‘রূপকথার মতো’ শব্দটা শ্রীকান্ত বোল্লার সঙ্গে ঠিক যায় না। এত যন্ত্রণা, এত ঘাত প্রতিঘাত তিনি পেয়েছেন, তাকে আর যাই হোক রূপকথা বলা যায় না। বরং ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। শ্রীকান্ত বোল্লা সেরকম, তিনি জীবনের চেয়েও বড়। এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ১৫০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক হয়ে ওঠার ঘাম রক্তে ভেজা ইতিহাস।

Success Story: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শ্রীকান্ত তৈরি করেছেন ১৫০ কোটি টাকার কোম্পানি ! আসছে তাঁর বায়োপিক

‘রূপকথার মতো’ শব্দটা শ্রীকান্ত বোল্লার সঙ্গে ঠিক যায় না। এত যন্ত্রণা, এত ঘাত প্রতিঘাত তিনি পেয়েছেন, তাকে আর যাই হোক রূপকথা বলা যায় না। বরং ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। শ্রীকান্ত বোল্লা সেরকম, তিনি জীবনের চেয়েও বড়। এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ১৫০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক হয়ে ওঠার ঘাম রক্তে ভেজা ইতিহাস।
‘রূপকথার মতো’ শব্দটা শ্রীকান্ত বোল্লার সঙ্গে ঠিক যায় না। এত যন্ত্রণা, এত ঘাত প্রতিঘাত তিনি পেয়েছেন, তাকে আর যাই হোক রূপকথা বলা যায় না। বরং ইংরেজিতে একটা কথা আছে, ‘লার্জার দ্যান লাইফ’। শ্রীকান্ত বোল্লা সেরকম, তিনি জীবনের চেয়েও বড়। এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর ১৫০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক হয়ে ওঠার ঘাম রক্তে ভেজা ইতিহাস।
ছোট থেকে লড়াই করেছেন শ্রীকান্ত। দৃষ্টি না থাকলেও অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন গোটা পৃথিবীকে। অনুভব করেছেন। লড়াই করেছেন। ভারতের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। সেই গল্প নিয়েই ১০ মে বড়পর্দায় আসছে তাঁর বায়োপিক ‘শ্রীকান্ত: আ রাহা হ্যায় সবকা আঁখে খুলনে’। নাম ভুমিকায় অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও।
ছোট থেকে লড়াই করেছেন শ্রীকান্ত। দৃষ্টি না থাকলেও অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন গোটা পৃথিবীকে। অনুভব করেছেন। লড়াই করেছেন। ভারতের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে প্রথম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করেছেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে। সেই গল্প নিয়েই ১০ মে বড়পর্দায় আসছে তাঁর বায়োপিক ‘শ্রীকান্ত: আ রাহা হ্যায় সবকা আঁখে খুলনে’। নাম ভুমিকায় অভিনয় করেছেন রাজকুমার রাও।
শ্রীকান্ত বর্তমানে হায়দরাবাদের বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং সিইও। কর্মজীবনে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য একাধিক নামি পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফোবর্স এশিয়ার ’৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে তাঁর নাম। আজ তাঁর জীবন যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণা।
শ্রীকান্ত বর্তমানে হায়দরাবাদের বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান এবং সিইও। কর্মজীবনে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য একাধিক নামি পুরস্কার এবং স্বীকৃতি পেয়েছেন। ফোবর্স এশিয়ার ’৩০ আন্ডার ৩০’ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে তাঁর নাম। আজ তাঁর জীবন যুবসমাজের কাছে অনুপ্রেরণা।
অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনমের সীতারামপুরমের কৃষক পরিবারে জন্ম শ্রীকান্ত বোল্লার। জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই অসাধারণ মেধাবি। একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল অনুমতি দেয়নি। ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন শ্রীকান্ত। কেন তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারবেন না? স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদালতে। ৬ মাস ধরে চলে শুনানি। মামলায় শ্রীকান্তরই জয় হয়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার অনুমতি পান তিনি। দ্বাদশ শ্রেণীতে ৯৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন শ্রীকান্ত।
অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনমের সীতারামপুরমের কৃষক পরিবারে জন্ম শ্রীকান্ত বোল্লার। জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ছোট থেকেই অসাধারণ মেধাবি। একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্কুল অনুমতি দেয়নি। ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন শ্রীকান্ত। কেন তিনি বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে পারবেন না? স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন আদালতে। ৬ মাস ধরে চলে শুনানি। মামলায় শ্রীকান্তরই জয় হয়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার অনুমতি পান তিনি। দ্বাদশ শ্রেণীতে ৯৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন শ্রীকান্ত।
অসাধারণ মেধাবি হওয়া সত্ত্বেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনও কোচিং ইনস্টিটিউট তাঁকে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। তাঁর আইআইটি-জেইই পাশ করার এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (আইআইটি) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। এমআইটি-র মতো বিশ্বের অন্যতম নামি বিশ্ববিদ্যালয় লুফে নিল শ্রীকান্তকে। তিনিও পাড়ি জমালেন মার্কিন মুলুক। দেশে ফেরার পর ২০১১ সালে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সমনভাই সেন্টার খোলেন শ্রীকান্ত।
অসাধারণ মেধাবি হওয়া সত্ত্বেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারণে কোনও কোচিং ইনস্টিটিউট তাঁকে ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। তাঁর আইআইটি-জেইই পাশ করার এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (আইআইটি) ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। কিন্তু বীরভোগ্যা বসুন্ধরা। এমআইটি-র মতো বিশ্বের অন্যতম নামি বিশ্ববিদ্যালয় লুফে নিল শ্রীকান্তকে। তিনিও পাড়ি জমালেন মার্কিন মুলুক। দেশে ফেরার পর ২০১১ সালে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সমনভাই সেন্টার খোলেন শ্রীকান্ত।
চালু করেন ব্রেইল প্রিন্টিং প্রেস। শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে একাধিক পরিষেবা চালু করেন তিনি। পরের বছর শুরু করেন বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজ। এখানে পরিবেশ বান্ধব পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্রাফট পেপার তৈরি হয়। ২০১৮ সালে ১৫০ কোটি টাকার টার্নওভার ছিল শ্রীকান্তর কোম্পানির। এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন রতন টাটা স্বয়ং।
চালু করেন ব্রেইল প্রিন্টিং প্রেস। শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে একাধিক পরিষেবা চালু করেন তিনি। পরের বছর শুরু করেন বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজ। এখানে পরিবেশ বান্ধব পুনর্ব্যবহারযোগ্য ক্রাফট পেপার তৈরি হয়। ২০১৮ সালে ১৫০ কোটি টাকার টার্নওভার ছিল শ্রীকান্তর কোম্পানির। এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন রতন টাটা স্বয়ং।