ব্যবসা-বাণিজ্য Smart Investment Tips: প্রতি মাসে ৫০০ টাকা দিয়ে হতে পারেন লাখপতি! কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না, দেখে নিন স্কিমের খুঁটিনাটি Gallery September 3, 2024 Bangla Digital Desk সরকারি প্রকল্প মানেই নিশ্চিত রিটার্নের গ্যারান্টি। চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। পাশাপাশি অল্প টাকা বিনিয়োগের সুবিধাও মেলে। অথচ রিটার্ন আসে চোখধাঁধানো। মাত্র ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেও লাখপতি হওয়া যায়। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ সেরকমই একটি স্কিম। পোস্ট অফিস বা সরকারি ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন গ্রাহক। বর্তমানে এই স্কিমে ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। ৫০০ টাকা দিয়ে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। অর্থাৎ এক অর্থবর্ষে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এটা ন্যূনতম। বছরে সর্বোচ্চ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। স্কিমের মেয়াদ ১৫ বছর। এরপর ম্যাচিউরিটির টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহক। তবে পাঁচ বছর করে মোট দু’বার অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো যায়। পিপিএফ স্কিমে ৫ বছরের লক ইন পিরিয়ড থাকে। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট খোলার তারিখ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত টাকা তোলা যাবে না। লক ইন পিরিয়ড শেষ হলে ফর্ম ২ পূরণ করে টাকা তুলতে পারবেন গ্রাহক। তবে ১৫ বছরের আগে টাকা তুললে ১ শতাংশ হারে সুদ কাটা হয়। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড স্কিমকে EEE ক্যাটেগরির আওতায় রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগ সম্পূর্ণ করমুক্ত। মেয়াদপূর্তিতে প্রাপ্ত সুদের উপরেও কোনও কর দিতে হয় না। আয়করের ধারা ৮০সি-এর আওতায় ১.৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের উপর বার্ষিক করছাড় পাওয়া যায়। এখন যদি পিপিএফ স্কিমে কোনও ব্যক্তি প্রতি মাসে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মেয়াদপূর্তিতে কত রিটার্ন পাবেন? পিপিএফ ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, ৭.১ শতাংশ সুদের হারে ১৫ বছর পর ১.৬৩ লাখ টাকা রিটার্ন মিলবে। একইভাবে যদি কেউ প্রতি মাসে ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে ম্যাচিউরিটিতে তিনি ৩.২৫ লাখ টাকা রিটার্ন পাবেন। এই হিসাবে যদি কেউ প্রতি মাসে ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ১৫ বছর পর তিনি ১ কোটি টাকা পাবেন। আর যদি মাসিক ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে মিলবে ৮০ লাখ টাকা রিটার্ন।