ব্যবসা-বাণিজ্য রতন টাটার সঙ্গে তাঁর প্রিয় বন্ধুর বয়সের ফারাক ৫৫ বছর, জানেন সেই বন্ধুটির পরিচয়? কীভাবেই বা গড়ে উঠল অসমবয়সী এই বন্ধুত্ব? Gallery October 11, 2024 Bangla Digital Desk রতন টাটার বিষয়ে তো সকলেই শুনেছেন। কিন্তু শান্তনু নায়ডুর নাম হয়তো অনেকেই জানেন না। তাঁর পরিচয় আসলে কী? শান্তনু হলেন রতন টাটার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট। সমাজসেবা থেকে শুরু করে লেখালিখি এবং তরুণ উদ্যোগপতিও তিনি! এর পাশাপাশি তাঁর পশুপ্রেমের কথাও জানা যায়। মূলত সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য প্রচুর কাজ করেছেন শান্তনু। তাঁর গল্পও অনুপ্রেরণা জোগাবে। Photo: Instagram বুধবারই মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন টাটা গ্রুপের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা। গোটা দেশই শোকে মুহ্যমান। দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর মৃত্যুতে। তবে আজ জেনে নেব রতন টাটার প্রিয় বন্ধু শান্তনুর গল্প। তবে শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে, ৮৬ বছরের এক বৃদ্ধ এবং ৩১ বছর বয়সী এক তরুণের মধ্যে গভীর সখ্য গড়ে উঠেছিল। বয়সের ফারাক সত্ত্বেও একে অপরের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। পুণের এক তেলুগু পরিবারে ১৯৯৩ সালে জন্ম শান্তনুর। তবে সমবয়সীদের তুলনায় বরাবরই একটু আলাদা ছিলেন এই যুবক। যার কারণে ৩১ বছর বয়সে ব্যবসায়িক দুনিয়ায় নিজের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন তিনি। পশুপাখি এবং সমাজ সেবামূলক কাজে গভীর অনুরাগ থেকে শান্তনু তৈরি করে ফেলেছেন Motopaws নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে পথকুকুরদের নিয়ে কাজ করা হয়। Photo: Instagram আর এই প্রতিষ্ঠান পথকুকুরদের জন্য বিশেষ ডেনিম কলার তৈরি করেছে। যাতে দ্রুতগতিতে আসা গাড়ির হাত থেকে বাঁচতে পারে তারা। আর শান্তনুর এই আইডিয়া রতন টাটার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফলে শান্তনুকে মুম্বইয়ে ডেকে পাঠান তিনি। এরপর তাঁদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত। একই ধরনের চিন্তাভাবনা এবং সামাজিক বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে অসমবয়সী বন্ধুত্ব গাঢ় হতে থাকে। বর্তমানে রতন টাটার অফিসে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছেন শান্তনু। সেই সঙ্গে নতুন নতুন স্টার্ট-আপে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন টাটা গ্রুপকে। এখানেই শেষ নয়, শান্তনু একজন সফল উদ্যোগপতি, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং লেখক। নিজের প্রাথমিক পড়াশোনার বিষয়ে তেমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেননি শান্তনু। সাবিত্রী ফুলে পুণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক পাশ করেন। এরপর ২০১৬ সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন তিনি। শান্তনুর সাফল্যের কাহিনি আজকের তরুণ সম্প্রদায়কে কঠোর পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা জোগায়। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, শান্তনুর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫-৬ কোটি টাকা। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে প্রতি রবিবার করে লাইভ সেশন চালান শান্তনু। অন্ত্রেপ্রেনরশিপ নিয়ে পড়ুয়াদের পড়ান তিনি। এর জন্য প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর থেকে ৫০০ টাকা করে নেন শান্তনু। আর এভাবে আয় করা টাকার পুরোটাই তিনি ব্যয় করেন এনজিও মোটোপজে। শান্তনু নায়ডুর আর একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট হল Goodfellow। এটি একটি স্টার্ট-আপ, যা প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে যুব সম্প্রদায়কে জুড়ে রাখার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। শান্তনুর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলা যাক। তবে তাঁর পরিবারের ব্যাপারে তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিবারে রয়েছেন তাঁর মা-বাবা এবং বোন। বর্তমানে অবিবাহিত শান্তনু।