ভারি ব্যাগ কাঁধে রেলস্টেশনে পৌঁছলেন যুবক; সেই ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জিআরপি কর্মীদের !

ভারি ব্যাগ কাঁধে রেলস্টেশনে পৌঁছলেন যুবক; সেই ব্যাগ খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ জিআরপি কর্মীদের !

রঙ্গেশ সিং, সোনভদ্র: ট্রেনে চেপে ঔরঙ্গাবাদ যাওয়ার কথা ছিল যুবকের। এর জন্য পৌঁছেছিলেন রেণুকূট রেলস্টেশনে। যুবকের কাঁধে ছিল একটি ভারি ব্যাগ। দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর পথ আটকান কর্তব্যরত জিআরপি কর্মীরা। এরপর সেই ব্যাগ খুলতেই রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাওয়ার অবস্থা! ব্যাগ থেকে মিলেছে তাড়া তাড়া নোট। এরপরেই ওই যুবককে পাকড়াও করে জিআরপি।

হাতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাতে রেণুকূট রেলস্টেশনে লোকসভা নির্বাচনের কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিলেন জিআরপি কর্মীরা। এরই মধ্যে রেলস্টেশনে পৌঁছন মধ্যপ্রদেশের বৈধানের বাসিন্দা সুরজ কুমার।

আরও পড়ুন– ঘূর্ণিঝড় ‘Remal’-এর প্রভাবে শনিবার থেকে হাওয়া বদল! রবি ও সোমবার রাজ্যে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস

ঔরঙ্গাবাদ যাওয়ার জন্য সিঙ্গরৌলি-পটনা এক্সপ্রেস ধরতে রেণুকূট স্টেশনে পৌঁছেছিলেন তিনি। এবার সেখানে জিআরপি কর্মীরা সমস্ত যাত্রীর ব্যাগ পরীক্ষা করছিলেন, সেই সময়ই ধরা পড়ে সুরজ কুমার। জিআরপি ওই যুবককে ব্যাগ খুলতে বললে তিনি ঘাবড়ে যান। ব্যাগ খোলামাত্রই তার মধ্যে ২টি বান্ডিল দেখা যায়। আর ওই বান্ডিলগুলো খোলা হলে উদ্ধার করা হয় ৩৬ লক্ষ টাকা। এত পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় আয়কর দফতরের আধিকারিকদের কাছে।

জিআরপি ফাঁড়ির ইনচার্জ সন্তোষ কুমার ওঝা জানিয়েছেন যে, রবিবার রাতে সিঙ্গরৌলি-পটনা এক্সপ্রেস আসার সময় লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। মধ্যপ্রদেশের বৈধান থেকে আসা এক ব্যবসায়ীর ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় এবং সন্দেহভাজনের ব্যাগ তল্লাশি করে উদ্ধার হয়েছে ৩৬ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন– সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘রিমল’! ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি? জেনে নিন

আয়কর বিভাগের যেসব আধিকারিক রেণুকূটে পৌঁছেছিলেন, তাঁদের বক্তব্য, “জিআরপি-র কাছ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, রেলওয়ে স্টেশনে ৩৬ লক্ষ টাকার নগদ পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্রে আমরা এখানে এসেছি। আমরা এখনই কিছু বলতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”
তবে সুরজ কুমার জানিয়েছেন যে, তিনি নিজেই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলেছেন এবং পটনায় নিজের পৈতৃক বাড়িতে যাচ্ছেন। তাঁর মা অসুস্থ। বাড়িতে বোনের বিয়েও রয়েছে, তাই এই টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। এরপর অফিসারদের সামনে কাকুতি মিনতি করতে থাকেন ওই যুবক। তাঁর বক্তব্য, ওই টাকা সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র তিনি কর্মকর্তাদের দেখিয়েছেন। অথচ এখনও তিনি সেই টাকা পাননি।