হেলমেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের, এবার আর রক্ষে নেই, ভুল করলেই জরিমানা

কলকাতা: সস্তা ও নকল হেলমেট উৎপাদনকারী এবং এই ধরনের হেলমেট প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। শুধু তাই নয়, নকল হেলমেট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ এই হেলমেট দুর্ঘটনার সময় ব্যর্থ হয় এবং মাথার সুরক্ষা দেয় না।

ডুপ্লিকেট হেলমেট এত বিপজ্জনক কেন –

দুর্বল উপাদান: ডুপ্লিকেট হেলমেটগুলি আসল হেলমেটের চেয়ে দুর্বল উপাদান দিয়ে তৈরি। তাই দুর্ঘটনার সময় এগুলি ভেঙে যায় এবং মাথাকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেয় না।

আরও পড়ুন- ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি উত্তরবঙ্গে ! বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে দক্ষিণবঙ্গে

ভুল আকার: এই হেলমেটগুলি সঠিক আকারের নয়। যার কারণে এগুলি মাথায় ঠিকভাবে ফিট হয় না এবং দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে পড়ে।

নন-স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি: এই হেলমেটগুলিতে নিরাপত্তার মান অনুসরণ করা হয় না। যার কারণে এটি মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণ হতে পারে।

সরকারি পদক্ষেপে কী লাভ –

সড়ক নিরাপত্তার উন্নতি: ডুপ্লিকেট হেলমেট বিক্রি নিষিদ্ধ করলে সড়ক নিরাপত্তা উন্নত হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমবে।

প্রকৃত পণ্যের প্রচার: সরকারের এই পদক্ষেপ প্রকৃত ও মানসম্পন্ন হেলমেট উৎপাদন ও বিক্রয়কে উৎসাহিত করবে।

ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত: এর মাধ্যমে ভোক্তারা মানসম্পন্ন পণ্য পাবে এবং প্রতারণা এড়াতে পারবে।

ভোক্তাদের কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত –

একজন অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে ক্রয়: সর্বদা একজন অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে একটি হেলমেট ক্রয় করা উচিত।

হেলমেটের গুণমান পরীক্ষা: হেলমেট কেনার আগে এর গুণমান এবং নিরাপত্তার মান সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জেনে নিতে হবে।

বিল নিতে হবে: হেলমেট কেনার সময়, বিল নিতে ভোলা উচিত নয়। যাতে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হলে এটি ব্যবহার করা যায়।

টু-হুইলার হেলমেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব কাপুর বলেছেন, সরকারকে টু-হুইলার মোটর যানবাহন (গুণমান নিয়ন্ত্রণ) আদেশ, ২০২০-এর মাধ্যমে, আরোহীদের জন্য হেলমেটের বিধানগুলি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত, যা ২০২১ সালের জুনে কার্যকর হয়েছিল।

জনপ্রিয় হেলমেট কোম্পানি স্টিলবার্ডের ডিরেক্টর এবং টু-হুইলার হেলমেট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজীব কাপুর জানিয়েছেন যে,“বিআইএস চিহ্ন ছাড়া পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় এবং সংরক্ষণ নিষিদ্ধ এবং এটি একটি অপরাধ। এই আদেশের যে কোনও লঙ্ঘন বিআইএস আইন, ২০১৬-এর প্রযোজ্য আইনি বিধান অনুসারে কঠোরভাবে শাস্তি যোগ্য।”