কলকাতা: শুধু জমি বা ভেড়ি দখলই নয়, চিংড়ি মাছ ব্যবসা যাতে শুধু তার কোম্পানির সঙ্গে হয় তার জন্য বৈঠক করে হুমকি দিতো শাহজাহান ! শাহজাহানের কোম্পানিতে ৯০ শতাংশ চিংড়ি কোম্পানিতে আসতো হুমকি দিয়ে ও কেড়ে নেওয়া বেআইনি ভেড়ির থেকে। শেখ শাহজাহানের কোম্পানির ম্যানেজার মহীদুল মোল্লা বিস্ফোরক দাবী করেছেন ইডির কাছে।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু জমি বা ভেড়ি দখলই নয়, চিংড়ি মাছ ব্যবসা যাতে শুধু শাহজাহানের কোম্পানি সঙ্গে হয় তার জন্য হুমকি দিতো শাজাহান! শেখ শাহজাহান ২০১৯ সালে সরবেড়িয়াতে শেখ শাজাহান মার্কেটে বৈঠক করে। মাছ ব্যবসায়ীদের হুমকি দেয়। বলে, মার্কেটে সব মাছ যেন মাছ ব্যাবসায়ীরা শাহজাহানের কোম্পানিতে বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন – তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে সামনের সপ্তাহে কত হবে জানেন? এপ্রিলের শুরুতেই এমন দুর্ভোগ ভাবতেও পারবেন না
আরও পড়ুন – গরমের ছুটি ঘোষণা রাজ্যের, লক্ষ লক্ষ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট খবর! কবে থেকে কতদিন ছুটি? জানুন
বিক্রি না করতে চাইলে হুমকি দেওয়া হয়, ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার, ইডি সূত্রে খবর এমনই। ইডির দাবী, এক প্রকার গা জোয়ারি করেই চিংড়ি মাছের ব্যবসা থেকে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান । শাহজাহানের কোম্পানিতে ৫০ শতাংশ চিংড়ি আসত মাছ ব্যাবসায়ীদের থেকে। ৩৫-৪০ শতাংশ চিংড়ি আসত গ্রামে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া বেআইনি মাছ চাষের ফার্ম থেকে। আর ১০ শতাংশ চিংড়ি আসতো শাজাহানের নিজেদের ফার্ম থেকে ইডি সূত্রে খবর।
অর্থাৎ শেখ শাহজাহান নিজের কোম্পানির সঙ্গে মাছ ব্যবসায়ীদের চিংড়ি ব্যবসা করার জন্য হুমকি দিয়ে মাছের ব্যবসার লেনদেন করত। শেখ শাহজাহান জোর করে আদিবাসীদের জমি বা ভেড়ি হাতিয়ে ভুয়ো চিংড়ি মাছ ব্যাবসায়ীদের মাধ্যমে শাহজাহানের কোম্পানিতে মাছের লেনদেন করে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করেছে বলে অভিযোগ ইডির।
ARPITA HAZRA