Tag Archives: success story

Higher Secondary Examination Result: Success Story: বয়সে কিশোরী, উচ্চতায় ছোট্ট শিশু, মায়ের কোলে চেপে পরীক্ষাকেন্দ্রে! উচ্চ মাধ্যমিকে সফল দিশানী হতে চান শিক্ষিকা

জুলফিকার মোল্যা, বসিরহাট: জন্মের পর থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অন্তরায় জীবনে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেও এখনও আর তার উচ্চতা একটি ছোট্ট শিশুর মতোই। ঘাড়ের নীচ থেকে কার্যত অসাড়। নিজে স্নান করতে পারে না, চলাফেরা খাবার খাওয়ার জন্য মায়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। হাঁটাচলা তো দূর অস্ত, সরু ও রুগ্ন হাত দিয়েও তেমন কিছু করতে পারে না। শুধুমাত্র কোনওরকমে কলম চালাতে শিখেছে।

আর সেই কলমের জোরে উচ্চ মাধ্যমিকে সফল উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের চাঁপাপুকুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী দিশানী সাহা। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দিশানী প্রায় ৫৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে সে মায়ের কাছে রপ্ত করেছে কবিতা আবৃতি। কবিতা আবৃতিতে দিশানীর ঝুলিতে আছে একাধিক পুরষ্কার।

আরও পড়ুন : বাবা লটারিবিক্রেতা, মা বন্ধ চাবাগানের শ্রমিক, অভাবের সংসারে মেয়ে মাধ্যমিকে বাজিমাত করে মনোবিদ হতে চান

যেন অসম্ভবকে সম্ভব করা। শরীর সায় দেয় না, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ১০০ শতাংশ । তবে অদম্য জেদ ও ইচ্ছে শক্তির কাছে হার মানেনি সে। বাবা অনাথ সাহা পেশায় কৃষক, মা অতসী সাহা গৃহবধূ। তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খান। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ার পরও এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে মায়ের কোলে চেপেই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন দিশানি। দিশানী ছোট থেকে পড়াশোনার প্রতি অতি আগ্রহ। পড়াশোনা সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করেছে শিক্ষক শিক্ষিকারা। আগামিদিনে শিক্ষিকা হতে যান তিনি। দিশানীর সাফল্যে খুশি পরিবার-সহ স্কুলের শিক্ষক মহল।

Madhyamik 2024 Result: Success Story: বাবা লটারিবিক্রেতা, মা বন্ধ চাবাগানের শ্রমিক, অভাবের সংসারে মেয়ে মাধ্যমিকে বাজিমাত করে মনোবিদ হতে চান

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে সাইকোলজিকাল থেরাপিস্ট হতে চায় কালচিনি বন্ধ বাগানের মেহেক ওঁরাও। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৮৫% নম্বর পেয়েছে সে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অন্তর্গত কালচিনির এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া সে। মেহেকের বাবা লটারি বিক্রেতা। মা বন্ধ বাগানের শ্রমিক। বাগান বন্ধ তাই মায়ের কাজ নেই। তার বাবা একা সংসার চালাচ্ছেন। এত অভাবের মাঝেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে মেহেকের।

মেহেকের কথায়, “বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে সাইকোলজিকাল থেরাপিস্ট হতে চাই। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করলে অনেক চাকরির দিক খোলা থাকে। আমি তার মধ্যে একটি নিয়ে এগিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন : প্রদীপে দিন এই জিনিস! অভাব থেকে সাড়ে সাতী দূর হয়ে হবে টাকার বর্ষা

মেহেকের এই ফলে খুশি তার বাবা, মা। সংসারে অভাব অনটন মেহেকের পড়াশুনো থামিয়ে দিতে পারেনি দেখে তাঁরা গর্বিত। মেহেকের কথা থেকে আরও জানা যায় যে স্কুলের তরফে অনেক সহযোগিতা সে পেয়েছে। টিউশন ছিল না তার। স্কুলশিক্ষকরা পড়াশুনোতে সাহায্য করেছেন।

