ব্যবসা-বাণিজ্য Pension Plans: অবসর জীবনের জন্য সঠিক পেনশন প্ল্যান বাছবেন কীভাবে? এই জিনিসগুলো অবশ্যই মাথায় রাখুন Gallery August 8, 2024 Bangla Digital Desk চাকরিজীবনে মাস ফুরোলে বেতন পান কর্মচারী। সঞ্চয় থেকে সংসার খরচ, সব কিছু চলে তা থেকেই। কিন্তু চাকরি তো আজীবন থাকবে না। ৬০ বছর বয়সে অবসর নিতে হবে। তখন সংসার চলবে কীভাবে? এখানেই পেনশন প্ল্যানের গুরুত্ব। বাজারে হাজার রকমের পেনশন প্ল্যান রয়েছে। কিছু সরকারি, কিছু বেসরকারি। এর মধ্যে থেকে এক বা একাধিক পেনশন প্ল্যানে বিনিয়োগ করা যায়। অবসরের পর মেলে রিটার্ন। তখন মাস ফুরোলে নিশ্চিত আয় জোগানোর দায়িত্ব নেয় পেনশন প্ল্যান। এনপিএস: ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস হল সরকারি পেনশন প্রকল্প। বিনিয়োগ ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত লক-ইন পিরিয়ডে থাকে। এতে দু’ধরণের অ্যাকাউন্ট খোলা যায় টায়ার ১ এবং টায়ার ২। বিনিয়োগকারী ট্যাক্স সুবিধাও পান। জীবন বিমা কোম্পানির পেনশন: বাজারে একাধিক জীবন বিমা কোম্পানি রয়েছে। প্রত্যেকেই পেনশন প্ল্যান বিক্রি করে। এর মধ্যে থেকেও যে কোনও এক বা একাধিক পেনশন প্ল্যান বেছে নেওয়া যায়। এতে রিটার্নের পাশাপাশি জীবন বিমার সুবিধাও মেলে। ইউনিট লিঙ্কড ইনস্যুরেন্স প্ল্যান: ইউনিট লিঙ্কড ইনস্যুরেন্স প্ল্যান বা ইউলিপ এক ধরণের জীবন বিমা পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে বাজার-সংযুক্ত তহবিলে বিনিয়োগ করা যায়। ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এবং আর্থিক লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে ইউলিপে বিনিয়োগ করা উচিত। এতে বিনিয়োগ করলেও কর সুবিধা পাওয়া যায়। সেরা পেনশন প্ল্যান বাছার পদ্ধতি: নিশ্চিন্তে অবসর জীবন কাটাতে চাইলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই কোন প্ল্যান রিটার্ন বেশি দিচ্ছে সেটা দেখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, রিটার্ন বেশি মানে ঝুঁকিও বেশি। ঝুঁকি নিতে না চাইলে নিরাপদ প্ল্যানে বিনিয়োগ করাই ভাল। তবে তার রিটার্ন মুদ্রাস্ফীতিকে টেক্কা দিতে পারছে কি না, দেখে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন পেনশন প্ল্যান বেছে নেওয়া উচিত, যা থেকে মাসে মাসে রোজগার হবে না। পাশাপাশি অবসরের পর যেহেতু আয় সম্ভব নয়, তাই পেনশন প্ল্যান বাছার ক্ষেত্রে ঝুঁকি না নেওয়াই উচিত। দেখতে হবে নিশ্চিত রিটার্ন যেন পাওয়া যায়। একই সঙ্গে নিত্য খরচ থেকে চিকিৎসা, জরুরী প্রয়োজন সামলাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।