নায়িকাকে বাঁচাতে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ অভিনেতার, নির্মম পরিণতি সুপারস্টারের

Bollywood Gossip: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আর একটু হলেই সব শেষ…! নায়িকাকে বাঁচাতে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ, নির্মম পরিণতি সুপারস্টারের

বলিউডের ইতিহাসে ৫টি সেরা চলচ্চিত্রের কথা বললে ১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া 'মাদার ইন্ডিয়া'-এর নাম প্রথমেই আসে। বলিউডের এই কাল্ট এবং ক্লাসিক ফিল্মটি অস্কার জিততে পারেনি। তবে এই ছবিটি শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে সাধুবাদ পেয়েছে।
বলিউডের ইতিহাসে ৫টি সেরা চলচ্চিত্রের কথা বললে ১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাদার ইন্ডিয়া’-এর নাম প্রথমেই আসে। বলিউডের এই কাল্ট এবং ক্লাসিক ফিল্মটি অস্কার জিততে পারেনি। তবে এই ছবিটি শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে সাধুবাদ পেয়েছে।
হলিউডের প্রবীণ পরিচালকরাও এই ছবিটিকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এই ছবির সেটে ঘটেছিল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আচমকাই শ্যুটিং চলাকালীন সেটে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নার্গিসকে আগুনে আটকে যায়৷ অভিনেত্রীর জীবন বাঁচাতে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দেন অভিনেতা। তারপরই পুরো ফিল্মি স্টাইলে তিনি নার্গিসকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের হাত থেকে বাঁচান।
হলিউডের প্রবীণ পরিচালকরাও এই ছবিটিকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এই ছবির সেটে ঘটেছিল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আচমকাই শ্যুটিং চলাকালীন সেটে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নার্গিসকে আগুনে আটকে যায়৷ অভিনেত্রীর জীবন বাঁচাতে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দেন অভিনেতা। তারপরই পুরো ফিল্মি স্টাইলে তিনি নার্গিসকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের হাত থেকে বাঁচান।
নার্গিস তার ডায়েরিতে এই ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। পরে এই ডায়েরিটি লেখক কিশ্বর দেশাইয়ের বই 'ডার্লিংজি- দ্য ট্রু লাভ স্টোরি অফ নার্গিস অ্যান্ড সুনীল দত্ত' নামে প্রকাশিত হয়। এই ডায়েরিতে দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন নার্গিস। নার্গিস লিখেছেন, 'মাদার ইন্ডিয়ার শুটিং সেটে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এবং ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়ি৷
নার্গিস তার ডায়েরিতে এই ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। পরে এই ডায়েরিটি লেখক কিশ্বর দেশাইয়ের বই ‘ডার্লিংজি- দ্য ট্রু লাভ স্টোরি অফ নার্গিস অ্যান্ড সুনীল দত্ত’ নামে প্রকাশিত হয়। এই ডায়েরিতে দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন নার্গিস। নার্গিস লিখেছেন, ‘মাদার ইন্ডিয়ার শুটিং সেটে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এবং ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়ি৷
যখন আমি ভয়াবহ আগুনে খারাপভাবে আটকে পড়েছিলাম, তখন সুনীল দত্ত আমাকে বাঁচাতে নিজের জীবনের পরোয়া না করে আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সুনীল দত্ত আমাকে ফিল্মি স্টাইলে তাঁর বাহুতে আগুন থেকে বের করে এনেছিলেন।
যখন আমি ভয়াবহ আগুনে খারাপভাবে আটকে পড়েছিলাম, তখন সুনীল দত্ত আমাকে বাঁচাতে নিজের জীবনের পরোয়া না করে আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সুনীল দত্ত আমাকে ফিল্মি স্টাইলে তাঁর বাহুতে আগুন থেকে বের করে এনেছিলেন।
এই দুর্ঘটনায় সুনীল দত্ত গুরুতর আহত হন এবং বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আগুনে গুরুতর আহত হন নার্গিসও। হাসপাতালে দু'জনের চিকিৎসা চলতে থাকে। এই দুর্ঘটনার পর সুনীল দত্তের সঙ্গে প্রেম হয় নার্গিসের৷
এই দুর্ঘটনায় সুনীল দত্ত গুরুতর আহত হন এবং বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আগুনে গুরুতর আহত হন নার্গিসও। হাসপাতালে দু’জনের চিকিৎসা চলতে থাকে। এই দুর্ঘটনার পর সুনীল দত্তের সঙ্গে প্রেম হয় নার্গিসের৷
এই সময় সুনীল দত্তের প্রেমে পড়েন নার্গিস। নার্গিস তার ডায়েরিতে তার প্রেমের শুরু এবং শেষ সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করেছিলেন। যদিও তখন বলিউড সুপারস্টার রাজ কাপুরের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন নার্গিস। তবে রাজ কাপুর আগেই বিয়ে করেছিলেন।
এই সময় সুনীল দত্তের প্রেমে পড়েন নার্গিস। নার্গিস তার ডায়েরিতে তার প্রেমের শুরু এবং শেষ সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করেছিলেন। যদিও তখন বলিউড সুপারস্টার রাজ কাপুরের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন নার্গিস। তবে রাজ কাপুর আগেই বিয়ে করেছিলেন।
নার্গিস ও রাজ কাপুরের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ প্রায় ৭ বছরের। কিন্তু নার্গিস রাজ কাপুরকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং সুনীল দত্তর সঙ্গে প্রেম করার সিদ্ধান্ত নেন। দু'জনেই দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন এবং দু'জনেই ১৯৫৮ সালের ১১ মার্চ বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ৩ সন্তান হয়৷
নার্গিস ও রাজ কাপুরের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ প্রায় ৭ বছরের। কিন্তু নার্গিস রাজ কাপুরকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং সুনীল দত্তর সঙ্গে প্রেম করার সিদ্ধান্ত নেন। দু’জনেই দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন এবং দু’জনেই ১৯৫৮ সালের ১১ মার্চ বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ৩ সন্তান হয়৷
নার্গিস ও সুনীল দত্তের বড় ছেলে সঞ্জয় দত্ত আজ বলিউড সুপারস্টার। এর পাশাপাশি তাদের দু'জনের ২টি মেয়েও রয়েছে। ১৯৮১ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নার্গিস। তার বেশ কিছু বছর পর সুনীল দত্ত ২০০৫ সালে মারা যান। স্বর্ণযুগের এই দু'জনের প্রেমের চর্চা আজও বলিউডে।
নার্গিস ও সুনীল দত্তের বড় ছেলে সঞ্জয় দত্ত আজ বলিউড সুপারস্টার। এর পাশাপাশি তাদের দু’জনের ২টি মেয়েও রয়েছে। ১৯৮১ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নার্গিস। তার বেশ কিছু বছর পর সুনীল দত্ত ২০০৫ সালে মারা যান। স্বর্ণযুগের এই দু’জনের প্রেমের চর্চা আজও বলিউডে।