Higher Secondary Result 2024: Success Story: ডাক্তার হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে গ্রামবাসীদের চিকিৎসা করতে চান উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ রুদ্র

রাহী হালদার, হুগলি: উচ্চ মাধ্যমিকে চোখ ধাঁধাঁনো সাফল্য। ভবিষ্যতে ডাক্তারি পাশ করে নিজের গ্রামে গিয়ে চিকিৎসা করতে চান উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ, হুগলির কোন্নগরের রুদ্র দত্ত। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১ শতাংশের নিরিখে ৯৮.০২% । জয়েন্ট পরীক্ষাতেও ফল এসেছে ৯৯ শতাংশ। তবে স্বপ্ন তাঁর চিকিৎসক হয়ে গ্রামে এসে ডাক্তারি করার।

বাবা জয়দেব দত্ত পোস্ট অফিসের কর্মরত। মা দীপ্তি দত্ত একজন গৃহবধূ। শ্রীরামপুর মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুলের ছাত্র রুদ্র দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছেন এই সাফল্য পেতে । মাধ্যমিকে আশানুরূপ ফলাফল হয়নি তাঁর । তার পর পরবর্তী সময় থেকেই প্রতিদিনের কঠিন অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে সাফল্য, এমনটাই জানাচ্ছেন এই ছাত্র। জয়েন্ট এবং নীট পরীক্ষায় তিনি অংশগ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন :  রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

ভবিষ্যতের চিকিৎসকের পড়াশোনা ছাড়া খেলাধুলা করতেও  ভাল লাগে। পছন্দের প্রিয় ফুটবল দল ব্রাজিল, পছন্দের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি।এ বিষয়ে তাঁর মা দীপ্তি দত্ত বলেন, ‘‘ছেলেকে পড়াশোনার জন্য কখনই তাঁরা জোর করেননি। বরং পড়াশোনার জন্য ছেলেকে কিছু বলতেই হয়নি। যা করেছেন তিনি, পুরোটাই নিজের চেষ্টায় করেছেন। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাতেও ভাল নম্বর এসেছে তাঁর। তবে তাঁদের লক্ষ্য নিট পরীক্ষার ফলাফলের দিকেই।

Higher Secondary Topper 2024: রসায়নে ভয় জয় করে কুশল উচ্চ মাধ্যমিকে নবম! রইল কৃতীর সাফল্যের রহস্য

মৈনাক দেবনাথ, তেহট্ট: মামার সাজেশনেই কেমিস্ট্রিতে বাজিমাত! স্কুলের পরীক্ষায় রসায়নবিজ্ঞানে ৪০ পাওয়া ছাত্রই আজ উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায়। এ বছর নদিয়ার তেহট্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের কুশল ঘোষ জেলায় প্রথম এবং রাজ্যের মধ্যে নবম স্থান অধিকার করল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ এবং সর্বমোট ৯৭.৬ শতাংশ। এর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও বেশিরভাগ বিষয়তেই তিনি পেয়েছিলেন ৯০ এর উপরে নম্বর। ছোটবেলা থেকেই টিভিতে খেলাধুলো কিংবা সিনেমা খুব একটা বেশি দেখা হয়নি কুশলের। তবে খেলাধুলো করতে তাঁর ভাল লাগত।

দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঁচটি টিউশন পড়ার পাশাপাশি নিয়মিত বিদ্যালয় উপস্থিত থাকত সে। তাঁর এই সাফল্যের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং টিউশনের শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানান তিনি। বিশেষ করে  ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর মামাকে। যিনি নিয়মিত তাঁকে বাড়িতে পড়াশোনা করতে সাহায্য করতেন।

তার প্রিয় বিষয় জীবন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান। রসায়ন বিজ্ঞানের প্রতি কিছুটা ভয় থাকলেও পরীক্ষার আগে মামার দেওয়া সাজেশন পড়েই বাজিমাত করেন তিনি! জানান, মামার দেওয়া প্রত্যেকটি সাজেশন পেয়ে পরীক্ষায় যথেষ্ট ফলাফল এসেছে তাঁর। ফলাফল ঘোষণা হতেই খুশির জোয়ার তাঁর বাড়িতে, পাড়ায় এবং বিদ্যালয়ে। প্রত্যেকেই এসে অভ্যর্থনা জানিয়ে যাচ্ছে তাকে। তাঁর ইচ্ছে ভবিষ্যতে মেডিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে একজন সফল ডাক্তার হওয়ার।

