সূর্যের খারাপ অবস্থা!

Space: সানস্পট বন্ধ, ঝিমিয়ে পড়ছে সূর্য! পৃথিবীর কি এবার বিরাট বিপদের আশঙ্কা!

জবাপুষ্পের মতো লোহিতবর্ণ সূর্যের আরেক নাম সবিতৃ। মানে, যিনি তাঁর প্রভায় উজ্জ্বল করে তোলেন এই সৃষ্টি এবং তার চার পাশের সব কিছু। আবার যদি ঋগ্বেদের দিকে তাকানো যায়, তা হলে আমরা দেখব সেখানে সূর্যকে সরাসরি বলা হচ্ছে প্রকৃতি বা এই জাগতিক চরাচরের সৃজনকর্তা। সন্দেহ নেই, এই তুলনা খুব প্রত্যক্ষ ভাবেই বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত। কেন না, খুব প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে থেকেছে সূর্যের দিকে, বোঝার চেষ্টা করেছে তার খুঁটিনাটি।
জবাপুষ্পের মতো লোহিতবর্ণ সূর্যের আরেক নাম সবিতৃ। মানে, যিনি তাঁর প্রভায় উজ্জ্বল করে তোলেন এই সৃষ্টি এবং তার চার পাশের সব কিছু। আবার যদি ঋগ্বেদের দিকে তাকানো যায়, তা হলে আমরা দেখব সেখানে সূর্যকে সরাসরি বলা হচ্ছে প্রকৃতি বা এই জাগতিক চরাচরের সৃজনকর্তা। সন্দেহ নেই, এই তুলনা খুব প্রত্যক্ষ ভাবেই বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত। কেন না, খুব প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে থেকেছে সূর্যের দিকে, বোঝার চেষ্টা করেছে তার খুঁটিনাটি।
বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতি যেমন যেমন হয়েছে, এই পর্যবেক্ষণের কাজটি হয়ে উঠেছে আরও সহজ। এই যেমন আপাতত ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কথাই ধরা যাক না। ২০২০ সাল থেকেই সূর্যের কক্ষপথে সৌরযান পাঠিয়েছে তারা। যা কাজ করতে শুরু করেছে জুন মাস থেকে। খবর মোতাবেক, এই সৌরযানটির মধ্যে রয়েছে খুবই শক্তিশালী ১০টি যন্ত্র।
বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতি যেমন যেমন হয়েছে, এই পর্যবেক্ষণের কাজটি হয়ে উঠেছে আরও সহজ। এই যেমন আপাতত ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির কথাই ধরা যাক না। ২০২০ সাল থেকেই সূর্যের কক্ষপথে সৌরযান পাঠিয়েছে তারা। যা কাজ করতে শুরু করেছে জুন মাস থেকে। খবর মোতাবেক, এই সৌরযানটির মধ্যে রয়েছে খুবই শক্তিশালী ১০টি যন্ত্র।
ফলে সূর্যের বুকে কী ঘটে চলেছে, তার বিশদ বিবরণ তুলে আনতে তাদের বেগ পাওয়ার কথা নয়। যদিও খবর বলছে যে এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩টি যন্ত্রই পৃথিবীতে যথাযথ ডেটা পাঠাতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৩টি যন্ত্র মারফত পাওয়া ডেটাও যা বলছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে চমকে উঠতে হয়।
ফলে সূর্যের বুকে কী ঘটে চলেছে, তার বিশদ বিবরণ তুলে আনতে তাদের বেগ পাওয়ার কথা নয়। যদিও খবর বলছে যে এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩টি যন্ত্রই পৃথিবীতে যথাযথ ডেটা পাঠাতে সমর্থ হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৩টি যন্ত্র মারফত পাওয়া ডেটাও যা বলছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে চমকে উঠতে হয়।
