আরজি কর মামলা : ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব উঠল শীর্ষ আদালতে

Supreme Court RG Kar: ‘প্রভাবশালী’ সওয়াল আরজি কর মামলায়! রিপোর্ট দিন কারা কারা : প্রধান বিচারপতি

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডে এবার প্রভাবশালী প্রসঙ্গ উঠল সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এদিন আদালতকে জানান, “পুলিশ আসারও আগে ৪ জন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাঁদের কয়েকজন মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য। যাঁদের আসার কোনও কারণ ছিল না সেখানে। আমরা বলতে চাই এটা শুধু ধর্ষণ এবং খুন নয়—।এমনকি রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের সদস্যরা পৌঁছে যান এই ঘটনায়।”

জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং আদালতে বলেন, “আমাদের কাছে চার জনের নাম রয়েছে। দু’জনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি। ওই চার জন অকুস্থলে ছিলেন।” পাশাপাশি তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের সাত জনকে আপাতত সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করারও দাবি জানান তিনি।

আরও পড়ুন: ফিরতি বর্ষা…! বৃষ্টির তাণ্ডব…! ভারী-অতি ভারী বৃষ্টি আসছে ৫ রাজ্যে! কী পূর্বাভাস বাংলায়? ভাসবে পুজো? ‘সতর্কতা’ জানিয়ে দিল IMD

ইন্দিরা জয় সিং-এর পাশাপাশি এই প্রসঙ্গ তুলে চিকিৎসকদের আইনজীবী করুনা নন্দী বলেন, “যাঁরা ওখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখনও ক্ষমতার জায়গায় রয়েছেন। সেখান থেকেই থ্রেট কালচারের কথা আসছে। ওই ব্যক্তিদের কি তদন্ত চলা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা যায়?” এরপরেই ইন্দিরা জয়সিং (জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী) বলেন, আমরা লিখিত আকারে দিচ্ছি যে চিকিৎসকেরা কাজে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা ইনভেস্টিগেশনের আওতায় রয়েছেন, তাঁরা এখনও আরজিকরে চাকরি করছেন। সেই ব্যক্তিদের কি সাসপেন্ড করা যায় যতদিন পর্যন্ত না তদন্ত শেষ হয়?” সওয়ালে সিনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন, “যাঁরা ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা শুধু আরজিকর নয়, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কাউন্সিল, কর্পোরেশনের মাথায় রয়েছেন। তাঁরা ক্ষমতাসীন।”

এরপরেই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আমাদের আগামী দিনে একটা রিপোর্ট দিন কারা কারা এ ধরনের ক্ষমতাসীন জায়গায় রয়েছেন। রাজ্য পদক্ষেপ করবে। কিন্তু তার আগে তথ্য থাকা উচিত।”

আরও পড়ুন: হঠাৎ কলকাতায় অনুব্রত মণ্ডল…! কোথায় আছেন? করছেনই বা কী? জানা গেল ‘আসল’ কারণ!

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের আইনজীবী জানান, “পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।” সিজেআই তাঁদের পরিচয় জানতে চান। রাজ্যের আইনজীবী জানান, যখনই সিবিআইয়ের তরফে আমাদের কাছে জানানো হবে যদি কেউ থাকে, যাঁকে সরানোর প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেটা করব। রাজ্যের আইনজীবী জানানএরপরেই ইন্দিরা জয়সিং ও করুণা নন্দী অর্জি জানান, ” যদি সাসপেন্ডও না করা যায়, তাহলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হোক। আমরা নাম দিচ্ছি। আমরা কাজে ফিরেছি। কিন্তু সেখানে যদি এই ব্যক্তিরা থাকেন তাহলে আমরা নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিন্ত হব কীভাবে? তারপর বলা হবে আমরা আন্দোলন করছি ।”

এরপরেই প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানান, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, এবং ক্ষমতাসীন থেকে যাঁরা তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তবে সিবিআই রাজ্যকে সহযোগিতা করবে এরকম কোনও ব্যক্তির তথ্য তাঁরা পেলে।”