মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে? তাও আবার খাবার পর। কিংবা আচমকা ক্রেভিংও হতে পারে।একবার ভাবুন তো আপনার কি কোনও সময় খাবার খেলেই মনে হয় একটা মিষ্টি খাই? বা ভাত-রুটি খেলেই শেষে একটা মিষ্টির অনুপস্থিতি মনে হয়? এমতাবস্থায় বুঝতে হবে মিষ্টি খাবারের লোভ শরীরে ঘাটতির দিকেই ইঙ্গিত করছে।সেটা আবার শীতকাল হলে তো কথাই নেই। মিষ্টির ভিতরে যদি থাকে নলেনগুড়, তাহলে আর পায় কে!লোভ সামলানোও কিন্তু বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।মিষ্টি খেলে জল তেষ্টা পাবেন এ তো আরও স্বাভাবিক।যারা সারা রাত জেগে থাকে বা যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না, যখন তাদের শরীরে শক্তির অভাব দেখা দেয়, তখন তারা জাঙ্ক ফুড বা মিষ্টি জিনিস খেতে পছন্দ করেন।বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি খাওয়ার পরপরই জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। এতে গ্লুকোজ শরীরে দ্রুত শোষিত হতে শুরু করবে। এর ফলে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে মিষ্টি খাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর জল পান করা ভাল। সম্ভব হলে এই সময়টা আরও বাড়ানো যেতে পারে।অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস, অল্প বয়সেই ডায়াবেটিস সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যার কারণে অকাল বার্ধক্য দেখা দিতে শুরু করে।*মিষ্টি: মিষ্টি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া ইউরিক অ্যাসিড, ডায়াবেটিস এবং ওজন বাড়াতে পারে। আসলে মিষ্টি এবং মিষ্টিজাতীয় পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডে দ্রবীভূত হয়, যার কারণে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সংগৃহীত ছবি।