ডেটা বলছে যে সূর্য না কি এখন একেবারেই ঝিমিয়ে রয়েছে। এই ঝিমিয়ে থাকার ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। সৃষ্টির প্রথম যুগে মানুষ সূর্যের উপরে দেবত্ব আরোপ করলেও আসলে তো তা এক নক্ষত্র বই আর কিছু নয়। আর সেই নক্ষত্রের উত্তাপ বিকিরণ হয় তার বুকে ক্রমাগত ঘটে চলা আণবিক বিস্ফোরণের ফলে।
ডেটা বলছে যে সূর্য না কি এখন একেবারেই ঝিমিয়ে রয়েছে। এই ঝিমিয়ে থাকার ব্যাপারটা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। সৃষ্টির প্রথম যুগে মানুষ সূর্যের উপরে দেবত্ব আরোপ করলেও আসলে তো তা এক নক্ষত্র বই আর কিছু নয়। আর সেই নক্ষত্রের উত্তাপ বিকিরণ হয় তার বুকে ক্রমাগত ঘটে চলা আণবিক বিস্ফোরণের ফলে।
এই আণবিক বিস্ফোরণ থেকে জন্ম নেয় একেকটি চক্র যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে সানস্পট। একেকটি সানস্পটের মেয়াদ কাল হল ১১ বছর। তো, খবর বলছে যে সূর্য আপাতত ঝিমিয়ে রয়েছে, মানে সেখানে এখন কোনও সানস্পট চলছে না!
এই আণবিক বিস্ফোরণ থেকে জন্ম নেয় একেকটি চক্র যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে সানস্পট। একেকটি সানস্পটের মেয়াদ কাল হল ১১ বছর। তো, খবর বলছে যে সূর্য আপাতত ঝিমিয়ে রয়েছে, মানে সেখানে এখন কোনও সানস্পট চলছে না!
এই জায়গাতে এসেই পড়তে হয় ভয়ের মুখে। যদি সানস্পট না চলে, তার মানে সূর্য এখন রয়েছে প্রায় ঘুমন্ত দশায়। এ ভাবেই যদি থেকে যায় সে, তা হলে সবিতৃর প্রভায় জগৎ উজ্জ্বল হবে কী করে? প্রকৃতিই বা সৌরালোক পুষ্ট হয়ে কী ভাবে রক্ষা করবে তার বহমান প্রাণের ধারা?
এই জায়গাতে এসেই পড়তে হয় ভয়ের মুখে। যদি সানস্পট না চলে, তার মানে সূর্য এখন রয়েছে প্রায় ঘুমন্ত দশায়। এ ভাবেই যদি থেকে যায় সে, তা হলে সবিতৃর প্রভায় জগৎ উজ্জ্বল হবে কী করে? প্রকৃতিই বা সৌরালোক পুষ্ট হয়ে কী ভাবে রক্ষা করবে তার বহমান প্রাণের ধারা?
বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন যে ভয় নেই- সূর্যের এই ঝিমিয়ে পড়াটাও এক স্বাভাবিক ঘটনা। সানস্পট-এর মধ্যে কিছু খুবই সক্রিয় দশা এবং একেবারে নিষ্ক্রিয় দশা- দুই দেখতে পাওয়া যায়। তাই আপাতত নিষ্ক্রিয় দশা চললেও মুষড়ে পড়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। খুব তাড়াতাড়িই আবার সক্রিয় দশায় ফিরবে সূর্য, শুরু হবে নতুন সানস্পট। অতএব, পৃথিবীতে রোদ আর উত্তাপ আসাও বন্ধ হবে না।
বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলছেন যে ভয় নেই- সূর্যের এই ঝিমিয়ে পড়াটাও এক স্বাভাবিক ঘটনা। সানস্পট-এর মধ্যে কিছু খুবই সক্রিয় দশা এবং একেবারে নিষ্ক্রিয় দশা- দুই দেখতে পাওয়া যায়। তাই আপাতত নিষ্ক্রিয় দশা চললেও মুষড়ে পড়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। খুব তাড়াতাড়িই আবার সক্রিয় দশায় ফিরবে সূর্য, শুরু হবে নতুন সানস্পট। অতএব, পৃথিবীতে রোদ আর উত্তাপ আসাও বন্ধ হবে না।