দক্ষিণবঙ্গ: ফের গণপিটুনির ঘটনা ঘটল এই রাজ্যে। বর্ধমান শহরে দিনের বেলায় জনবহুল এলাকায় গণপ্রহারের শিকার হলেন এক মহিলা সহ দু’জন। ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রেখে মারধর করা হল তাঁদের।
বর্ধমান শহরের খাঁ পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা একটি শিশুকে লজেন্স দিয়ে কথা বলছিল। তাতেই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপরই তাঁদের আটক করে শুরু হয় গণপ্রহার। বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। অভিযুক্তরা অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা ছেলেধরা নন। ভিক্ষা করতে এসেছিলেন।
এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, খাঁ পাড়া এলাকার একটি শিশুর সঙ্গে কথা বলছিলেন পাঁচ জন অপরিচিত পুরুষ ও মহিলা। এলাকার কয়েকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁদের পরিচয় জানতে চান। তখন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তাঁরা এলাকা থেকে পালাতে চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
এক বাসিন্দার দাবি, হঠাৎই তাঁরা দৌড়তে শুরু করে। তাতেই বাড়ে সন্দেহ। কয়েকজন তাঁদের তাড়া করে গিয়ে কিছুটা দূরে তেলমারুই পাড়া এলাকায় এক মহিলা সহ দু’জনকে ধরে ফেলে।
সূত্রের খবর, এরপরেই ছেলেধরা সন্দেহে শুরু হয় বেধড়ক মারধর। খবর পেয়ে প্রচুর লোকজন জমে যায় ঘটনাস্থলে। তার জেরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দু’জনকে উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর বর্ধমান থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে আক্রান্তরা জানিয়েছে, তাদের কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ভিক্ষা করার জন্যই ওই এলাকায় তারা গিয়েছিল। কিন্তু, স্থানীয় লোকজন তাদের ছেলেধরা সন্দেহে তাড়া করে বেধড়ক মারধর করেছে।
আরও পড়ুন: সাদা শাড়িতে একেবারে অনন্য রূপে রাধিকা! দেখুন প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানের অদেখা সব ছবি
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে গুজবের বশীভূত হয়ে মারধর করতে বারবার নিষেধ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। তারপরও এই ধরনের ঘটনা কমছে না।