আরও পড়ুন : বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি জানান, সেল্ফ স্টাডির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে এবং শিক্ষকেরা যা পড়াচ্ছেন প্রত্যেকটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়া জরুরি। কোনও কিছু বাদ যাওয়া যাবে না। তার কারণ উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসটি খুবই বড়। এছাড়াও তিনি জানান ‘‘আমার শিক্ষক বলতেন স্টাডি আর রিভিশনের রেশিও হবে ১:৩। আর আমি সেই রেশিওতেই পড়াশোনা করতাম।’‘

কুশলের সাফল্যে তাঁর পরিচিত মহলে এখন উচ্ছ্বাসের রেশ।

WB HS Result 2024: Success Story: বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মা দিনমজুর, কলাবিভাগে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে নবম ভাঙা টিনের ঘরের মেধাবী

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: পরিযায়ী শ্রমিকের ছেলে পীতাম্বর উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে নবম স্থান পেলেন। আশৈশব চরম আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। টিনের ঘরে কোনওরকমে দিন গুজরান করেই উচ্চ মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য উত্তর দিনাজপুরের নবম স্থান অধিকারী হয়েছেন পীতাম্বর।

বৃষ্টির সময় টিনের চালা দিয়ে জল পড়ে ঘরে ৷ বাবা পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন নেপালে। সংসার চালাতে মাও দিনমজুরের কাজ করেন।সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা। তবুও সমস্ত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও উচ্চমাধ্যমিকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে নবম স্থান অধিকার করেছেন কালিয়াগঞ্জের পীতাম্বর বর্মন। আগামী দিনে আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন পীতাম্বরের।

আরও পড়ুন : সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সব নিয়ম মেনে মাথা মুড়িয়ে বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন মেয়ের

উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে তরঙ্গপুরের বাসিন্দা পীতাম্বর বর্মনের বাবা উত্তম বর্মন পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা তরুলতা বর্মনও দিনমজুরের কাজ করেন। টিনের ভাঙা ঘরে পড়াশুনা করেই উচ্চমাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছে পীতাম্বর। তরঙ্গপুর এন কে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলা বিভাগে ৪৮৮ নম্বর পেয়েছে তিনি।

এদিকে ছেলের সাফল্যে কেঁদেই ফেলেন মা তরুলতা বর্মন। ছেলের পড়াশুনোর খরচের জোগাড় করতে দিনরাত অবিরাম পরিশ্রম করেন তাঁরা। তাঁদের পরিশ্রম বৃথা যায়নি। ছেলের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের সদস্যরা।

Madhyamik 2024 Result Success Story: পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়েই মাধ্যমিকে দশম, কর্কটরোগে দাদুকে হারিয়ে ডাক্তার হতে চান প্রত্যন্ত এলাকার ছাত্র সৌমিক

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: দাদুকে কেড়ে নিয়েছিল ক্যানসার। তাই মাধ্যমিকে দশম স্থানাধিকারী বাঁকুড়ার সৌমিক খাঁ বড় হয়ে হতে চায় চিকিৎসক। সৌমিকের দাদু পাঁচ বছর আগে কর্কটরোগে মারা যান। তখন থেকেই সৌমিকের সিদ্ধান্ত ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই লক্ষ্যেই চলে পড়াশোনা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় তাক লাগানো রেজাল্ট করে বাঁকুড়ার নাম উজ্জ্বল করলেন কৃতী ছাত্র সৌমিক।

