বর্তমান জীবনযাত্রায় ক্রমশ বাড়ছে ব্লাড প্রেশার, সুগারের মতো রোগ। অল্প বয়সেই মানুষ ব্লাড প্রেসার, সুগার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, হাইপারটেনশনের মতো রোগের শিকার হচ্ছেন।আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে রক্তে শর্করার মাত্রা সম্পর্কে সঠিক ধারণা স্পষ্ট করতে সাহায্য করব। কোন বয়সে রক্তে সুগারের মাত্রা কত হওয়া উচিত এই নিয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন।সুগার বা প্রেশারের মতো এমন কিছু রোগ আছে যা আগে শুধুমাত্র বয়স্ক মানুষদের হত। কিন্তু এখন আর তা নেই। মানুষ অল্প বয়সেই রক্তচাপ, সুগার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের শিকার হচ্ছেন।তাই দ্রুত এই ধরণের অসুখগুলি নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। চিকিৎসকদের মতে এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিয়ে, আপনি এই মারাত্মক রোগগুলি এড়াতে পারেন।আপনার স্বাস্থ্য ভাল থাকবে এতে। এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে রক্তে শর্করা সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। জেনে নেওয়া যাক, কোন বয়সে সুগারের মাত্রা কী হওয়া উচিত।বয়স অনুযায়ী সুগারের মাত্রা: খাবার খাওয়ার এক বা দুই ঘণ্টা পর ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের রক্তে শর্করার মাত্রা ১৪০ মিলিগ্রাম থাকা উচিত।একইসঙ্গে ফাস্টিং সুগারের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের রক্তে প্রতি ডেসিলিটারে ৯৯ মিলিগ্রাম হওয়া উচিত সুগার লেভেল।৪০ বছর বয়স অতিক্রম করার পর, মানুষের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত। যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ডায়াবেটিক রোগী, তাদের ফাস্টিং সুগারের মাত্রা ৯০ থেকে ১৩০ mg/dL হওয়া উচিত।তবে খাবার খাওয়ার পরে ১৪০ mg/dl এবং রাতের খাবারের পরে ১৫০ এর কম হওয়া ভাল বলে মনে করা হয়। সুগার লেভেল এই সীমা অতিক্রম করলে তা আরও উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন চিকিৎসককে দেখাতে হবে।কী ভাবে রক্তে সুগার লেভেল কমাবেন? আপনি যদি ব্লাড সুগারের রোগী হন তাহলে ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোনো পর্যন্ত আপনার খাদ্যাভ্যাস অবিলম্বে পরিবর্তন করা উচিত। একইসঙ্গে আপনার শারীরিক কার্যকলাপ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করাও উচিত।অতিরিক্ত চিনি, লবণ, কোল্ড ড্রিঙ্কস, মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বেশি কার্বোহাইড্রেট আছে এমন জিনিস খাবেন না। আপনার খাদ্যতালিকায় স্যালাড অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না।দাবিত্যাগ: এই বিষয়বস্তু পরামর্শ-সহ শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটি কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
