বিনোদন Bollywood Gossip: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! আর একটু হলেই সব শেষ…! নায়িকাকে বাঁচাতে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ, নির্মম পরিণতি সুপারস্টারের Gallery April 27, 2024 Bangla Digital Desk বলিউডের ইতিহাসে ৫টি সেরা চলচ্চিত্রের কথা বললে ১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘মাদার ইন্ডিয়া’-এর নাম প্রথমেই আসে। বলিউডের এই কাল্ট এবং ক্লাসিক ফিল্মটি অস্কার জিততে পারেনি। তবে এই ছবিটি শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে সাধুবাদ পেয়েছে। হলিউডের প্রবীণ পরিচালকরাও এই ছবিটিকে সাধুবাদ জানিয়েছিলেন। এই ছবির সেটে ঘটেছিল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আচমকাই শ্যুটিং চলাকালীন সেটে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নার্গিসকে আগুনে আটকে যায়৷ অভিনেত্রীর জীবন বাঁচাতে জ্বলন্ত আগুনে ঝাঁপ দেন অভিনেতা। তারপরই পুরো ফিল্মি স্টাইলে তিনি নার্গিসকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুনের হাত থেকে বাঁচান। নার্গিস তার ডায়েরিতে এই ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। পরে এই ডায়েরিটি লেখক কিশ্বর দেশাইয়ের বই ‘ডার্লিংজি- দ্য ট্রু লাভ স্টোরি অফ নার্গিস অ্যান্ড সুনীল দত্ত’ নামে প্রকাশিত হয়। এই ডায়েরিতে দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেছিলেন নার্গিস। নার্গিস লিখেছেন, ‘মাদার ইন্ডিয়ার শুটিং সেটে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। এবং ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে পড়ি৷ যখন আমি ভয়াবহ আগুনে খারাপভাবে আটকে পড়েছিলাম, তখন সুনীল দত্ত আমাকে বাঁচাতে নিজের জীবনের পরোয়া না করে আগুনে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সুনীল দত্ত আমাকে ফিল্মি স্টাইলে তাঁর বাহুতে আগুন থেকে বের করে এনেছিলেন। এই দুর্ঘটনায় সুনীল দত্ত গুরুতর আহত হন এবং বেশ কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আগুনে গুরুতর আহত হন নার্গিসও। হাসপাতালে দু’জনের চিকিৎসা চলতে থাকে। এই দুর্ঘটনার পর সুনীল দত্তের সঙ্গে প্রেম হয় নার্গিসের৷ এই সময় সুনীল দত্তের প্রেমে পড়েন নার্গিস। নার্গিস তার ডায়েরিতে তার প্রেমের শুরু এবং শেষ সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করেছিলেন। যদিও তখন বলিউড সুপারস্টার রাজ কাপুরের সঙ্গে ডেটিং করছিলেন নার্গিস। তবে রাজ কাপুর আগেই বিয়ে করেছিলেন। নার্গিস ও রাজ কাপুরের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ প্রায় ৭ বছরের। কিন্তু নার্গিস রাজ কাপুরকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং সুনীল দত্তর সঙ্গে প্রেম করার সিদ্ধান্ত নেন। দু’জনেই দীর্ঘদিনের বন্ধু ছিলেন এবং দু’জনেই ১৯৫৮ সালের ১১ মার্চ বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ৩ সন্তান হয়৷ নার্গিস ও সুনীল দত্তের বড় ছেলে সঞ্জয় দত্ত আজ বলিউড সুপারস্টার। এর পাশাপাশি তাদের দু’জনের ২টি মেয়েও রয়েছে। ১৯৮১ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নার্গিস। তার বেশ কিছু বছর পর সুনীল দত্ত ২০০৫ সালে মারা যান। স্বর্ণযুগের এই দু’জনের প্রেমের চর্চা আজও বলিউডে।