টেক্সট বুকের উপর জোর দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সৌমিক। প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে কঠিন পড়াশোনা করে তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। মেধাতালিকায় সারা রাজ্যে দশম স্থান পেয়েছে সে। দারুণ রেজাল্ট করে সৌমিক খাঁ জানায় সে আরও ভাল রেজাল্ট আশা করেছিল। টেস্টের চেয়ে কম নম্বর পেয়েও দশম হয়েছে সৌমিক। যদিও সামান্য খেদ থেকে গেলেও সাফল্য বেশ উপভোগ করছেন বলেই জানিয়েছে এই কৃতী পড়ুয়া।

আরও পড়ুন : প্রতিকূলতাকে জয় করে সাফল্য! মাধ্যমিক উত্তীর্ণ চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে ঘিরে খুশির আমেজ

মাত্র তিনটি বিষয়ে প্রাইভেট টিউশন ছিল সৌমিকের। ভৌত বিজ্ঞান, ইংরেজি এবং অঙ্ক ছাড়া বাকি বিষয়গুলি বাবা মায়ের কাছেই পড়েছে সে। সৌমিকের মা রুম্পা পাত্র জানান ছেলের রেজাল্ট আরও ভাল হবে বলেই আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দশম হয়েছে সে। তাতেই খুশি সকলে।

আগামী দিনে যারা মাধ্যমিক দেবে তাদের উদ্দেশে সৌমিক বলে, সেলফ স্টাডির উপরে গুরুত্ব দিতে। পড়াশোনাটা ভাল করে করতে গেলে পাঠ্য পুস্তকের উপরে জোর দিতে উপদেশ দিয়েছে এই কৃতী ছাত্র। এছাড়াও নোটের উপর নির্ভর করে নয়। নিজে পড়াশোনা করে, বিষয়টি বুঝে পড়লেই আসবে সাফল্য,  মত সৌমিকের।

Success Story: দুই হাত নেই, পা দিয়েই চালান গাড়ি, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেলেন এশিয়ার প্রথম প্রতিবন্ধী মহিলা কেরলের জিলুমল

কলকাতাঃ দৃঢ় সংকল্প থাকলে কী না করা যায়! পাহাড় ডিঙনোও সম্ভব। এর সঙ্গে যদি মেশে আবেগ, কোনও কিছুই আর অধরা থাকে না। সংকল্প আর আবেগের সবচেয়ে বড় উদাহরণ জিলুমল মেরিয়েট থমাস। কেরলের বাসিন্দা। ৩২ বছর বয়স। দুটো হাত নেই। কিন্তু তিনিই এশিয়ার প্রথম মহিলা, দুই হাত না থাকা সত্ত্বেও যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ রাতে নিজের বা প্রিয়জনের মৃত‍্যুর স্বপ্ন! এ আসলে কোন ইঙ্গিত, কোনও বিপদ-সঙ্কেত কি

জিলুমল তাহলে গাড়ি চালান কীভাবে? পা দিয়ে। হ্যাঁ, দুই পা দিয়েই স্টিয়ারিং ধরেন তিনি। গিয়ার বদলান। ব্রেক কষেন। সব। দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষার পর ২০২৩ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয় তাঁকে। পাল্লাকাদে জিলুমলের হাতে লাইসেন্স তুলে দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন স্বয়ং।

জন্ম থেকেই দুই হাত নেই জিলুমলের। এটা এক ধরনের জন্মগত ব্যাধি। তবে জিলুমল ভেঙে পড়েননি। দোষারোপ করেননি ভাগ্যকে। তিনি অন্য ধাতুতে গড়া। ছোট থেকেই নিজেকে গড়ে তুলেছেন অন্যভাবে। হাতের সমস্ত কাজ তিনি পা দিয়েই করেন। অত্যন্ত অনায়াসে। গাড়িও চালান। তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য কমিশন এবং কোচির একটি বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় তাঁর গাড়িতে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।

গাড়ি চালানো জিলিমলের স্বপ্ন ছিল। বিশেষ করে মা-বাবাকে হারানোর পর, স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য এটা প্রয়োজনও ছিল। ভাদুথালার মারিয়া ড্রাইভিং স্কুলে গাড়ি চালানো শেখেন তিনি। তারপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য ইদুক্কি জেলার থুদুপুজা আরটিও-তে আবেদন করেন। আরটিও আধিকারিকরা এককথায় নাকচ করে দিয়েছিলেন তাঁর আবেদন। সঙ্গে সঙ্গে কেরালা হাই কোর্টে মামলা ঠোকেন তিনি।

