মানিক সাহা

Manik Saha: কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা পড়শি রাজ্যের কর্মস্থলে! বড় ঘোষণা মানিক সাহার

ত্রিপুরাঃ হিংসা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর। নারীদের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন বজায় রাখার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা৷ বর্তমান রাজ্য সরকার ত্রিপুরায় আইনের শাসন বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই সঙ্গে হিংসা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আগরতলায় নিজ সরকারি বাসভবনে রাখি পূর্ণিমা উৎসবে অংশগ্রহণ করে এই গুরুত্ব তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।

আরও পড়ুনঃ পূর্ণিমার ভরা কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর!

রাখি পূর্ণিমা উপলক্ষে উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘আজ রাখির এই পবিত্র দিনে প্রতি বছরের মতো বোনেরা রাখি পরাতে এসেছেন। আমাদের বোনদের যত্ন নেওয়া এবং তাদের সুরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। নারীরা এখন শুধু গৃহস্থালির কাজেই নিয়োজিত নয়, তারা ঘরের বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এজন্য আমাদের অবশ্যই তাদের সুরক্ষা তথা নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আজ এখানে একসঙ্গে অনেক বোনকে পেয়ে আমি সত্যিই খুশি’।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজ্য সরকার ত্রিপুরায় আইনের শাসন বজায় রাখতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করে চলছে। যদিও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা দ্রুততার সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকি৷ আমাদের বোনেরা খুশি থাকলে সেটা আমাদের সকলের জন্য মঙ্গল। আমরা সর্বদা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা (মাদকমুক্ত ত্রিপুরা) গড়ে তোলার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছি। এর পাশাপাশি এখন আমাদের অবশ্যই হিংসা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যেতে হবে, যাতে মানুষ নির্ভয়ে কাজ করতে পারে এবং অবাধে চলাফেরা করতে পারে। বর্তমানে রাজ্যে অপরাধের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।ইতিমধ্যেই আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে ত্রিপুরায়৷ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছেন। এছাড়া শাসক দল বিজেপির তরফেও রাজনৈতিক ভাবে কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনিক স্তরেও হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।’