এই বছর ভাদ্রপদ মাসের অমাবস্যা দুই দিন ধরে পড়ছে। বহুদিন পর এমন বিরল কাকতালীয় ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, এই সময় মানুষ সোমবতী অমাবস্যা এবং ভৌমবতী অমাবস্যা উভয়েরই সুফল পাবেন। এই তিথিতে উপবাস করলে শুভ ফল পাওয়া যায়।২ সেপ্টেম্বর সোমবতী অমাবস্যা। এই দিনে স্নান ও দান করলে বিশেষ পুণ্য পাওয়া যায় ৷ এই দিন রাতে কিছু কাজ করলে আপনি আপনার জীবনের দুঃখ এবং ঝামেলাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারেন। উন্নাওয়ের জ্যোতিষী পণ্ডিত ঋষিকান্ত মিশ্র শাস্ত্রী এই বিষয়ে বিশদে বলেছেন৷পণ্ডিত ঋষিকান্ত মিশ্রের মতে, আপনি যদি আপনার পারিবারিক জীবনে সুখ এবং শান্তি চান, তাহলে সোমবতী অমাবস্যার দিনে শিবের পূজা করা উচিত। এই অলৌকিক প্রতিকার ব্যবহার করে আপনার খারাপ সমস্যাগুলি ঠিক হয়ে যাবে। এছাড়াও, বাড়িতে সবসময় সুখ থাকবে।আপনার যদি কোনও ব্যাঙ্ক লোন থাকে এবং তা থেকে মুক্তি পেতে চান, তবে এর জন্য ভৌমবতী অমাবস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে হনুমানের পূজা করুন এবং একটি কলা গাছ লাগান। নিয়মিত যত্ন নিন। ধীরে ধীরে আপনি ঋণমুক্ত হবেন।সোমবতী অমাবস্যার দিন বাড়িতে অশোক গাছ লাগালে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পাওয়া যায়। এই প্রতিকার আপনার পূর্বপুরুষদেরও খুশি করে। তবে মনে রাখতে হবে অশোক গাছ লাগানোর পর তার যত্ন নিতে হবে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে আপনি মোক্ষ লাভ করেন।ভৌমবতী অমাবস্যা চাকরি, শিক্ষা এবং প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়ার জন্যও বিশেষ বিবেচিত হয়। এই দিনে হনুমানজির পূজা করে আপনার গুরুর আশীর্বাদ নিন। ময়দার ১০৮টি বল বানিয়ে মাছকে খাওয়ান। কাজে সাফল্য পেতে পারেন।পিতৃদোষ এড়াতে সোমবতী অমাবস্যার দিনে কালো তিল দান করুন। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী গরীবদের দান করুন। এতে করে আপনি শুধু আপনার পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদই পাবেন না, কর্মজীবনেও ভাল ফল পাবেন।সম্পদ অর্জন এবং আপনার আর্থিক অবস্থান মজবুত করতে, জলে একটি নারকেল নিন। এর উপর একটি লাল সুতো বা রক্ষাসূত্র ৭ বার জড়িয়ে দিন। তারপর আপনার প্রিয় দেবতার ধ্যান করুন এবং এটি প্রবাহিত জলে নিমজ্জিত করুন। আপনি এই সমাধান থেকে উপকৃত হতে পারেন।