আদালতের হস্তক্ষেপে জিলুমলের ড্রাইভিং টেস্ট হয়। এমভিভি কর্মকর্তাদের সামনে গাড়ি চালান তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে অস্বীকার করে। অবশেষে, তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রাজ্য কমিশনের কাছে যান৷ কমিশন ইন্দোরের বিক্রম অগ্নিহোত্রীর উদাহরণ দেন। তিনিই ভারতের প্রথম ব্যক্তি যিনি দুই হাত না থাকার পরেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন।

এরপর অবশেষে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান জিলুমল। তিনি বলেন, “এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল। এখন লাইসেন্স হাতে পেয়ে আমি খুশি। সবচেয়ে বড় বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি”।

Prachi Nigam: মুখে লোমের আধিক্যের জেরে ঠাট্টার মুখে বোর্ড পরীক্ষার প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রী; ট্রোলিংয়ের তীব্র জবাব দিলেন নেটিজেনরাও

লখনউ: সদ্য দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে উত্তর প্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ। আর এই ফলপ্রকাশের পরেই সমস্ত প্রচারের আলো গিয়ে পড়েছে প্রাচী নিগম নামে এক ছাত্রীর উপরে। দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় সে ৯৮.৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ৬০০-র মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৯১।

তবে এত ভাল ফল করা সত্ত্বেও প্রশ্ন উঠেছে প্রাচীর লুকস নিয়ে। আসলে এই কিশোরীর মুখে লোমের আধিক্যই রয়েছে চর্চার কেন্দ্রে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে সমাজের একটা খারাপ দিকও প্রকট হয়ে উঠেছে। অনেকেরই প্রশ্ন যে, “মহিলারা যতই এগিয়ে যান না কেন, তাঁদের সৌন্দর্য বা তাঁরা দেখতে কেমন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কিন্তু এই প্রশ্ন কবে বন্ধ হবে?” কেউ কেউ আবার বলছেন, “তথাকথিত সৌন্দর্য না থাকলে কি কারও গুণের কদর করা হবে না?”

আরও পড়ুন– আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি জানানো হয়েছে এক অনন্য আবেদনও! ভোটের মরশুমে পুলিশকর্মীর বোনের বিয়ের কার্ড নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে

আসলে প্রাচী নামের এই ছাত্রীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর দুর্ভাগ্যজনক বিষয়টি হল, কিশোরীর সাফল্য উদযাপন না করে মানুষ তাকে কেমন দেখতে সেটা নিয়ে পড়েছে। ছাত্রীর লুকস নিয়ে হাসি-ঠাট্টা কিংবা ট্রোল করতে শুরু করেছে কিছু মানুষ। যা সমাজের দাঁত-নখ যেন আরও প্রকট করেছে। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই সময়ে দাঁড়িয়ে বিষয়টা কিন্তু বেশ উদ্বেগের!

তবে ট্রোলারদের কড়া জবাব দেওয়ার মতো মানুষেরও অভাব নেই। প্রাচীর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রোলের কড়া জবাবও দিয়েছেন তাঁরা। এক্স প্ল্যাটফর্মে ওই ছাত্রীকে নিয়ে এক চিকিৎসক লিখেছেন যে, “মনে হয় ওই ছাত্রী পিসিওএস-এ ভুগছেন। বিষয়টি বুঝতে হবে, সেটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা একেবারেই উচিত নয়।” এই মন্তব্যের জবাবে আর এক জন বলেন যে, “কী বিষয়ে ট্রোল করা হচ্ছে কিংবা কাকে ট্রোল করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে এক মুহূর্তও ভাবে না এই ট্রোলাররা। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি চাই, প্রাচী যেন এই কমেন্টগুলি কখনওই না পড়ে। নাহলে ওর আত্মবিশ্বাস চিরতরে নষ্ট হয়ে যাবে। হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা যে কোনও মানুষের যে কোনও সময়ে হতে পারে। আর সেটা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা কখনওই উচিত নয়।”

আরও পড়ুন- বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন কনে; এরপর যা কাণ্ড ঘটালেন… বেঁকে বসলেন বরও!

