পাঁচমিশালি Story Of D.B Cooper: রহস্যই রয়ে গেলেন ডি বি কুপার, উড়ান থেকে মুক্তিপণ নিয়ে আচমকাই গায়েব হন এই দুঁদে অপরাধী! এখনও ধন্দে মার্কিন গোয়েন্দারা Gallery July 15, 2024 Bangla Digital Desk প্রায় বাহান্ন বছর আগে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডি বি কুপার। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি, যিনি বোয়িং ৭২৭ একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর ওয়াশিংটনের সিয়াটল থেকে ওরেগনের পোর্টল্যান্ড উড়ে যাচ্ছিল সেটি। ওই ব্যক্তির দাবি ছিল, সিয়াটলে অবতরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ৪টি প্যারাশ্যুটে এবং ২ লক্ষ ডলার নগদও চেয়েছিলেন। ওই ব্যক্তি বলেন, তাঁর কাছে বোমা রয়েছে। বিমানসেবিকার কাছে বলেন, ব্রিফকেসের মধ্যে ডিনামাইটের মতো ডিভাইস রয়েছে। Photo: Collected যাত্রিবাহী উড়ানটি সিয়াটলে অবতরণ করেছিল। এরপর ওই হাইজ্যাকার বিমানকর্মীদের নির্দেশ করে মেক্সিকো সিটির দিকে উড়ে যেতে হবে। পরিকল্পনা ছিল, নেভাদার রেনোয় জ্বালানি ভরানো হবে উড়ানটিকে। কিন্তু টেক-অফের ৩০ মিনিট পরেই ওই হাইজ্যাকার বা অপহরণকারী আচমকাই উড়ানের পিছনের দরজা দিয়ে প্যারাশ্যুটে চেপে ওয়াশিংটন স্টেটের অন্ধকার আকাশে যেন উবে যান। অবশ্য মুক্তিপণের অর্থ সঙ্গে করেই নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।তবে সেই অপরহরণকারীর পরিচয় জানা যায়নি। নিজেকে ড্যান কুপার বলে দাবি করেছিলেন তিনি। Photo: Collected তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ভুলবশত তাঁকে ডিবি কুপার বলে লেখা হয়েছে। আর সেই ভুল নামটাই থেকে গিয়েছে। এই ডিবি কুপারের গল্প প্রথমবার ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর ক্যালগারি হেরাল্ডে প্রকাশিত হয়। Photo Courtesy: The Sun এরপর ১৯৭২ সালে ক্যালগারি হেরাল্ডের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে পুলিশ জানায় যে, ডি বি কুপার হল ভয়ঙ্কর অপরাধী। কিছু আইনপ্রণেতা জল্পনা করে জানান যে, প্যারাশ্যুটে চেপে ঝাঁপ দেওয়ার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন কুপার। ১৯৮০ সালে ওয়াশিংটনে একটি নদীর তীর থেকে মুক্তিপণের অর্থের কিছু অংশ পাওয়া যায়। ডি বি কুপারের রহস্য থেকেই গিয়েছে। এমনকী, তাঁর ঝাঁপ দেওয়ার জায়গায় প্রতি বছর নভেম্বর মাসে জড়ো হন পর্যটকরা।Photo Courtesy: Artist কয়েক দশক ধরে এই মামলা নিয়ে বেশ বিভ্রান্ত এফবিআই। ২০০৭ সালে এক নয়া এজেন্ট এই মামলার ভার নেন। কয়েক বছর ধরে প্রচুর সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়। ২০১১ সালে ওকলাহোমার এক মহিলা দাবি করেন যে, ডি বি কুপার তাঁর কাকা। যদিও এই দাবির প্রমাণ মেলেনি। FBI প্রায় ৪৫ বছর ধরে এই ফাইল খোলা রেখেছিল। এই সময়ের মধ্যে ওই অপহরণকারীর পরিচয় নিয়ে অসংখ্য তত্ত্ব ভেসে উঠেছিল। তদন্ত করা সত্ত্বেও তেমন কোনও সুনির্দিষ্ট সমাধান মেলেনি। এরপর গত ৮ জুলাই, ২০১৬ তারিখে এই মামলা অফিশিয়াল ভাবে ক্লোজ করা হয়। Photo: Collected