বিনোদন Rekha Love Story: বাবা-ছেলের সঙ্গে প্রেম! জুটেছিল ডাইনি অপবাদ! অমিতাভ নয়, তবে কার নামে সিঁদুর পরেন রেখা? জানুন Gallery April 4, 2024 Bangla Digital Desk রেখা! বলিউডের সব থেকে রহস্যময়ী নায়িকা! রেখার অভিনয় জীবন যতটা চর্চিত তার থেকে কয়েকগুণ বেশি চর্চিত তাঁর ব্যক্তিগত জীবন! আজও রেখাকে নিয়ে রহস্যের শেষ নেই! অমিতাভ বচ্চন থেকে সঞ্জয় দত্ত বহু অভিনেতার নাম জড়িয়েছে তাঁর সঙ্গে! রেখা কাকে বিয়ে করেছেন? কেন সিঁদুর পরেন? রেখা কী আসলে বিষ কন্যা? এমন অনেক কিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে শোনা যায়! photo source collected সত্যিই রহস্যে মোড়া রেখার জীবন! এমন সুন্দরী আর কে আছে! রেখা যখন অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন সে সময় থেকেই সকলের নজরে পড়ে যান! রেখার সঙ্গে সঞ্জয় দত্তের প্রেম কাহিনির কথা নিশ্চয় শুনে থাকবেন! photo source collected ১৯৮৪ সালে সঞ্জয়ের সঙ্গে ‘জমিন আসমান’ ছবিতে অভিনয় করেন রেখা। ছবির শ্যুটিংয়ের সময় থেকেই তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছিলেন। যা একেবারেই ভাল চোখে দেখেননি সঞ্জয় দত্তের মা নার্গিস ও বাবা সুনীল দত্ত! photo source collected শোনা যায় তাঁরা নাকি পালিয়ে বিয়েও করেছিলেন। রেখার সিঁদুর পরা নিয়ে যে সমস্ত গুঞ্জন শোনা যায় তার মধ্যে অন্যতম হল, রেখা নাকি অমিতাভ বচ্চনের জন্য সিঁদুর পরেন। কিন্তু এক সময় সিঁদুরের নেপথ্যে সঞ্জয়ের নামও উঠে আসতে শুরু করেছিল। তবে এর উত্তর মেলেনি আজও! photo source collected তবে সঞ্জয়ের সঙ্গে নাম জড়ানোর পর তাঁর বাবা সুনীল ছেলের থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছিলেন রেখাকে। রেখার বাড়ি গিয়ে তিনি সঞ্জয়ের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে বলেছিলেন। তার পর অবশ্য সঞ্জয় এবং রেখা দু’জনেই সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজেদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন। তবে মজার বিষয় হল শুধু ছেলের নাম নয়, রেখার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সঞ্জয় দত্তের নামও! photo source collected সুনীলের সঙ্গে কয়েকটি ছবিতে কাজ করার পরই রেখার নাম জড়াতে শুরু করে তাঁর সঙ্গে। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁদের দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। যা নার্গিসের কানেও পৌঁছয়। photo source collected রেখার বয়স তখন মাত্র ২২ বছর। নার্গিস সংবাদমাধ্যমের সামনেই রেখার প্রসঙ্গ টেনে অত্যন্ত অপমানজনক কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রেখার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন! সহজেই নাকি রেখাকে পাওয়া যায়! এমনকি শোনা যায় তাঁকে ‘ডাইনি’ পর্যন্ত বলে ছিলেন নার্গিস! photo source collected যদিও রেখা এই দুই প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে কখনও কোনও মন্তব্য করেননি! সঞ্জয় দত্তের থেকে মাত্র ৫ বছরের বড় রেখা! বাবা ও ছেলে দু’জনের সঙ্গেই রেখার নাম জড়িয়ে ছিল! এক সময় এই নিয়ে অনেক জলঘোলা হয় বলিউডে! যদিও আজ সে সব অতীত!photo source collected
বিনোদন Bus Conductor Became Bollywood Superstar: বাস কন্ডাক্টর থেকে বলি হিরো, সুন্দরী নায়িকাকে বিয়ে! তারপরই জীবনে নামল অন্ধকার, বিক্রি করতে হল ঘরবাড়ি Gallery February 11, 2024 Bangla Digital Desk একসময় বাস কন্ডাক্টর ছিলেন৷ কিন্তু পরে তিনিই হন বলিউড অভিনেতা এবং সাংসদ৷ বলিউডের সবচেয়ে ধনী সুপারস্টাদের মধ্যে তিনি অন্যতম৷ শুধু তাই নয়, স্ত্রী ছিলেন বলিউডের খ্যাতনামা নায়িকা৷ দু’জনের জীবনেই অভিনয়ের সঙ্গে জুড়েছিল রাজনীতিক তকমা৷ তিনি সামাজিক কাজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন স্বামী-স্ত্রী। এই সুপারস্টারের কাহিনি খুবই অনুপ্ররণা দায়ক৷ সুপারস্টার সঞ্জয় দত্তের বাবা সুনীল দত্তকে নিয়ে আলোচনা করছি আমরা। তিনি বলিউডের সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রী নার্গিসের স্বামী ছিলেন সুনীল। নিজেও ছিলেন সুপারস্টার৷ খুব সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন সুনীলসাব। তবে খুব কম লোকই জানেন যে সুনীল দত্তের জীবনও ছিল সিনেমার মতো, সংগ্রামে পরিপূর্ণ। সুনীল দত্তের লড়াই শুরু হয়েছিল শৈশব থেকেই। তাঁর বয়স যখন ৫ বছর তখন তাঁর মন থেকে বাবা চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে সুনীল দত্তের শৈশব কেটেছে খুব কষ্টে। বাবার মৃত্যুর পর ছেলের দায়িত্ব নেন মা কুলবন্তী দেবী। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সুনীল কোনও ভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য মুম্বই আসেন। মুম্বই আসার পর সুনীল দত্ত কলেজে ভর্তি হন। এখানে আসার পর সুনীল দত্তকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল কারণ তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তখনই সুনীল দত্ত মুম্বইতে চাকরির খোঁজে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। এমনকী মুম্বই বেস্ট বাসে কন্ডাক্টরের চাকরি পান। তবে তিনি বড় কিছু করতে চাইতেন৷ কলেজে পড়া ও বাস কন্ডাকটর হিসেবে কাজের পাশাপাশি কলেজের পর রেডিও জকি হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। সুনীল দত্ত সেই সময় রেডিও সিলনে সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দি ঘোষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। যদিও তিনি সবসময় একজন অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন, তবে তিনি জানতেন যে অভিনেতা হওয়ার জন্য এত সংগ্রাম যথেষ্ট নয়। অভিনতা হওয়ার স্বপ্ন ত্যাগ করেননি সুনীল৷ একজন রেডিও জকি হওয়ার পাশাপাশি তিনি অভিনয়ের ক্লাসও নিতে থাকেন। তারপর সুনীল দত্ত প্রথম ব্রেক পেয়েছিলেন। ছবির নাম ছিল ‘রেলওয়ে প্লাটফর্ম’। তবে সুনীলের ছবি বিশেষ কিছু করতে পারেনি। এরপর বলিউডের প্রবীণ অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিতে অভিনয় করেন সুনীল দত্ত। এই দিনেই সুনীল দত্তের ভাগ্য পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, নার্গিস এবং সুনীল দত্তের মাদার ইন্ডিয়া প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যা অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। সুনীল দত্ত মাদার ইন্ডিয়া, সাধনা, ইনসান জাগ উথা, সুজাতা, মুঝে জিনে দো, পড়োসানের মতো অনেক হিট ছবির জন্য বিখ্যাত ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও ছিলেন দারুণ সফল। প্রায় ৬০টি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। খুব কম মানুষই জানেন যে সেই সময়ের বলিউডের সবচেয়ে সুন্দরী অভিনেত্রী নার্গিস নিজেই এসেছিলেন সুনীল দত্তকে বিয়ে করতে। যেখানে তিনি বলিউড সুপারস্টার রাজ কুমারকে খুব ভালবাসতেন। কিন্তু তিনি সুনীল দত্তের সততা এবং ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে বিয়ে করেন৷ নার্গিসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার আগে আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে হুমকি পেয়েছিলেন সুনীল দত্ত। কিন্তু নার্গিসের প্রতি তার ভালবাসা এতটাই প্রবল ছিল যে এ ব্যাপারে তিনি অচল ছিলেন। ১৯৫৮ সালে নার্গিস ও সুনীল দত্তের বিয়ে হয়। সুনীল দত্ত যখন নার্গিসকে বিয়ে করেছিলেন, তখন কেউ জানত না যে তাঁর কর্মজীবনে বাস কন্ডাক্টর থেকে সুপারস্টার হয়ে ওঠা সুনীল বলিউডের সুন্দরী অভিনেত্রীকে বিয়ে করবেন। সুপারস্টার হয়ে ও অভিনেত্রী নার্গিসকে বিয়ে করার পর, যখন সুনীল দত্তের জীবন মসৃণভাবে চলতে শুরু করে, তখন তিনি ঋণে ডুবে যান। ঋণের কারণে, তাঁকে তাঁর বাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছিল এবং তার সমস্ত গাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন।এসব ঘটনা ঘটেছিল যখন সুনীল দত্ত ‘রেশমা অর শেরা’ নামে একটি ছবি তৈরি করছিলেন। এতে তিনি প্রধান অভিনেতাও ছিলেন এবং তিনি নিজেই ছবিটি প্রযোজনা করছিলেন। ওয়াহিদা রেহমান এবং রাখি গুলজারও এই ছবির নায়িকা ছিলেন, কিন্তু শুটিং চলাকালীন এমন কিছু ঘটেছিল যে হঠাৎ সুনীল দত্তের জীবন সমস্যায় ভরে যায়।