আর এক নেটিজেনের বক্তব্য, “ছোট্ট মেয়ে প্রাচী নিগমের মুখে লোমের আধিক্যের জন্য সেটা নিয়ে মানুষ কত সহজেই হাসিঠাট্টা করছে! অথচ এটা হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতার কারণেই হয়ে থাকে। আর তারা কি কখনও ভেবে দেখেছে যে, কীভাবে এটা একটা বাচ্চা মেয়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে?” অন্য এক নেটিজেনও প্রাচীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “প্রাচী নিগম ২০২৪ সালে উত্তরপ্রদেশের বোর্ড পরীক্ষার টপার। যারা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে, তারা বোধহয় বোর্ডের পরীক্ষায় সফল হতে পারেনি। বয়ঃসন্ধি জীবনের একটা চ্যালেঞ্জিং পর্ব। প্রাচী তুমি এগিয়ে যাও এবং গোটা বিশ্বকে জয় করো। আর এই নাম-পরিচয় এবং কর্মহীন মানুষগুলি শূন্যতায় ভরা জীবনযাপন করুক।”

ইউপিএসসি-র ফলাফলে পরীক্ষার্থীর নাম ঘিরে বিভ্রান্তি; রাজস্থানে সাফল্যের আনন্দ মাটি! সেই উৎসবের ঢেউই পৌঁছল মধ্যপ্রদেশে

আজমেঢ়, রাজস্থান: সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ইউপিএসসি ২০২৩ পরীক্ষার ফলাফল। এবার সেই পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছিলেন ঋতু যাদব নামে এক মহিলা। আর এহেন সাফল্যের খবর পৌঁছতেই হইচই শুরু হয়ে যায় রাজস্থানের মার্বেল নগরী কিষাণগড়ে (অজমেঢ়)। সেখানকার মেয়ে ঋতু যাদব আবার পেশায় অধ্যাপিকাও বটে! ফলে ঘরের মেয়ে ইউপিএসসি-তে সাফল্য পেয়েছে শুনে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। তিন দিন ধরে চলে সেই উৎসব। কিন্তু আচমকাই যেন ভাটা পড়ে উৎসবে! আনন্দ মুহূর্তে বদলে যায় বিষাদে!

আরও পড়ুন– বিয়ের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন কনে; এরপর যা কাণ্ড ঘটালেন… বেঁকে বসলেন বরও!

আসলে জানা গিয়েছে যে, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসি পরীক্ষা ২০২৩-এ ৪৭০-তম স্থান অর্জন করেছেন ঋতু যাদব নামে এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ঋতু যাদব আসলে রাজস্থানের বাসিন্দা নন! তিনি আসলে মধ্যপ্রদেশের পৃথ্বীপুর (নিওয়ারি)-এর বাসিন্দা। আর এই নাম বিভ্রাটের জেরে রাজস্থানের ঋতু যাদব নামে ওই অধ্যাপিকার মাথায় রীতিমতো বাজ পড়েছে। জানা গিয়েছে যে, প্রার্থীর নামের সঙ্গে বাবার নাম না থাকার কারণে এহেন ভুল হয়ে গিয়েছে।রাজস্থানের কিষাণগড়ের বাসিন্দা ঋতু যাদব বর্তমানে পালির গার্লস কলেজে হিন্দি বিষয়ের অধ্যাপনা করেন। আরও অনেক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন- আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি জানানো হয়েছে এক অনন্য আবেদনও! ভোটের মরশুমে পুলিশকর্মীর বোনের বিয়ের কার্ড নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে

২০২১ সালে আরএএস-এ নির্বাচিত হয়েছেন এবং শীঘ্রই তিনি এসডিএম পদে যোগ দিতে চলেছেন। তবে ঋতুর পরিবারের বক্তব্য, হাল ছাড়বেন না ঋতু। বরং ভবিষ্যতে আইএএস হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন তিনি।ইউপিএসসি দ্বারা ঘোষিত ফলাফলে ১০১৬ জন প্রার্থীর র‌্যাঙ্ক প্রকাশ্যে আনা হয়েছিল। ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন ঋতু যাদব নামের দুই প্রার্থীই। তবে ফলাফলের তালিকায় মাত্র একজন ঋতু যাদবের নাম ৪৭০-তম স্থানে ছিল। কিন্তু প্রার্থীর বাবার নাম সেই তালিকায় ছিল না। আর এই কারণেই ভুলটা হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার রাজস্থানের কিষাণগড়ের বাসিন্দা ঋতু যাদব ফলাফল দেখার সময় রোল নম্বরটিতে আর চোখ বোলাননি। ফলে সেখানেও বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তবে এখন ইউপিএসসি পরীক্ষার সাফল্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন মধ্যপ্রদেশের ঋতু যাদব।

Success Story: কৃষিবিদ্যা নিয়ে পড়ে স্বপ্নপূরণ, UPSC-তে সফল হয়ে দেশবাসীর সেবা করবেন স্বর্ণপদকজয়ী তরুণী

রুদ্রনারায়ণ রায়, উত্তর ২৪ পরগনা: এলাকার ছাত্রীর এমন সাফল্যে গর্বিত অশোকনগর। ইউপিএসসিতে র‍্যাঙ্ক করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গৌরহরি দত্ত ও অপর্ণা রাহা দত্তের মেয়ে ব্রততী দত্ত। প্রথম থেকেই পড়াশোনার প্রতি তাঁর ছিল অদম্য জেদ ও একাগ্রতা। ঠিক একদিন লক্ষ্যপূরণ হবে এই জেদ নিয়েই দ্বিতীয়বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেন, অবশেষে এল সাফল্য। সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় তাঁর র‍্যাঙ্ক ৩৪৬।

মেয়ের এই সাফল্যে এখন গর্বিত বাবা মা, পরিবারের লোকজন-সহ প্রতিবেশীরাও। বাবা পেশায় চিকিৎসকের সহায়ক। মা কৃষি দফতরের কর্মী। হাবড়ার বাণীপুর জওহর নবোদয় আবাসিক স্কুল থেকে পড়াশোনা ব্রততীর। ছোট থেকেই পড়াশোনায় বেশ মেধাবী ছিলেন মেয়ে, জানালেন মা। দ্বাদশ শ্রেণির পর ব্রততী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিতে স্নাতক ডিগ্রি নেন। এরপর ওড়িশায় সিড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নিয়ে স্নাতকোত্তর করেন তিনি, পান স্বর্ণপদক।

আরও পড়ুন : ১ চামচেই বাজিমাত! রান্নাঘরের এই টক তরল দিন মাটিতে! গরমেও থোকা থোকা ফুলে ঢাকবে রঙ্গনগাছ! দেখা যাবে না পাতা

তবে এসবের মাঝেও এই কৃতি ছাত্রীর লক্ষ্য ছিল প্রশাসনিক পদে যাওয়ার। তাই ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয় প্রস্তুতি। এমন ফল হবে আশা করেননি তিনি নিজেও, বন্ধুর মারফত খবর আসে তাঁর এই সাফল্যের। এখন লক্ষ্য আইএএস অফিসার হওয়া। যদিও, ইতিমধ্যেই ফুড সেফটি অফিসার হিসেবে সরকারি চাকরি করছেন এই কৃতি ছাত্রী। তারই মাঝে লক্ষ্য পূরণ, দেশের হয়ে কাজের সুযোগ আসল ব্রততীর কাছে।

ভিন রাজ্যে গিয়ে কোচিং-এর বদলে, রাজ্য সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ টেগর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেন্টার থেকেই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই সাফল্য বলে দাবি কৃতী ব্রততীর। এখন ইউপিএসসিতে সফল হওয়া এই ছাত্রীকে দেখতে আসছেন পাড়াপ্রতিবেশী-সহ অশোকনগরের নানা প্রান্তের মানুষ।