South Bengal News: মাঝরাতে উত্তাল নদী সাঁতরে তিনজনকে উদ্ধার! পুলিশ অফিসারের কীর্তিকে কুর্নিশ সকলের 

দক্ষিণবঙ্গ: বিরামহীন মুষলধারে বৃষ্টি। জল বাড়ছে হু হু করে। ফুঁসছে বেহুলা নদী। মধ্যরাত। আটকে পড়েছেন তিনজন। এখনই তাঁদের উদ্ধার না করলে মুশকিল। জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে। কিন্তু তাদের আসতে অনেক দেরি। ততক্ষণে হয়ত বেহুলার স্রোতের টানে ভেসে যাবে তিনজন। আর সময় নষ্ট করা যাবে না। জলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এক পুলিশ অফিসার। উদ্ধার করে নিয়ে এলেন আটকে পড়া তিনজনকে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে এই ঘটনা ঘটেছে। ওই পুলিশ অফিসারের সাহসিকতার তারিফ করছেন সকলেই।

টানা বৃষ্টির জেরে জলে ভাসছে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন ব্লক। এক রাতের টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও মানুষ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ জায়গায়, আবার কোথাও জল ঢুকে ঘরের মধ্যেই বন্দি হয়ে রয়েছে মানুষজন। ডুবেছে বিভিন্ন ব্লকের রাস্তা।  বিঘ্ন ঘটেছে যানবাহন চলাচলে। বৃহস্পতিবার একটানা বৃষ্টি জেরে বিভিন্ন নদীর পাশাপাশি বেড়েছে বেহুলা নদীর জলও। বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকাও।

আরও পড়ুন: রাস্তার উপর দিয়ে বইছে নদীর মতো স্রোত, পূর্ব বর্ধমানে বন্যা পরিস্থিতি বিস্তীর্ণ এলাকায়

রাত তখন ১২টা। মেমারি থানায় খবর আসে মেমারি গন্তার এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মগরা খাসপাড়া এলাকায় একই পরিবারের তিনজন বেহুলা নদীর জল বাড়ার ফলে আটকে পড়েছেন। খবর দেওয়া হয় সিভিল ডিফেন্সকেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মেমারি থানার এএসআই দীপক পাল। উপস্থিত হন ওসি দেবাশিস নাগও।

রাত বাড়ার কারণে সিভিল ডিফেন্সের অপেক্ষা না করে এএসআই দীপক পাল নিজের পুলিশ পোশাক খুলে  অন্য পোশাকে বেহুলা নদী সাঁতরে পার হয়ে আটকে থাকা পরিবারের তিনজনকে উদ্ধার করেন। উদ্ধার করে তাদের পাঠানো হয়েছে রেসকিউ সেন্টারে।

আরও পড়ুন: সামান্য শাকের চচ্চড়িই কামাল দেখাবে সুগার-কোলেস্টেরলে! মেডিক্যাল সায়েন্সেও প্রমাণিত

এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ওই পুলিশ অফিসার তিনজনকে উদ্ধার করার জন্য যে ঝুঁকি নিলেন তা দেখে আমরা অবাক। মধ্যরাতের এই অভিযান সিনেমাকেও হার মানাবে। সময় নষ্ট না করে এগিয়ে যান অফিসার। একে একে তিনজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তিনি।