Fan with AC: গ্রীষ্মকাল যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। বসন্তেই রোদের যে দাপট, তাতে বোঝাই যাচ্ছে, আগামী মাসগুলিতে প্রাণ ওষ্ঠাগত হতে চলেছে আমাদের দেশের মানুষের। ইতিমধ্যেই এসি চালানো শুরু হয়ে গিয়েছে একাধিক বাড়িতে। তবে এবার তীব্র গরম পড়ার আগে কয়েকটি তথ্য জেনে নিলে ক্ষতি হবে না।
Fan with AC: অনেকেই কেবল এসিতে শান্তি পান না বলে এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যানটিও চালিয়ে দেন। ফলে আপাতভাবে ঘামে, গরমে কষ্টটা কমে যায়। কিন্তু আবার অনেকের বক্তব্য, এসি েবং সিলিং ফ্যান চালালে আসলে ঘর ঠান্ডা হতে সময় লাগে, কেউ আবার বলেন, এতে বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়।
Fan with AC: কেউ কেউ বলেন, এসি চলাকালীন সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা উচিত নয়, কারণ সিলিং ফ্যান গরম বাতাসকে নীচে ঠেলে দেয়। তাই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার সময় সিলিং ফ্যান বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন অনেকে।
Fan with AC: কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। অনেকের বিশ্বাস, ফ্যান এবং এসি একসঙ্গে ব্যবহার করলে ঘরের সমস্ত শীতল বাতাস বেরিয়ে যায়। আজ এই ভ্রান্ত ধারণাটি নিয়ে কথা বলা যাক।
Fan with AC: আসল ঘটনা হল, যখন এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা হয়, তখন ফ্যানটি কেবল ঘরে বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। এটি ঘরের লোকজনকে শীতল এবং আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
Fan with AC: একটি সিলিং ফ্যান ঘরের প্রতিটি কোণে শীতল বাতাস সঞ্চালন করে। এমন পরিস্থিতিতে এসিকে বেশি কাজ করতে হয় না। তবে ঘর থেকে ঠান্ডা বাতাস যাতে বেরোতে না পারে সেজন্য সব জানলা ও দরজা বন্ধ করে রাখতে হবে।
Fan with AC: আসলে এসির পাশাপাশি ফ্যান ব্যবহার করলে বরং বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়। তবে এর জন্য এসির তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রিতে সেট করতে হবে এবং ফ্যানের গতি সর্বনিম্ন রাখতে হবে। এতে করে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাবে।
Fan with AC: একই সময়ে একটি ফ্যান সারা ঘরে বাতাস সঞ্চালন করে। এটি দ্রুত ঘর ঠান্ডা করে। বিদ্যুৎ খরচও কমাবে। যেমন, ৬ ঘণ্টা এসি ব্যবহার করতে ১২ ইউনিট খরচ হবে। কিন্তু এসির সঙ্গে ফ্যান চালালে খরচ হবে মাত্র ৬ ইউনিট। এতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ বাঁচে।
Fan with AC: মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গ্রীষ্মকালে, যখন আশেপাশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীর নিজেকে শীতল করে হয় ঘামের মাধ্যমে অথবা আশপাশের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে জল ছেড়ে দিয়ে। কিন্তু এটি তখনই কাজ করে যখন আর্দ্রতার মাত্রা কম থাকে।
Fan with AC: আর্দ্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাম হওয়া কমে যায়। তাতে আমাদের অস্বস্তি এবং অসুস্থ বোধ করাটা বেড়ে যায়। এর কারণ হল বাতাসে ইতিমধ্যেই এতটা আর্দ্রতা রয়েছে যে আমাদের শরীর থেকে জল বেরিয়ে গেলে সেটা শোষণ করতে অক্ষম হয়ে যায়। আর এখানেই ফ্যান সাহায্য করতে পারে।
Fan with AC: যদিও একটি পাখা তার চারপাশকে ঠান্ডা করার ক্ষমতা রাখে না, তবে গরম বাতাসকে শরীরের আশপাশ থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে ফ্যান। ত্বক থেকে গরম বাতাস অপসারণ করে ঘামের বাষ্পীভবনে সাহায্য করে। আর এতে শরীরে আরাম হয়।
Post navigation
Just another WordPress site