বিমান সি-১৩০জে-তে চেপে ভারতে এসেছেন হাসিনা। তবে এই বিমানেই তিনি লন্ডনে যাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, ঢাকার অনুরোধে হাসিনাকে নিরাপদে ভারতে অবতরণের অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে বলা হয়েছিল, হাসিনার বিমান ত্রিপুরার আগরতলায় অবতরণ করবে। সেখান থেকে তিনি লন্ডনে যেতে পারেন। অবশ্য শেষ পর্যন্ত হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে হাসিনার বিমান। তিনি কবে লন্ডন যাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যে বিমানে হাসিনা ভারতে এসেছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন– ‘এ আমার কেউ নয়, জোর করে নিয়ে যাচ্ছে’, ফুঁপিয়ে কান্না চার বছরের শিশুর, মিথিলা এক্সপ্রেসে হইচই

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০ জে হারকিউলিস বিমানটি আমেরিকান কোম্পানি লকহিড মার্টিনের তৈরি। এটা সি-১৩০ হারকিউলিসের লেটেস্ট ভার্সন। লকহিড মার্টিন এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশে ৫০০-এর বেশি সি-১৩০ জে হারকিউলিস বিমান বিক্রি করেছে। কোনও দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরাই এই বিমান ব্যবহার করেন। চার ইঞ্জিনের এই টার্বোপ্রপ মিলিটারি কার্গো প্লেনে নতুন ইঞ্জিন, ফ্লাইট ডেক এবং অন্যান্য সিস্টেম রয়েছে। ট্যাকটিক্যাল এয়ারলিফট, অনুসন্ধান ও খোঁজ এবং বিশেষ অপারেশনের জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। সি-১৩০ জে হারকিউলিস এখনও পর্যন্ত ডিজাইন করা সবচেয়ে উন্নত মানেরসি-১৩০ বিমান।

আরও পড়ুন– পুরুষদের মাথায় টাক পড়ার আসল কারণ জানা আছে কি? এই টিপসগুলি মেনে চললে হবে মুশকিল আসান; মাথা ভরে যাবে ঘন চুলে

সি-১৩০ জে হারকিউলিস বিমানের বৈশিষ্ট: ২০,২২৭ কেজি ওজন নিয়ে ২৬ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের।

২২ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রতি ঘণ্টায় ৪১০ মাইল পথ অতিক্রম করতে পারে সি-১৩০ জে হারকিউলিস।

সর্বোচ্চ ওজন ৪৪ হাজার পাউন্ড।

সর্বোচ্চ স্বাভাবিক ওজনে ২,৪১৭ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।

৪০ হাজার পাউন্ডের পেলোড -সহ, এই বিমানের রেঞ্জ হল ২,৩৯০ নটিক্যাল মাইল বা ৪৪২৫ কিমি।

নতুন সুপার হারকিউলিসের বৈশিষ্ট হল এর ফ্লাইট স্টেশন, যাতে বিমানের ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ, অপারেটিং এবং নেভিগেশন সিস্টেমের জন্য মাল্টি ফাংশন এলসিডি স্ক্রিন রয়েছে। ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেলে চারটি ডিসপ্লে ছাড়াও হলোগ্রাফিক হেড আপ ডিসপ্লে ব্যবহার করতে পারেন পাইলটরা। যা অন্য কোনও সামরিক বিমানে বিরল।